a যে নারীর একমাত্র সম্বল চোখের জল
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ পৌষ ১৪৩২, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যে নারীর একমাত্র সম্বল চোখের জল



শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:২৭
যে নারীর এক সম্বল চোখের জল

চোখের জলই যেন এখন আছমা বেগমের একমাত্র সম্বল। এবারের কঠোর লকডাউনে অভাবের তাড়নায় আছমা বেগম রাজধানীর রাস্তায় মাস্ক বিক্রি করা শুরু করেছেন, এর আগে তিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

কিন্ত আছমা আগে যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেই বাড়ির মালিকের চাকরি চলে যাওয়ায় তারাও এখন গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। আর তাই আছমা বেগম কঠোর লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়ে।

তিন সন্তানের জননী। স্ট্রোক করার পর থেকে স্বামী এখন পর্যন্ত কোন কাজ করতে পারে না। আছমার কাজের টাকা দিয়েই তাদের সংসার চলতো। তাই তিনি মানিকনগর তার বাসা থেকে একটি কাজের সন্ধানে বের হয়েছিল। কিন্ত এ কঠোর লকডাউনে কোন কাজের ব্যবস্থা করতে না পেরে মাস্ক বিক্রির কথা ভাবেন। দোকানে গিয়ে তিনি দেখেন এক বক্স মাস্ক কিনতে লাগে ১১০ টাকা অর্থাৎ এক প্যাকেট মাস্কের দাম ১১০ টাকা। কিন্তু আছমার কাছে ছিল মাত্র ৯০ টাকা। এক প্রকার আকুতি-মিনতি করেই তিনি এক প্যাকেট মাস্ক কিনে বিক্রি শুরু করেন সন্তানদের মুখে দু'মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করতে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / Amin Hossain

ভোলার চরফ্যাশনে অজ্ঞাতরোগে মহিষ মারা যাচ্ছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:২৭
ভোলার চরফ্যাশনে অজ্ঞাতরোগে মহিষ মারা যাচ্ছে

ফাইল ফটো:

ভোলার দক্ষিণে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নে চর ইসলাম, চর ফারুকীসহ বিভিন্ন চরে অজ্ঞাত রোগে  মারা গেছে প্রায় অর্ধশত মহিষ। এখনো প্রায় অর্ধশতাধিক আক্রান্ত আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব চরে গবাদিপশু রয়েছে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার।

স্থানীয় পশু চিকিৎসক সাঈদ সিকদার জানান, সর্দি, পেট ফোলা, মুখ দিয়ে লালা পড়া ও খাবারে অনীহা দেখা দেওয়ার ছয় থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহিষ মারা গেছে প্রায় ৫০টি । যাদের মহিষ মারা গেছে তারা হলেন—চরমানিকা ইউনিয়নের দক্ষিণ আইচা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারেক হাওলাদারের ১টি, চরমানিকা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ৬টি, মিনাল রায়ের ৮টি, রবি হাজারীর ৩টি, তপন বিশ্বাসের ৪টি, আলমের ৪টি, কাঞ্চন মাতুব্বরের ৪টি, মুনসুর মুন্সীর ৮টি, দক্ষিণ চর আইচা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাশু সর্দারের ৩টিসহ প্রায় ৫০টি মহিষ অজ্ঞাত রোগে মারা গেছে।

এরা নদী শিকস্তি পরিবার। মনপুরা ও তজুমদ্দিন এবং চরফ্যাশনের মূল ভূখণ্ড থেকে নদীভাঙনের শিকার হয়ে নতুন করে বাঁচার জন্য আশ্রয় নিয়েছেন এরা এসব চরে। এ আকস্মিক ও ভয়ানক দুর্যোগ তাদের স্বপ্নকে বিলীন করে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, এখনো মহিষ মারা যাওয়ার কারণ  আমরা শনাক্ত করতে পারেনি, তবে আমাদের পরীক্ষানিরীক্ষা চলমান আছে।

ভোলা জেলায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন মহিষ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বলেন , যে সমস্ত মহিষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি সেগুলো হয়তো মারা যাচ্ছে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে। তিনি এ ব্যাপারে মহিষ মালিকেরা প্রাণিসম্পদ বিভাগের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইঃ অবশেষে টাইব্রেকারে জয় পেল আর্জেন্টিনা


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৭ জুলাই, ২০২১, ১০:১৩
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইঃ অবশেষে টাইব্রেকারে জয় পেল আর্জেন্টিনা

সংগৃহীত ছবি

আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার লড়াইটা হলো হাড্ডাহাড্ডি। ম্যাচের শুরুতে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে কলম্বিয়া।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ সমতা থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে খুবই লাকি বলতে গেলে আর্জেন্টিনা। দলটির গোলরক্ষক ইমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঠেকিয়ে দেন তিনটি শট। আর তাতেই জয়ের রাস্তা মসৃণ হয় মেসিদের। টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা ফুটবলের ফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা।

তার মানে কোপা আমেরিকায় কাঙ্ক্ষিত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল হচ্ছে। আগামী ১০ জুলাই রিও ডি জেনিরোর ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দল। ৯ জুলাই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে পেরুর।

পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনাল আগে নিশ্চিত করে ব্রাজিল। বুধবার সকালে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় আর্জেন্টিনা।

দলটির জয়ের নায়ক অবশ্য দুই মার্টিনেজ। ফরোয়ার্ড লতারো মার্টিনেজ ম্যাচে গোল করেন শুরুতে। আর টাইব্রেকারে তিন শট প্রতিহত করে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান গোলরক্ষক মার্টিনেজ।

টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন মেসি, পেরেদেস ও মার্টিনেজ। গোল মিস করেন ডি পল, দ্বিতীয় শটেই। মেসি নেন প্রথম শট। অন্য দিকে কলম্বিয়ার হয়ে প্রথম শটে গোল করেন কুয়াদ্রাদো। কিন্তু দ্বিতীয় শটেই সানচেজকে বা দিকে ঝাপিয়ে প্রতিপহত করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। তৃতীয় মিনার শটও একই কায়দায় রক্ষা করেন তিনি। চতুর্থ শটে কলম্বিয়ার হয়ে গোল করেন কারদোনো। ব্যবধান তখন ৩-২। পঞ্চম শটে গোল করতে পারলে ব্যবধান হতো ৩-৩। তখন আর্জেন্টিনার প্রয়োজন পড়তো পঞ্চম শট নেয়ার। কিন্তু তার আর দরকার হয়নি। কলম্বিয়ার পঞ্চম শট রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে দারুণ জয়ের স্বাদ দেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ।

ম্যাচের ৪ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু মার্টিনেজের হেড অল্পের জন্য পোস্ট খুঁজে পায়নি। এর মিনিট তিনেক পরই এগিয়ে যায় স্কালোনি শিবির। ডি বক্সের মধ্যে মেসির সহায়তায় কলম্বিয়ার জাল কাঁপান লতারো মার্টিনেজ। টুর্নামেন্টে মেসির এটি চতুর্থ অ্যাসিস্ট, যা সর্বোচ্চ।

৯ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। কিন্তু আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক ইমিলিয়ানো মার্টিনেজের দক্ষতায় বেঁচে যায় মেসিরা।

৪৪ মিনিটে গোল পেতে পারত আর্জেন্টিনা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। মেসির নেয়া কর্ণারে গঞ্জালেজের দারুণ হেড খুঁজে পায়নি জাল। অথচ সে মনে করেছিল গোল হয়েছে। কিন্তু ওসপিনো দক্ষতায় অক্ষত থাকে কলম্বিয়ার জাল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মারাত্মক ফাউলের শিকার হন মেসি। ৫০ মিনিটের দিকে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। সেবা নিয়ে আবার খেলতে নামেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ৬১ মিনিটে ম্যাচে ফেরে কলম্বিয়া। নয়নকাড়া গোলে দলকে সমতায় ফেরান লুইস ডিয়াস।

৭৩ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মাঝ মাঠ থেকে ডি মারিয়া একাই বল টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের বক্সে। নিজে শট না নিয়ে পাস দেন সতীর্থকে। কিন্তু পাসে মার্টিনেজ শট নেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ওসপিনা বরাবর। ফিরতি শটে বল উড়িয়ে মারেন ডি মারিয়া। হতাশ আর্জেন্টিনা শিবিরে।

এর তিন মিনিট পর ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা মেসিকে ফাউল করায়। গোলের দারুণ সুযোগ ছিল। কিন্তু পারেননি মেসি। ৮০ মিনিটে বক্সের মধ্যে ডি মারিয়ার নিখুঁত পাসে মেসির শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৮৭ মিনিটে ফ্রি কিকে মেসি খুঁজে পাননি কলম্বিয়ার জাল। শেষ অবধি ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক বলতে গেলে গোলরক্ষক মার্টিনেজ। তিন শট প্রতিহত করে দলকে উপহার দেন ফাইনালের টিকিট।

ম্যাচে আর্জেন্টিনার সাথে সমানতালে লড়েছে কলম্বিয়া। ১৩ শটের মধ্যে আর্জেন্টিনার চারটি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে ১৪ শটের মধ্যে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল কলম্বিয়া। বল দখলে আর্জেন্টিনার চেয়ে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া, শতকরা ৫১ ভাগ। আর্জেন্টিনা কর্ণার আদায় করে ৫টি, কলম্বিয়া পায় তিনটি। এই ম্যাচে কলম্বিয়া ফাউল করেছে ২৭টি, আর্জেন্টিনাও কম করেনি, ২০টি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ