a
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অজিদের জার্সিতে আর কখনো দেখা যাবে না বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে। গত বছর আচমকা ওয়ানডে থেকে বিদায় নেয়ার পর এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিটেক থেকে নিলেন।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অবসরের ঘোষণা দেন ফিঞ্চ। তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়াতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে এই সংস্করণে এবার নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে। তিনি ৭৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর আগে ওয়ানডে ছাড়লে নেতৃত্ব পান প্যাট কামিন্স।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফিঞ্চ বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমি ২০২৪ সালে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলতে পারব না। আমার থামার জন্য এবং পরবর্তী আসরের আগে দলকে গড়ে ওঠার জন্য এটাই সঠিক সময়।’
ফিঞ্চ আরও বলেন, ‘আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, বিশেষ করে আমার স্ত্রী অ্যামি, আমার সতীর্থরা, ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের সমর্থনের জন্য আমাকে সর্বোচ্চ স্তরে আমার পছন্দের খেলাটি খেলতে দেওয়ার জন্য। আমি সেই সমস্ত ভক্তদেরকেও অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আমাকে সমর্থন করেছেন।’
তার অধীনে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতে এটিই অজিদের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি: ইমরান খান
১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির ক্রিকেটের বড় সব অর্জন নিয়ে ভিডিও বানিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে সেই ভিডিওতে ছিলেন না দেশটির ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। মূলত রাজনৈতিক কারণেই ভিডিওটি থেকে বাদ দেওয়া হয় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে।
এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পিসিবি। ভিডিও সরিয়ে ফেলে পিসিবিকে ক্ষমা চাইতে বলেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম। সেই সমালোচনায় অবশেষে ভিডিওটি সরে ফেলে নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। টুইটারে আপলোড করা নতুন ভিডিওতে আছেন ইমরান খান।
আগের ভিডিওতে কেন ইমরান খান ছিলেন না, সেই ব্যাখ্যাও দিয়ে টুইটারে পিসিবি লিখেছে, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ সামনে রেখে পিসিবি প্রচারণামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। সেই ভিডিওটি ছিল সংক্ষিপ্ত, অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বাদ পড়ে গিয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ ভিডিওতে সেই ভুলগুলো সংশোধন করা হয়েছে।’
ফাইল ফটো:বিক্ষোভকারীদের দমাতে গুলি, কাঁদানে গ্যাস
লাখো জনতার বিক্ষোভ দমাতে গুলি ছুড়ছে পুলিশ। সারা রাত নিরাপত্তা রক্ষীদের অভিযান সত্ত্বেও মিয়ানমারের রাজপথে লাখো জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। রোববার সকাল থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কিছু এলাকায় কঠোর হতে থাকে নিরাপত্তা রক্ষীরা এবং ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করে।
ঐতিহাসিক মন্দিরের শহর বাগানে আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী। অবশ্য কয়েকটি শহরে এখনও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।
সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে মান্দালয়ে ২ মিনিট নীরবতা পালন করে রাজপথে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
এরআগে রাতভর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় নিরাপত্তা রক্ষীরা। এমন পরিস্থিতিতেও সকালের দিকে রাজপথে জড়ো হন বিক্ষুব্ধরা। এই এলাকায় সকালের দিকে গুলি ছুড়েছে পুলিশ। পরে অন্তত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে।
পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে আবার কাউকে বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭শ’র বেশি মানুষকে।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং একজন পুলিশ সদস্যও প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।