a
ফাইল ছবি। শেখ আব্দুল কাদির কাজল
আমি একজন অতি ক্ষুদ্র মানুষ এবং জন্মগতভাবে বাংলাদেশী। ১৯৮৬ সাল থেকে মহান ও মহৎ ব্যক্তিদের সাথেই আমার পথ চলা। তৎকালীন সাপ্তাহিক দৃষ্টিকোণ পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক নোমান চৌধুরীর সান্নিধ্যে আমার প্রথম পরিচয়। জনাব চৌধুরী আমাকে অতি স্নেহ করে মহান পেশায় সাংবাদিকতা শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। কতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছি, তা আমি জানিনা। তবে বর্তমানে যে সম্পাদক সাহেবের অধীনে থেকে মাঝে মধ্যে দু'একটি লেখা পাঠাই। সম্পাদক মহোদয়ের স্নেহ ভালোবাসায় প্রমাণ করে- আমি একজন ভাল সাংবাদিক হতে না পারলেও সংবাদপত্রের একজন নিবেদিত সেবক হিসেবে কাজ করছি।
আমার সম্পাদক একজন মহান ব্যক্তিত্ব, উচ্চ শিক্ষিত এবং সৎ মানুষ। এসমস্ত মানুষের সান্নিধ্যে আসলে মনটাই ভরে যায়। ফোনে এলাকার বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে কথা বললে তাৎক্ষনিকভাবে তিনি সুন্দরভাবে সমাধানের ক্ষেত্র বের করে দেন। আমি যেখানে নিরাশ হয়ে যাই, সেখানে তিনি আশার আলো জ্বালিয়ে আশাবাদী করে তুলেন। তাই বাস্তব এই সত্যটুকু তুলে ধরে মনটাকে হালকা করার চেষ্টা করলাম মাত্র। সমাজে আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুরাচার, পাপাচারে নিমজ্জিত। মাঝে মধ্যে এসব দেখে যখন হাঁপিয়ে উঠি, তখন এসব গুণী ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে আবারও নতুন উদ্যমে কাজ করার আশা সঞ্চার হয়।
সাংবাদিক সমাজের দায়িত্ব কি? কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলা এবং সত্য সঠিক তথ্য সংগ্রহপূর্ব্বক তা যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা। একটা পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তা পকেটে রেখে সমাজে বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের কার্ড তুলে ধরলেই তাকে সাংবাদিক বলা যায়না।
১৯৮৬ থেকে দেখে আসছি মহান সাংবাদিকদের কলমের খোঁচায় বহু ঘোষখোর ঘোষের টাকা ফেরত দিতে, বহু সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারী দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে, সন্ত্রাসীরাও যতটুকু ভয় পেত কলম সৈনিক সাংবাদিককে দেখলে, সত্যিকার অর্থে ততটুকু ভয় পুলিশকেও পেতনা।
আস্তে আস্তে এই পেশায় কেটে গেলো ৩৪ বছর। এই দীর্ঘ পথচলায় অনেক ভাল সাংবাদিকদের সান্নিধ্য পেয়েছি। তারা সর্বদায় দেশ ও জাতির কল্ল্যাণে নানান চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সততা ও কর্মের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক পরিচয় দিতে নিজেকে সাচ্ছন্দবোধ করি।
তবে, বর্তমানে মফস্বল এলাকায় বিভিন্ন কথিত মিডিয়ার প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করি। নাম সর্বস্ব পত্রিকার কার্ড বানিয়ে, কার্ড দেখিয়ে সাংবাদিক পরিচয় প্রকাশ করে থাকেন কিন্তু জনৈক সাংবাদিকের আসল কাজটা কি তা নিজেই জানেন না।
এটাতো বললাম সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের একাল-সেকালের কথা। পাশাপাশি রাজনৈতিক পেক্ষাপট তো আরও খারাপ অবস্থা। ছাত্রাবস্থায় কি দেখলাম, আর এখন কি দেখছি। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখেনা। কম বয়সের ছেলে-মেয়েরা হয়তোবা মনে করবে এদেশের রাজনৈতিক ধারা পূর্ব থেকেই এরকমই। আসলে কি তাই?
পাড়া-মহল্লা, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রয় লুটেরা ও সন্ত্রাসীদের জয়-জয়কার। অসভ্য, অসত্য ব্যক্তিবর্গ আজ সমাজটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। এসমাজে ন্যায়-পরায়ণ, সভ্য-সুন্দর ব্যক্তিদের কদর নেই বললেই চলে। তাই সমাজের এই বাতাবরনে অনেকে নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন।
আজ আমি চিন্তা করি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মদের নিয়ে। এতো রক্ত দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করে তার পরিণাম যদি এই হয়, এর চেয়ে দুর্ভাগা আর কি হতে পারে! বঙ্গবন্ধু দেশটাকে স্বাধীন করে এদেশের মানুষগুলোকেও স্বাধীনতা দিয়ে আসা করেছিলেন তারা উচ্চ মর্যদায় আসীন হয়ে সারা বিশ্বে একটা মডেল হিসেবে দেশের মান উজ্জ্বল করবেন। আমরা কি সে আশা পূরণ করতে পেরেছি? এরপরও আশাবাদী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে যে যার অবস্থান থেকে যদি কাজ করি, তাহলে সমাজে অবশ্যই ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, ঠকবাজ ও বিশৃংখলাকারীরা উৎখাত হবেই হবে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
৪৮ ঘন্টার মধ্যে টমটমের ভাড়া পুন:নির্ধারন না করলে মানববন্ধন, অবস্হান কর্মসূচী এবং অবরোধের মত বৃহত্তর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদ।
গতকাল হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গনে হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে প্রচারপত্র বিলি এবং পথসভায় এই ঘোষনা দেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল। পথসভা শেষে যাত্রী কল্যাণ পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ইশরাত জাহানের নিকট তাদের তৈরি ভাড়ার চার্ট এবং তিনটি রোডে টমটম নিয়ন্ত্রনের পরিকল্পনা পেশ করেন নেতৃবৃন্দ । খুব শীঘ্রই টমটমের সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক।
যাত্রী কল্যাণের পক্ষ থেক্ টমটম ভাড়া উঠানামা ৫ টাকা করাসহ চৌধুরী বাজার থেকে সরাসরি যারা শায়েস্তনগর যাবে তারা ১০ টাকা দিবে, আবার চৌধুরীবাজার থেকে বাসষ্টেশন যারা সরাসরি যাবে তারা ১০ টাকা দিবে এবং চৌধুরী বাজার থেকে যারা পোদ্দার বাড়ি যারা যাবে তারা ১৫ টাকা দিবে এভাবে ব্যাক রোড, বাইপাস রোডের ভাড়া নির্ধারন করে প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং রাস্তার যানজট নিরসনে, লোডশেডিং থেকে মুক্তি পেতে মেইন রোড, ব্যাক রোড এবং বাইপাস রোডে লাল, সবুজ, সাদা কালারে তিনশত করে গাড়ি চলাচলের সুযোগ দেওয়া এবং নয়শতের উপরে বাকি টমটমগুলো শহরের বাহিরে সুযোগ করে দেওয়া এবং ড্রাইভারদের লাল,সবুজ, সাদা কালারের শার্ট পরিহিত আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে বলে লিখিত আকারে ফর্মুলা তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ পরিষদ।
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, মেয়র এবং সচিবকে না পেয়ে অফিসে জমা দেন বলে জানান সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল। গতকাল রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গনে হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েলের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এস এম হেলালুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বশিরুল আলম কাউছার, মো: আলমগীর রেজা, শফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ আলম চৌধুরী মিন্টু, জেলা এডভোকেট সমিতির নির্বাচিত সিনিয়র সদস্য এডভোকেট মোঃ ফয়সল আহমেদ চৌধুরী প্রমখ।
ফাইল ছবি । ড. এ কে আব্দুল মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে টিকা উৎপাদনে সহায়তা চেয়েছেন। তিনি এই সহায়তা চান চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে।
এ তথ্য জানায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন করোনা মহামারি প্রতিরোধে সহযোগিতা ও উত্তরণ নিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগেউচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে যোগ দেন। এতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই সভাপতিত্ব করেন।
চীনা উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেন। সম্মেলনে করোনা মহামারি প্রতিরোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশ, যেসব দেশের টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা আছে, সেসব দেশকে টিকা উৎপাদনে সহায়তা দিন। করোনা নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান, করোনা প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগ ও সমন্বয়, টিকাকে জনগণের সম্পত্তি ও কোভ্যাক্স উদ্যোগকে আরো শক্তিশালী করতে প্রস্তাব দেন ড. মোমেন।
সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জনগণের স্বার্থে টেকসই উন্নয়নে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।