a
ছবি সংগৃহীত: অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দীন উদ্ধার
সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাকে সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ছাড়া রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. দিদারুল আলমও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উদ্ধারের পর নেজাম উদ্দিন আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় মসজিদ ঘেরাও করে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন ছিনতাই, আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট এবং সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করার চেষ্টা করে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ)। টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সংগঠনের লোকজন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
নতুন রাস্তার ছবি: চান্দুর মোড় থেকে শ্রী রবির বাড়ি পর্যন্ত
সরিষাবাড়ি প্রতিনিধি: জামালপুর, সরিষাবাড়িতে ৪ নং আওনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে চান্দুর মোড় থেকে শ্রী রবির বাড়ি পর্যন্ত এলাকার লোকজনের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দীর্ঘ রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।
আওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনারা আশরাফ ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি এলাকার যুব সমাজকে সাথে নিয়ে আবাল, বৃদ্ধ সকলেই সহযোগিতা করে রাস্তাটি সম্পন্ন করা হয়।
৪ নং আওনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিনারা আশরাফের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যভাবে রাস্তাটি নির্মাণ করতে যারা অবদান রেখেছেন তারা হলেন- মনিরুজ্জামান মাছুম, ফিরোজ আলম সোহাগ, সাইম সরকার, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মোতালেব দ্বিপন, কর্ণেল, বেল্লাল হোসেন, বাচ্চু মিয়া, রাজ্জাক, আসাদ, ছালাম, সাইদুল দোকানদার, রেজা দোকানদার, খোকন দোকানদার, আনছার আনিস, মামুন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭১তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে বাঁচানোর জন্য ভবিষ্যতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনারাও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলবেন। সবাইকে উৎসাহিত করবেন। মাস্ক পরবেন। ঘরে ফিরে গরম পানির ভাপ নেবেন। গড়গড়া করবেন।
বিসিএস কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের সুপারিশ পেয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করবো। আপনাদের ওপরই ওই দায়িত্ব পড়বে। ৪১-এ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল সৈনিক আপনারা। আপনাদেরকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে- আমরা বাঙালি, আমাদের মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়াতে হবে। এজন্য মানুষের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আপনাদের কাজ করতে হবে। জনগণ প্রজাতন্ত্রের মালিক, সেটা মাথায় রেখে তাদেরকে সেবা দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০-২১ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম। করোনার কারণে অনেক কিছু করতে পারিনি। তবে সব ভূমিহীন ও গৃহহীনকে ঘর দিচ্ছি, কেউ যেন বাদ না যায় সবাই সেদিকে নজর রাখবেন। গ্রামে শহরের সেবা দেব, এটা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য মাঠ প্রশাসনের সবাই আমাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
শেখ হাসিনা বলেন, গণমুখী প্রশাসন গড়ে তুলতে নানা কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণের জন্য ফেলোশিপ বৃত্তি প্রদানসহ সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিজ্ঞানের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিচ্ছি। অবশ্য নতুন প্রজন্ম প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চিন্তা-ভাবনা ও শিক্ষায় অন্যান্যদের চেয়ে অগ্রগামী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়া এবং মানুষের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক যে, করোনার কারণে আমি শারীরিকভাবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করেছি, যার কল্যাণে ভার্চুয়ালি আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কোর্সে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।