a
ফাইল ছবি
কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবার দুই ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টুয়ান্টি সিরিজ জেতার দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। লক্ষ্যটাও আহামরি কিছু ছিল না। ১২০ বলে ১২৯ রান করতে পারলেই মিরপুর শের-ই-বাংলায় রচিত হতো ইতিহাস। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে সেই আশায় গুড়োবালি। আজ ব্যাটিং ভরাডুবিতে ৫২ রানে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম হারের স্বাদ পেল টিম টাইগার্সরা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডকে ১৩০ রানের মধ্যে আটকে রাখার জন্য আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। তবে আমরা প্রত্যাশিত মানের ব্যাটিংয়ে করতে পারিনি। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারলেও পরপর উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছি।’
টাইগার কাপ্তান আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিল মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের। যদি আমরা দুই-একটা পার্টনারশিপ গড়তে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো।’ পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় খেলায় হেরে গেলেও সিরিজ জয়ে আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বলেন, ‘সিরিজে এখনো দুটি ম্যাচ আছে। আশা করছি, আগামী ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করবো।’
এদিকে, কিউইদের দেওয়া ১২৯ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) অগোছালো বাংলাদেশকেই দেখা গেল। ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে এসে হারের মুখ দেখে টিম টাইগার্স। অন্যদিকে, আরাধ্য জয়ের দেখা পেল সফরকারী নিউজিল্যান্ড দল। তবে ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই চার মেরে শুভ সূচনা করেছিলেন নাঈম শেখ।
বাংলাদেশও আশা জাগানিয়া শুরু পেয়েছিল। কিন্তু দলীয় ২৩ রানের মাথায় বাংলাদেশের চিরচেনা ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। কোল ম্যাকোঞ্চির বলে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন, তবে গতি বুঝতে পারেননি। ধরা পড়লেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১১ বলে ১৫ রান। লিটনের পর ফিরেন টপ অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া মেহেদী হাসানও। এজাজ প্যাটেলের বল জোরের উপর খেলতে গিয়ে মিস করেছেন। শেষ পর্যন্ত আউট হলেন ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে। মিড-অনে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন হ্যানরি নিকোলস।
শুরু থেকেই অস্বস্তিতে থাকা মেহেদী শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৪ বলে মাত্র ১ রান করে। শুরু থেকেই শট খেলার চেষ্টা করার লক্ষ্য নিয়েই যেন নেমেছিলেন সাকিব, তবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেললেও আজ শুরু থেকেই ছন্দহীন ছিলেন নাঈম। অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে দলের হাল ধরার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধেই। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত নিরাশ করলেন। আগের ম্যাচের নায়ক মাহমুদউল্লাহও এদিন দলের হাল ধরতে পারলেন না।
ব্যক্তিগত শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ফিরলেন মাত্র ৩ রান করে। এজাজ প্যাটেলের বলে কাটা পড়েছেন তিনি। এছাড়া গোটা সিরিজজুড়েই যেন নিজেকে খুঁজে ফিরছেন আফিফ হোসেন। আগের ম্যাচের মতো রোববারও (৫ সেপ্টেম্বর) হতাশ করলেন তিনি। প্রথম বলেই বিদায় নিলেন আফিফ। এজাজ প্যাটেলের বলটা উইকেটে পড়ে কীভাবে স্টাম্পে আঘাত হেনেছে টেরও পাননি এই বাঁহাতি। দলীয় মাত্র ৪৩ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি খাদের কিনারায় পড়ে টিম টাইগার্স। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
ফাইল ছবি
স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে ভীষণ চাপে পড়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। এখন বিশ্বকাপে টিকে থাকতে টাইগারদের সামনে লক্ষ্য খুবই স্পষ্ট ও চ্যালেঞ্জিং।
প্রথম রাউন্ডের শেষ দুই ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশ দলকে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ ওমানের মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। আজ মাসকাটের আল-আমিরাত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। একই ভেন্যুতে ২১ অক্টোবর শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি।
বাংলাদেশের জন্য প্রথম রাউন্ডের সমীকরণটা কঠিন হয়ে গেছে স্কটিশদের কাছে ৬ রানের পরাজয়ে।
টি-২০ বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরেও প্রথম রাউন্ডে ওমানের বিরুদ্ধে খেলেছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে জিতেছিল টাইগাররা। যা এ ফরম্যাটে এখনো বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরি। এবার অবশ্য প্রেক্ষাপট ভিন্ন। হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়াটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে টাইগারদের। তাই জিততেই হবে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের।
ওমানকে সম্মান জানালেও বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর বিশ্বাস নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে জয় আসবে।
গতকাল এ প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘ওমান ভালো খেলছে। তারা পরের রাউন্ডে যেতে যায়। এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু ছেলেরা জানে যদি আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি, আমাদের ভালো সুযোগ রয়েছে।’ সবমিলিয়ে হন্যে হয়ে জয় খুঁজছে বাংলাদেশ।
ঘরের মাঠে ওমান বেশ শক্তিশালী। প্রথম ম্যাচেই পাপুয়া নিউগিনিকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ হলেও দল হিসেবে আত্মবিশ্বাসী ওমান।
ফাইল ছবি
বন্যার কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ঈদুল আজহার পর শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, দেশে সার্বিক বন্যার কারণে ঈদের আগে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। ঈদের পর পরীক্ষা নিতে হবে। আর এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।
এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা শেষ হতো ৬ জুলাই। কিন্তু সিলেটসহ সারা দেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ১৭ জুন এই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন