a
ছবি: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি....রাজিউন)। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি।
রাজধানীর বারিধারা জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা, এরপর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ছাত্রজীবনে স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্নের পর ব্যারিস্টারি পড়তে যান লন্ডনে এবং মিডল টেম্পল-ইন এ ভর্তি হন। সেখান থেকে ফিরে এসে ১৯৬৫ সালে তিনি হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯৬৯ সালে বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর ইত্তেফাক সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব তিনি পালন করেন। পরে ১৯৭৩ সালে ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক নতুন রূপ ‘ওমিক্রনে’ আক্রান্ত সংখ্যা। ইউরোপ ও আমেরিকায় আশঙ্কাজনক হারেই বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ওমিক্রন।
অনেক মানুষের কাছে ওমিক্রন সাধারণ ঠাণ্ডার মতো মনে হবে। অনেকে বলেছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের গলা শুকিয়ে যাওয়া, সর্দি লাগা, শরীরের জয়েন্টে ব্যথা বা মাথা ব্যথার উপসর্গ।
এব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুনশি বলেছেন, “ওমিক্রনের লক্ষণগুলো খুবই হালকা ধরনের। ডেলটা বা অন্য ধরনগুলোর মতো অতোটা প্রকট নয়। অনেকের ফুসফুসের ওপরের দিকে ব্যথা হতে পারে। সাধারণত সিকোয়েন্সিং করে এটা শনাক্ত করা যায়।”
তবে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেলেই যেসব সতর্কতা নেওয়ার কথা বারবার বলা হয়েছে, সবাইকে সেগুলো নিতে হবে। শুধু ওমিক্রনের জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নেই।
এর আগের করোনাভাইরাসের ধরনগুলোয় আক্রান্ত হলে স্বাদ বা গন্ধ চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটতো। এছাড়া কাশি এবং উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর হতো। এখনও করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এই তিনটি প্রধান লক্ষণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে অনেক সময় হালকা ঠাণ্ডা বা সাধারণ অসুস্থতার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এছাড়া আরও যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
•বুকের ওপরের অংশে ব্যথা
•মাথাব্যথা, জ্বর
•ক্লান্ত লাগা
•শরীরে ব্যথা
•গলা শুকিয়ে যাওয়ার অনুভূতি
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক তৌফিক আহমেদ বলেছেন, “যদিও ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন অনেক বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তে জানা যাচ্ছে, ওমিক্রন একটু হালকা ধরনের, আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কম।”
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারী বিশেষজ্ঞ ড. আব্দি মাহামুদ বলেছেন, “ওমিক্রন যে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম ক্ষতিকর, সেটি বলার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। সুতরাং মুল বার্তা হল- আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলেই আপনি নিরাপদ।”
যে দেশে প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়, সেই দক্ষিণ আফ্রিকায় রোগটি পিক অবস্থায় চলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি। বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়া সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিতের মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ইতোমধ্যে তার স্থায়ী মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, তার (খালেদা জিয়া) সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পক্ষে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মত দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য আমাদের মতসহ প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যে আবেদন করা হয় সেটিতে স্থায়ীভাবে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় সেটি বিবেচনা করেনি। বিদেশে যেতে পারবেন না এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে- পূর্বের দেয়া এ দুটি শর্ত বহাল রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে রয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি ফিরলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
এর মধ্যে ১১ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। শারীরিক দুর্বলতার কারণে ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। ইতোমধ্যে করোনার দুই ডোজ টিকাও নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।