a
চোখের জলই যেন এখন আছমা বেগমের একমাত্র সম্বল। এবারের কঠোর লকডাউনে অভাবের তাড়নায় আছমা বেগম রাজধানীর রাস্তায় মাস্ক বিক্রি করা শুরু করেছেন, এর আগে তিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
কিন্ত আছমা আগে যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেই বাড়ির মালিকের চাকরি চলে যাওয়ায় তারাও এখন গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। আর তাই আছমা বেগম কঠোর লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়ে।
তিন সন্তানের জননী। স্ট্রোক করার পর থেকে স্বামী এখন পর্যন্ত কোন কাজ করতে পারে না। আছমার কাজের টাকা দিয়েই তাদের সংসার চলতো। তাই তিনি মানিকনগর তার বাসা থেকে একটি কাজের সন্ধানে বের হয়েছিল। কিন্ত এ কঠোর লকডাউনে কোন কাজের ব্যবস্থা করতে না পেরে মাস্ক বিক্রির কথা ভাবেন। দোকানে গিয়ে তিনি দেখেন এক বক্স মাস্ক কিনতে লাগে ১১০ টাকা অর্থাৎ এক প্যাকেট মাস্কের দাম ১১০ টাকা। কিন্তু আছমার কাছে ছিল মাত্র ৯০ টাকা। এক প্রকার আকুতি-মিনতি করেই তিনি এক প্যাকেট মাস্ক কিনে বিক্রি শুরু করেন সন্তানদের মুখে দু'মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করতে।
ফাইল ছবি
করোনার কারনে সরকারের বেধে দেয়া বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে গাজীপুরে দূরপাল্লার ৯৭টি বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা ও ১০টি গাড়ি ডাম্পিং করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. মেহেদী হাসান জানান, ঈদ শেষে বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরছেন। এ সকল যাত্রী নিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার কিছু বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল করছিল।
গতকাল রবিবার বিকেল থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দূরপাল্লায় চলাচলকারী ৪৫টি বাসের চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ এবং রাস্তায় বিনা কারনে জ্যাম সৃষ্টি করার অভিযোগে আরো ১০টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে।
গাজীপুরের কোনাবাড়ির সালনা হাইওয়ে থানার ওসি মীর গোলাম ফারুক জানান, একই অভিযোগে চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দূরপাল্লার ৪৬টি বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা ও দরকারি কাগজ-পত্র না থাকায় চারটি গাড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-চৌরাস্তা এলাকায় ১৬ মে রবিবার সন্ধ্যায় দূরপাল্লার যাত্রী নিয়ে চলাচলের চেষ্টা করলে ৬ বাসচালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদিকে ময়মনসিংহের দিক থেকে যেসব দূরপাল্লার বাস ঢাকার দিকে আসছিল তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ঢাকা প্রতিনিধি: সর্বস্তরের মানুষের আইনি সেবার লক্ষ্যে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবুসালেহ মোঃ সায়েমের 'ল' টেম্পল এর উদ্বোধন করা হয়।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে জেবুন ইনডেক্স ট্রেড সেন্টারে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চেম্বারের পথচলা শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে 'ল' টেম্পলের শুভ উদ্বোধন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আমাদের দেশে অনেক গরীব মানুষ থাকায় এখানে মানুষের আইনি সেবা দেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। উপেক্ষিত মানুষদের করার মধ্যে অনেক তৃপ্তি থাকে, কনিষ্ঠ আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার আবু সায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকেও এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন এবং ইউনিভার্সিটি অব 'ল'-এ বার ভোকেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টেও আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই আইনজীবীর দেশে ফেরার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা আইনজীবীগণ।
ব্যারিস্টার আবু সায়েম বলেন সর্বস্তরের মানুষের জন্য এই 'ল' টেম্পল তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে হতদরিদ্র নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়ানী, ফৌজদারী, কর্পোরেট, মানবাধিকার ও পারিবারিক আইনসহ বিভিন্ন শাখায় আইনি সেবা প্রদান করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে আইনজীবী সাংবাদিক সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মিলন মেলায় রূপ নেয়। সকলেই 'ল' টেম্পলের নবযাত্রাকে শুভকামনা জানান।