a
ফাইল ছবি
তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর বিদেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের কীর্তি গড়লেন টাইগাররা। বিদেশের মাটিতে সর্বশেষ ২০০৯ সালে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তিন ম্যাচের প্রতিটি জিতে নেয় টাইগাররা। এর আগে ২০০৬ সালে কেনিয়ার মাঠে তাদেরকে বাংলাওয়াশ করেছিল লাল-সবুজের পতাকাধারীরা। আর এবার তৃতীয় দল হিসেবে বাইরে গিয়ে সবকটি ম্যাজ জিতল সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা দলটি।
স্বাগতিকদের ছুড়ে দেয়া ২৯৯ রানের টার্গেট তাড়া করে ৫ উইকেটে ৩০২ রান করে সফরকারিরা। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে টাইগাররা। আগামী ২২ জুলাই থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ২৩ জুলাই এবং একদিন করে বিরতি দিয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে ২৫ জুলাই। সবগুলো ম্যাচই হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে।
সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত পঞ্চমবার টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ঢাকায় তিন মাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ দল। ২০১৮ সালে ৩-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৯ সালেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয় টাইগাররা।
হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেছে জিম্বাবুয়ে। রেগিস চাকাবা ও তাদিওয়ানাশে মারুমানির ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াচ্ছেন। দুই ওপেনারের জুটি বড় হতে থাকলতে সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন তামিম। নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই ব্রেক থ্রু দিলেন সাকিব। তার বল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ৮ রান করা তাদিওয়ানাশে মারুমানি।
চাকাভাকে সঙ্গ দিয়ে দলীয় স্কোর বড় করছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক্ক টেইলর। জুটি ভাঙতে দীর্ঘদিন পর মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে নিয়ে আসলেন তামিম। এসেই অধিয়ায়কের আস্থার প্রতিদান দিলেন রিয়াদ। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে তামিমের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছিয়েন টাইগার এই অলরাউন্ডার। ৩৯ বলে ২৮ রান করেই ফিরলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। ২০১৯ সালের পর ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম এ সংস্করণে কোন উইকেট পেলেন মাহমুদউল্লাহ!
দীর্ঘদিন পর বোলিংয়ে এসে জোড়া শিকার করলেন মাহমুদউল্লাহ। টেইলরের পর মায়ার্সকেও ফেরালেন তিনি। ৩৮ বলে ৩৪ রান করে ফিরেছেন মায়ার্স। এর আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলেছেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার রেজিস চাকাভা। চাকাভার ফিফটির আগেই ১০০ রান পেরিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।
মাহমুদউল্লাহর পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হেনেছেন মোস্তাফিজ। মাধেভেরেকে সাকিবের তালুবন্দী করে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন কাটার মাস্টার। ৪ বলে ৩ রান করে ফিরেছেন মাধেভেরে।
সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন রেগিস চাকাভা। কিন্তু তাসকিনের গতিতে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফিরলেন। তাসকিন পেলেন ম্যাচের প্রথম উইকেট। ৯১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৮৪ রান করে বিদায় নেন চাকাভা চাকাবা ফেরেন সাজঘরে।
চাকাভার বিদায়ের পর স্বাগতিকদের হাল ধরেছেন সিকান্দার রাজা। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৯ বলে ১৭তম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়লে বড় ইনিংসের দিকেই এগোতে থাকে জিম্বাবুয়ে। রাজার পর বার্লও অর্ধশতক পূর্ণ করেন। ৫৪ বলে ৫৭ রানে ফেরেন রাজা। জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটসম্যান ফিরেছেন মোস্তাফিজুরের বলে মোসাদ্দেকের ক্যাচ হয়ে।
এরপর এক ওভারেই তিন উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। দলীয় ২৯৪ রানে বার্লকে থামান টাইগার এই অলরাউন্ডার। আউট হওয়ার আগে বার্ল করেছেন ৪৩ বলে ৫৯ রান। পরের বলে ডোনাল্ড তিরিপানোকে করেন বোল্ড। তেন্দাই চাতারা হ্যাটট্রিক হতে দেননি। দুই বল পরই বোল্ড হন ১ রানে।
শেষ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে শূন্য রানে বোল্ড করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
২৯৯ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। দুজনের জুটিতে ৮৮ রান উঠতেই তামিমের সঙ্গ ছাড়লেন লিটন। মাধেভেরের স্পিনে মারুমানির ক্যাচে বন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই টাইগার ওপেনার। আউট হবার আগে ৩৭ বলে ৩২ রান তুলেছেন লিটন।
তামিমের সঙ্গে ৫৯ রানেই জুটি থামলো সাকিবের। পেসার লুক জংওয়ের অফস্টাম্পের বাইরের লেন্থ বল কাট করতে গিয়েছিলেন সাকিব। টাইমিং মেলাতে পারেননি। ক্যাচ ধরে ফেললেন চাকাভা। তবে আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তের পর এটি মানতে পারেননি সাকিব। যদিও এতে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ৪২ বলে সাকিবের রান ৩০।
টেন্ডাই চাতারাকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন তামিম ইকবাল, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা চতুর্থ। মাত্র ৮৭ বলেই মাইলফলকে গেলেন তিনি। ওয়ানডেতে এটি তার দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১০ সালে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ওয়ানডেতে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।
ড্রিঙ্কস বিরতির পরই ফিরে গেছেন তামিম। ডোনাল্ড তিরিপানোর খোঁচা দিয়ে ধরা পড়েছেন উইকেটের পেছনে চাকাভার হাতে। ৯৭ বলে ১১২ রান করে ফিরতে হলো তাকে। এর ঠিক পরের বলেই ক্যাচ আউট মাহমুদউল্লাহ। তিরিপানোর বলে ইনসাইড এজড হয়ে চাকাভার হাতেই পড়লো সেই বল।
গেল দুই ম্যাচের ব্যর্থতার পর শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন মিঠুন। তবে ইনিংস বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। মাধেভেরেকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। সীমানার ওপর সেটি নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা। ৫৭ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন মিঠুন। ভেঙেছে নুরুলের সঙ্গে তার ৬৪ রানের জুটি। শেষ ৬ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩০ রান। ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে পূর্ণ করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন নুরুল হাসান সোহান। ৩৯ বলে ৪৫ রান অপরাজিত থাকেন তিনি। এদিকে আফিফ অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ২৬ রানে। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলমান ৫ ম্যাচ টিটুয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আজ টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখতে আজকেও একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ তবে আজ ও বরাবরের মত ব্যর্থ ওপের সৌম্য সরকার, আজ ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করতে পেরেছে মাত্র আট রান। এরপর কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাটিং করতে থাকেন নাইম শেখ দলীয় ৪৮ রানে সাকিব ফিরে গেলে এর পর আর কেউ দলের হার ধরতে পারেনি সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ২৮ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন নাইম শেখ শেষ দিকে শেখ মাহাদির ১৬ বলে ২৩ রান না হলে শত রান ও করতে পারতো না বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে মাত্র ১০৪ রান যোগ হয় বাংলাদেশের খাতায়।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ম্যাথু ওয়েডের উইকেট হারায় সফরকারীরা তারপর সতর্ক ব্যাটিং করতে থাকে অজিরা ওয়ানডাউনে নামা ক্রিসচিয়ান সাকিবের এক ওভারে ৫টি ছক্কা মেরে সেখান থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন তারা। যদিও আজ মুস্তাফিজুর রহমানের চোখ ধাধানো বোলিং হার ঠেকাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতে ৩ উইকেট হাতে রেখেই সফরের প্রথম জয় তুলে নেয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড করেছেন সাকিব ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান মূলত সেখন থেকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
স্কোরকার্ডঃ
বাংলাদেশঃ ১০৪/৯ (নাইম ২৮, মাহাদি ২৩, সুইপ্সন ৩/১২, টাই ৩/১৮)
অস্ট্রেলিয়াঃ ১০৫/৭( ক্রিসচিয়ান ৩৯, এশটন আগার ২৭ মুস্তাফিজ ২/৯, মাহাদি ২/১৭)
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ঢাকা প্রতিনিধি: সর্বস্তরের মানুষের আইনি সেবার লক্ষ্যে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবুসালেহ মোঃ সায়েমের 'ল' টেম্পল এর উদ্বোধন করা হয়।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে জেবুন ইনডেক্স ট্রেড সেন্টারে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চেম্বারের পথচলা শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে 'ল' টেম্পলের শুভ উদ্বোধন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আমাদের দেশে অনেক গরীব মানুষ থাকায় এখানে মানুষের আইনি সেবা দেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। উপেক্ষিত মানুষদের করার মধ্যে অনেক তৃপ্তি থাকে, কনিষ্ঠ আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার আবু সায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকেও এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন এবং ইউনিভার্সিটি অব 'ল'-এ বার ভোকেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টেও আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই আইনজীবীর দেশে ফেরার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা আইনজীবীগণ।
ব্যারিস্টার আবু সায়েম বলেন সর্বস্তরের মানুষের জন্য এই 'ল' টেম্পল তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে হতদরিদ্র নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়ানী, ফৌজদারী, কর্পোরেট, মানবাধিকার ও পারিবারিক আইনসহ বিভিন্ন শাখায় আইনি সেবা প্রদান করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে আইনজীবী সাংবাদিক সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মিলন মেলায় রূপ নেয়। সকলেই 'ল' টেম্পলের নবযাত্রাকে শুভকামনা জানান।