a
ফাইল ছবি । লকডাউনে আইন অমান্যকারীদের লঘু শাস্তি
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব, আনসার এবং সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের গ্রেফতার করা হয় ৫৫০ জনকে। সাজা দেওয়া হয়েছে ৮ ব্যক্তিকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২৭৪টি গাড়িকে মামলা দেওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৬টি গাড়ি। রেকারিং করা হয়েছে মোট ৭৭টি গাড়ি। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়া যারাই বের হবে তাদেরকেই মামলার মুখোমুখি হতে হবে।
গ্রেফতারকৃতদের বাইরে যারা আটক হয়েছেন তারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর যদি যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন পুলিশের এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
ফাইল ছবি: আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম
উপহার পাওয়া গাড়িটিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরিত করে বিনামূল্যে রোগী ও মরদেহ বহনের কাজে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুনারুঘাটে আলোচিত সেই শিক্ষকের বাড়িতে এসে গাড়ির চাবি নেওয়ার সময় এ ঘোষণা দেন তিনি।
হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দিতে চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামে আগে থেকেই মঞ্চ সাজিয়ে রেখেছিলেন শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান। দুপুর পৌনে ৩টায় সেই মঞ্চে এসে উঠেন হিরো আলম।
পরে উপস্থিত লোকজনের সামনে হিরো আলমকে নোহা মাইক্রোবাসটির চাবি ও কাজগপত্র হস্তান্তর করা হয়। এ সময় হিরো আলম বলেন, ‘মুখলিছুর রহমান নিজের ঘোষণা অনুযায়ী গাড়িটি উপহার দিয়ে বড় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
আমি এই গাড়িটিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরিত করব। সেটি দিয়ে দরিদ্র রোগী এবং দরিদ্র পরিবারের কেউ মৃত্যুবরণ করলে মরদেহ ব্যবহারের কাজে ব্যবহার করা হবে। ’
এম মুখলিছুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি সিলেট বিভাগবাসীর পক্ষ থেকে হিরো আলমকে গাড়িটি উপহার দিয়েছেন। এ সময় তার হাতে একটি সম্মাননা স্মারকও তুলে দেওয়া হয়। এ সময় হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
হিরো আলম সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, তা মোকাবিলার জন্য তাকে নিজের গাড়িটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। অবশেষে মঙ্গলবার গাড়িটি হস্তান্তর করলেন তিনি।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ বাংলাদেশে বিশ্বমানের শিক্ষার তীব্র অভাব। যার ফলে শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারছেনা এবং বেকারত্বের আগুনে পুড়ে ছাই হচ্ছে লাখ লাখ স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ও গ্রন্থগত বিদ্যার সার্টিফিকেট।
এমন করুণ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে সমান গতিতে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে তরুণ কলামিস্ট ও সমাজকর্মী মুহম্মদ সজীব প্রধান এর হাত ধরে ২০২০ সালে এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার প্লানেট ( ইসিপি) এর সূচনা হলেও চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাক শিক্ষার্থী নিয়ে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীসহ দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা ও স্মার্ট ক্যারিয়ার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংগঠনটির অগ্রগতি অবাক করার মতো। শিক্ষা ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য গতকাল ১৭ মে রাত সাড়ে নয়টায় একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব হিডেন ট্যালেন্টস এর সভাপতি সাব্বির খান সায়েম। বিশেষ অতিথি স্বরবর্ণ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট হাসিবুল হাসান শান্ত।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাঈমা ফেরদৌস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিল হোসেন এবং জাফর আলী সহ আরো অনেকে। ভার্চুয়াল এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার প্লানেটের প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ সজীব প্রধান এবং পুরো সভায় নান্দনিক উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক ও সংগঠক সিফাত রাকা।
সভায় অতিথিরা সোনার বাংলাদেশ গড়ায় বিশ্বমানের শিক্ষা এবং বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তরুণ প্রজন্মকে বের করে সুন্দর ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অতিথিরা এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার প্লানেটের অনন্য উদ্যেগের প্রশংসা করেন এবং তারা আশা করেন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সংগঠনটি নিরন্তর কাজ করে যাবে।
উক্ত মিটিংয়ে সাব্বির খান সায়েম আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব অর্পণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার রিতার ওপর। সানন্দে দায়িত্ব গ্রহনের পর রিতা বলেন, “দায়িত্ব বড়ই ভয়ংকর রকমের সুন্দর আকাঙ্খিত বস্তু। আজ থেকে আমি আপনাদের সেবক। দেশ ও দশের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে দূর্দান্ত কিছু করাই আমার অঙ্গীকার। আমার এ যাত্রায় আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।” ইসিপি এর অন্যান্য সদস্যরাও সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ায় অবদান রাখতে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।