a হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ১২ মে, ২০২১, ০৩:৫৯
হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭

ফাইল ছবি

আজ ‍শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দুইফেরিতে তাড়াহুড়ো করে উঠতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১২ মে) শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুইটি ফেরিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে শিমুলিয়া- বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে হুড়োহুড়িতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল।

ঘাট ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে যাত্রী বোঝাই করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহ-পরান ছেড়ে আসে। বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাবাজার ৩ নং ফেরি ঘাটে নোঙর করে ফেরিটি। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় নামার সময় তাড়াহুড়ো করায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বুধবার ভোর থেকেই শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। কয়েক দফা বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হলেও ঠেকানো যাচ্ছিলো না মানুষের চাপ। শেষ পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিসি ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হয়। এমনকি আজ বুধবার ১২ মে  সকালে যাত্রীর চাপ কমাতে কয়েকটি লঞ্চ চলাচলের অনুমতিও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঈদের বাকি আরো একদিন তাই যাত্রীদের তাড়াহুড়ো না করার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন ঘাটে এখন ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এ নৌরুটে স্বাভাবিক ভাবেই ফেরি চলাচল করেছে। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

ফরিদপুরে লকডাউনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষ, থানা ঘেরাও


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩৩
ফরিদপুরে লকডাউনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষ, থানা ঘেরাও

ফাইল ছবি

ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতা। খবরে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সালথা উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজার থেকে এই সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী বরাত দিয়ে জানা যায়, ওই সময় অস্ত্রধারী আনসার সদস্য ও পিএকে নিয়ে এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। এসময় বাজারে লোক সমাগম ও দোকানপাট খোলা দেখতে পেয়ে এসিল্যান্ডের সহকারী একজনকে লাঠিপেটা করে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জনসাধারণ। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে এসিল্যান্ড তার টিম নিয়ে উপজেলায় ফিরে যায়।

পরে সালথা থানার পুলিশ ফুকরা বাজারে গিয়ে জনতার সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় এসআই মিজান ও দুই কনস্টেবল আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ফুকরা বাজারে এলে জনতা আবারও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ থানায় ফিরে যায়।

সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড ফুকরা বাজারে লক ডাউন কড়াকড়ি করতে আসার পর আগে বাজার কমিটির সভাপতিসহ অন্যদের সাথে বসা উচিত ছিলো। তাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে লক ডাউন কার্যকর করা হলে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না।

সেখানকার বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাওসার খান বলেন, তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। তবে পরে শুনেছেন জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মারপিট করার পর এসব ঘটনার সূত্রপাত হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনা সূত্রপাত হওয়ার পরে বিভিন্ন ইউনিয়নে মোবাইলে যোগাযোগ করে ‘পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে’ এ জাতীয় গুজব ছড়িয়ে পড়লে সালথায় লোক জড়ো করা হয়। পরে সন্ধ্যার পর হাজার হাজার জনতা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন। এক পর্যায়ে জনতা উপজেলা কমপ্লেক্স এর প্রধান ফটক ও থানার ফটকের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে এবং গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী পুলিশ সুপার সুমিউর রহমান রাত সাড়ে ১০টার দিকে গনমাধ্যমকে জানায়, সাধারণ মানুষের ছত্রছায়ায় মৌলবাদী গোষ্ঠী এ সুযোগ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যাত্রীদের চাপে ছাড়লো ফেরি


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শনিবার, ০৮ মে, ২০২১, ০৫:৩৬
যাত্রীদের চাপে ছাড়লো ফেরি

সংগৃহীত ছবি

 

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ শনিবার সকাল থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। একে একে যখন ঘাটে বাড়তে থাকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ তখন ফেরি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বেলা ২টা নাগাদ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে এনায়েতপুরী ও শাহ পরান নামের আরো দুটি ফেরি বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এ নিয়ে একইদিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোট তিনটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।

শনিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় ৩নং ফেরিঘাট থেকে ফেরি এনায়েতপুরী ও ২নং ফেরিঘাট থেকে শাহ পরান বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঘাটে যাত্রীদের দাবি ছিল সামনে ঈদ পরিবার সবাই তাদের আশায় তাকিয়ে আছে, এই অবস্থায় তারা নিরুপায় হয়ে শহর ছাড়ছে। 

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে দেখা যায়, ঘাটে সাধারণ যাত্রী এম্বুলেন্স নিয়ে রোগী অপেক্ষা করছে কিন্তু ফেরিসহ সব যান নৌযান চলাচল  বন্ধ। অন্যদিকে ভিআইপিদেরকে নদী পাড় করে দিচ্ছে কোস্টগার্ডের একটি দল, যা সাধারণ যাত্রীদের উপর একপ্রকার বৈষম্য বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ