a
ফাইল ছবি : তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে স্বপ্নের মতো এক সেশন কাটালো বাংলাদেশ দল। এই সেশনে একাধিক অর্জনের সাক্ষী হয়েছে স্বাগতিকরা। দাপুটে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কান বোলারদের শাসন করেছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার। দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়েছেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম আর জয়।
দলীয় ১৬২ রানে সাজঘরে ফেরেন জয়। ৫৮ রান করে তিনি ফিরলেও অন্যপাশে তামিম তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ১০ম টেস্ট শতক। দীর্ঘ ২৬ মাসের বেশি সময় পর তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন তিনি। এই ফরম্যাটে লঙ্কানদের বিপক্ষে এটি তার প্রথম শতক।
এই ফরম্যাটে সবশেষ শতকটি করেছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এর মাঝে কেটে গেছে ১৬ ইনিংস। যেখানে ৬টি অর্ধশতক হাঁকালেও ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাচ্ছিলেন না।
৮৯ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যান তামিম, সেখান থেকে ফিরেই সেঞ্চুরির কোটা পূর্ণ করেন। ৭৩ বলে ফিফটি করলেও পরের পঞ্চাশ করতে লেগেছে ৮৮ বল। সাকুল্য তামিমের এই শতক এসেছে ১৬২ বলে। যেখানে নেই কোনো ওভার বাউন্ডারি, চার মেরেছেন ১০টি। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
ইমরুল কায়েসের শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে এবারও ঠাঁই হয়নি। যদিও তিনি প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন। এ বাহাঁতি ব্যাটম্যানের জন্য ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যই বটে।
মূল স্কোয়াড ঘোষণার পর ইমরুলের ঠাঁই না পাওয়া নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বারংবার প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে নির্বাচক প্যানেলকে। নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এতে কিছুটা।
বিতর্কিত সব প্রশ্নের অবসান ঘটাতে অবশেষে ইমরুলকে মূল স্কোয়াডে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তবে প্রাথমিক স্কোয়াডে রাখার কারণ খোলাশা করেছেন প্রধান নির্বাচক।
নান্নু বলেন,‘ডমেস্টিকে কি আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স করছে ও? দলের লিস্ট লম্বা আমি তো করতেই পারি। ৩০ জনের তালিকা আমি করি সবসময়ই। যেহেতু আমাদের ‘এ’ দলের কোনো খেলা নেই, তাই আমাদের কিছু খেলোয়াড় তৈরি রাখতে হবে। সামনে তো অনেক খেলা, পর্যাপ্ত খেলোয়াড় না থাকলে অসুবিধা।’
নান্নু আরও বলেন, ‘এই কোভিড সিচুয়েশনে বায়োবাবলে রেখে খেলোয়াড়দের খেলানো অনেক কষ্টকর। আল্লাহ না করুক, কেউ অসুস্থ হলে কী করব? তখন এই লম্বা তালিকা কাজে লাগবে। কারণ বলা যায় না কাকে কখন দরকার হয়। সেজন্য এরকম করছি আমরা।’
২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের জার্সিতে ইমরুল সর্বশেষ খেলেছেন, ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন।
ছবি সংগৃহীত
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজও দেশজুড়ে চলমান কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। অপরদিকে, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে সকল সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার সংক্রান্ত সহিংসতার পর গতকাল থেকে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে এবং জনমনেও স্বস্তি নেমে এসেছে। গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। বর্তমান প্রজন্ম কারফিউ সম্পর্কে অনেকটা অপরিচিত, তাই এটি সম্পূর্ণভাবে না উঠা পর্যন্ত তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।
আজও অফিস খোলা থাকবে গতকালের ন্যায় সকাল ১১ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে যখন ছাত্রদের সাথে সকল পেশাজীবি জনগণ ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়লে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গেলে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি, বিজিবি ও সর্বশেষে পরিস্থিতি বেসামাল হলে সেনাবাহিনী নামেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। উল্লেখ্য, ছাত্র/ছাত্রীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশী-বিদেশী কিছু দূষ্কৃতিকারী এসব আন্দোলনের মাঝে ঢুকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনায় ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগ করে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিসাধন করে। এসব অপূরণীয় ক্ষতি সাধনে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের ধরতে আইন-শৃংখলা বাহিনী চিরুনী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
কারফিউ শিথিলের সময় সারাদেশে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার পাশাপাশি তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলোও খোলা রাখা হবে।
এদিকে কারফিউ শিথিলের সময়গুলোতে সড়ক-মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। রাজধানীতে আসা-যাওয়া করছে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাস। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃংখলা রক্ষাবাহিনী সতর্কতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সূত্র: যুগান্তর