a
ফাইল ছবি । শামীম ওসমান
লকডাউন শিথিল হওয়ায় ‘ভয় হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, কোরবানির হাট বসেছে। মানুষের মুখে মাস্ক নেই। কেউ নিয়মকানুন মানছেন না। আমার ভয় হচ্ছে। আপনার অসুখ হলে আপনার বাচ্চাকে কে দেখবে। নিজেকে রক্ষা করুন এবং আপনার আশেপাশের লোকজনকে সচেতন করুন। বুধবার (১৪ জুলাই) সদর উপজেলায় ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, সারা বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ অভাবে আছেন। বিশেষত নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো, শুধু আপনারা নন। সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। আল্লাহ এই আজাব দিয়েছেন। আমরা সবাই যদি আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করি, মাফ চাই আল্লাহ মাফ করবেন।
যারা খেটে খওয়া মানুষ আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন। আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমরা ছোট একটা দেশ, সতেরো কোটি মানুষ। দেড় বছর হয়ে গেছে। তিনি এখনও চেষ্টা করছেন মানুষ যেন ভালো থাকেন।
মহামারি করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আল্লাহ দুনিয়ায় আজাব দিয়েছেন। এখন আমাদের কিছু করার নেই। একটাই পথ, আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। আমরা হয়তো ঠিকমতো মাফ চাইছি না, নিয়ম-কানুনও মানতে পারছি না।’
এসময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা শিউলী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফাইল ছবি
মৌসুম শুরুর আগেই পাকা আম আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন নগরীর পাইকারী ও খুচরা বাজারে। হলুদ বা লাল টুকটুকে এসব আম দেখে যে কোন ক্রেতারই নজর কাড়বে। কিন্তু এসব আম বলতে গেলে অনেকাংশে বিষ।
শুক্রবার বরিশাল নগরীর তিনটি আড়তে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যিমাণ আদালত। তখন কেমিকেল দিয়ে আম পাকানো আম বিক্রির অভিযোগে ১৪০ কেজি আম জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে তিনটি আড়তকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হাই ও রয়া ত্রীপুরার নেতৃত্বে নগরীর পোর্ট রোড ও ফলপট্টিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আব্দুই হাই জানান, কার্বাইড দেওয়া অপরিপক্ক এসব আম বিক্রির অপরাধে দত্ত বাণিজ্যালয়কে ১৫ হাজার টাকা, বরিশাল ট্রেডার্সকে ছয় হাজার টাকা ও আরিফ ফ্রুটসকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে অপরিপক্ক আমগুলোকে ধ্বংস করা হয়।
ফাইল ছবি : হানিফ সংকেত
বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি মরিনি, সুস্থ আছি, বেঁচে আছি’। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুঠোফোনে মৃত্যুর গুজব প্রসঙ্গে এভাবেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।
গত সোমবার মধ্যরাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বরেণ্য ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ফেসবুকে এটাও লেখা লেখা হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় হানিফ সংকেত মারা গেছেন।
অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে হানিফ সংকেত আরও বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক, এই ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। একটি চক্র অবৈধভাবে নানা ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এর আগে এ ধরনের চক্র নায়ক রাজ রাজ্জাক, আলমগীর, শাবানা, শাবনূর, এটিএম শামসুজ্জামানসহ অনেকের সম্পর্কে এমন গুজব একাধিকবার চাউর করে তাদের ও তাদের পরিবারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। চক্রটি নিজেদের পেজ ও তথাকথিত সাইটে ভিউ বাড়ানোর জন্যও এই অপকর্ম করে থাকে বলে জানান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে সাইবার ক্রাইম আইনের আওতায় এদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন