a
ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন আর নেই। মৃত্যুকালে এতার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। মনে করা হচ্ছে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের কোহ সামুইতে নিজের ভিলায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শেন ওয়ার্ন। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের কোহ সামুইয়ে তার ভিলায় নিস্তেজ অবস্থায় পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি। জানা গেছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
শেন ওয়ার্ন সর্বকালের সেরা লেগ স্পিনার ছিলেন। তিনি ১৪৫ টেস্টে অংশ নিয়ে রেকর্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০৮ উইকেট শিকার করেন। তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেন শ্রীলংকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার মুত্তিয়া মুরালিধরন। আন্তর্জাতিক ২৯৩টি ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নিয়ে ২৯৩ উইকেট শিকার করেন শেন ওয়ার্ন।
১৯৯২ সালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট অভিষেক হয় শেন ওয়ার্নের। ১৯৯৯ বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন এই ডানহাতি লেগ স্পিনার। এছাড়া ১৯৯৩ থেকে ২০০৩, এই ১০ বছরে পাঁচবার অ্যাশেজজয়ী অজি দলের সদস্য ছিলেন।
সম্প্রতি অ্যাসেজেও তাকে ধারাভাষ্য দিতে দেখা গেছে। শেন ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিকেএসপিতে আজ (রোববার) সাকিবকে ছাড়াই ওল্ড ডিওএইচএসের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। এ খেলায় বৃষ্টি আইনে ৯ রানে জয় পায় সাদাকালোরা। ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ইরফান শুক্কুরের ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান। এছাড়া ৫ রান আসে পেনাল্টি থেকে।
এরপর ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংসের ১৪তম ওভারে বৃষ্টি নামলে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১২৫ রান। যেখানে ১১৫ রানে থামে ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংস। এতে ৯ রানে জয় পায় মোহামেডান।
প্রসঙ্গত, ডিপিএলের আগে সাত রাউন্ডের মধ্যে নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচে টানা জয় পায় মোহামেডান। এরপর টানা তিন ম্যাচে হয় হার। তারপর সপ্তম রাউন্ডেই বাধে বিপত্তি। তবে আবাহনীর বিপক্ষে সাকিব কাণ্ডের পরেও জয় তুলে নেয় সাদাকালোরা। সে ম্যাচের পরেই নিষিদ্ধ হন সাকিব। আজ তারা ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নামে।
ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম নগরের অন্যের হয়ে তিন বছর কারাভোগের পর মুক্ত হওয়ায় ১৩ দিনের মাথায় সেই মিনু আক্তারের (৩০) সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। নগরের বায়েজিদ সংযোগ সড়কে গত ২৮ জুন রাতে ট্রাকচাপায় মিনু গুরুতর আহত হন। ২৯ জুন ভোরে মিনুর মৃত্যু হয়। তবে সেই সময় পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। পরে তদন্ত শেষে জানা যায় যে, তিনি সেই আলোচিত মিনু আক্তার।
রবিবার বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়ের ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ট্রাকচালককে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মিনুর বড় ভাই মো. রুবেল সাংবাদিকদের জানান, আমার বোনকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে কি না, তা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তাকে যারা জেলে পাঠিয়েছিলেন, তারা এই ঘটনায় জড়িত কি না, তার তদন্ত হওয়া উচিত।
এদিকে,গত ১৬ জুন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে তিন বছরেরও অধিক সময় কারাভোগ শেষে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।