a
ফাইল ছবি
এক সপ্তাহ না যেতেই পাকিস্তানের কাছে হারতে হলো ভারতকে। চলতি এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে চরম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। তবে সেই হারের তিক্ততা ভুলে প্রতিশোধ নিয়েই সুপার ফোরে ঘুরে দাঁড়ালো পাকিস্তান।
শক্তিশালী ভারতকে রণকৌশলের খেলা খেলেই হারিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের লেগ স্পিন ভেলকি সামাল দিতে নিজেদের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনে ভারত। লেগিদের সামনে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজকে ছুঁড়ে দেয়। আর তাতেই দলের তুরুপের তাস হয়ে ওঠেন এই অলরাউন্ডার।
ক্যারিয়ারজুড়ে সাত-আট নম্বরে ব্যাট করা নওয়াজ টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়েই তা দুহাত দিয়ে লুফে নিয়েছেন। ২০ বল খেলেছেন ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৬ চার এবং ২ ছয়ে ইনিংস সাজানো নওয়াজ ব্যাটিং করেছেন চোখ কপালে তোলা ২১০ স্ট্রাইক রেটে!
ইনিংসের নবম ওভারে দলের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফখর জামান সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পরই নওয়াজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ম্যাচ জয়ের পর নওয়াজের ব্যাটিং পজিশনে হঠাৎ বদলে দেওয়ার রহস্য খোলাসা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, ‘নওয়াজ ও রিজওয়ানের জুটিটা দারুণ ছিল। নওয়াজ প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে। ওদের দু’জন লেগ স্পিনার বল করছিল, আর আমরা এ সুযোগটাই নিতে চেয়েছিলাম।’
মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে নওয়াজের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ৪১ বলে ৭৩ রান। আর সেটাই ছিল ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের রানতাড়ার টার্নিং পয়েন্ট।
নতুন ভূমিকায় ব্যাট করতে নামার আগে কী পরিকল্পনা করেছিলেন নওয়াজ, ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে সেটা নিজেই জানালেন, ‘তখন আমাদের ওভারপ্রতি ১০ রান প্রয়োজন ছিল। প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর সংকল্প করেই মাঠে নেমেছিলাম। ভাবনার জায়গাটা পরিষ্কার ছিল, জায়গামতো বল পেলেই মারব। আর চাপের মধ্যে এই পরিকল্পনা কাজে লেগেছে।’
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে গেছে ভারত। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমানে সফল দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। সাকিব দেশ সেরা অলরাউন্ডার তবে এতে তিনি সীমাবদ্ধ থাকেনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। অন্যদিকে রানের বিচারে তামিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার। বর্তমানে তারা দুই জন তিন ফরম্যাটে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সাকিব টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ফরম্যাটে এবং তামিম ইকবাল ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করছেন।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের চেয়ে সাকিব ছয় মাসে এগিয়ে। সাকিবের অভিষেক ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট, তামিমের ২০০৭ এর ৯ ফেব্রুয়ারি। এরপর তারা দ্রুত বাংলাদেশের পোস্টারবয় হয়ে ওঠেন পারফরম্যান্স দিয়ে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে একসঙ্গে থাকায় তাদের বোঝাপড়া দারুণ হয়। সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সাকিব ও তামিম সময়ের সঙ্গে হয় ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। একসময়ে সাকিব-তামিমকে বলা হত মানিকজোড়। দুজনের বন্ধুত্বের খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে সবখানেই। তবে সামপ্রতিক সময়ে যা আর নজরে আসে না। জানা গেল তারা নাকি একে অপরের সঙ্গে এখন কথাই বলে না!
এদিকে আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের তামিম-সাকিব দুই জনই রয়েছে দলে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফরেও চলে এসেছে ইংল্যান্ড দল। মার্চের প্রথম দিনই মাঠে গড়াবে খেলা। তার আগেই সাকিব-তামিমের সম্পর্কের ফাটল ধরার ব্যাপারটি আসলো প্রকাশ্যে। তবে এর থেকেও বড় সমস্যা জাতীয় দলে নাকি চলছে গ্রুপিংও যা কিনা জানালেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে তামিম-সাকিবের সম্পর্কের ফাটলের কথা এতদিন ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। কিন্তু খোলাখুলিভাবে কেউ তা প্রকাশ করেনি। সম্প্রতি ক্রিকবাজের সঙ্গে জাতীয় দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। এসময় বিসিবি বস বলেন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়! তিনি বলেন, ‘এটি একটি স্বাস্থ্যকর ড্রেসিং রুম নয়, এটি আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিতে পারি। এই ব্যাপারটা (সাকিব ও তামিমের মধ্যে ফাটল), এটা এমন নয় যে, আমি এটা সমাধানের চেষ্টা করিনি। আমি তাদের উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি অনুভব করেছি যে এই মুহূর্তে সমস্যাগুলো (তাদের মধ্যে) নিষ্পত্তি করা সহজ নয়। এই আমার পর্যবেক্ষণ।’
এসময় বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন সাকিব-তামিমের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথা খুব ভালোই জানতেন সাবেক হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেও পারেননি দুজনের সম্পর্কটাকে স্বাভাবিক করতে। তবে মাঠের বাইরে সাকিব-তামিমের যেই সম্পর্কই হোক তা যেন আসন্ন সিরিজে সমস্যা না করে এটাই চাওয়া বিসিবি সভাপতির। এ নিয়ে তাদের দুই জনকে কড়া বার্তাও দিয়েছে বিসিবি বস। তিনি বলেন, ‘তাদের উভয়কে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে - আমরা জানি না আপনাদের মধ্যে কী চলছে, তবে আপনারা যে ম্যাচে বা সিরিজ খেলছেন, সেখানে এই সমস্যাগুলো সামনে আসতে পারে না। তারা দুজনেই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এটি খেলার সময় থাকবে না।’ তবে আসন্ন সিরিজে সাকিব-তামিমের সম্পর্ক পরিবর্তন করতে চান পাপন। বলেন, ‘তাদের (সাকিব ও তামিম) মাঠে এবং ড্রেসিংরুমেও কথা বলতে হবে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশও খারাপ ছিল তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই সিরিজ থেকে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ) আমি অন্তত ড্রেসিংরুমে এটি (তাদের সম্পর্ক) পরিবর্তন করতে চাই। তারা বাইরে যা করে তা আমার জন্য চিন্তার বিষয় নয়।’
এদিকে শুধু সাকিব-তামিম সম্পর্কই নয়, দলে গ্রুপিং হয় বলে জানিয়েছেন বিসিবি বস। তার মতে এটিই বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা এই গ্রুপিং এবং এটাই বাস্তবতা। আমার আর অন্য কিছুতে সমস্যা নেই। আমি শুধুমাত্র এই গ্রুপিং সম্পর্কে ভীত এবং আমি কিছুদিন আগে এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিশ্বকাপেও ওদের হোটেলে না থাকার পরও যা দেখেছি শুনেছি বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কীভাবে সম্ভব! সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে হলে আমাদের এর অবসান ঘটাতে হবে কারণ একটা জিনিস সবারই বোঝা দরকার তা হল গ্রুপিং করার সুযোগ নেই।’ সূত্র: স্পোর্টস রিপোর্ট, ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আজ ২৭ নভেম্বর ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৯০ সালে শহিদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৯০ সালে শহিদ ডা. মিলনের মতো আরো অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ডা. মিলনসহ সকল বীর শহিদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে পুরোভাগে থাকা শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন পুলিশের গুলিতে শাহাদত বরণ করেন উল্লেখ করে তিনি শহিদ ডা. মিলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে। ১৯৯০ সালে শহিদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে। নতুন প্রজন্ম ডা. মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত করবে।
রাষ্ট্রপতি শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চার করে। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শহীদ পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
ডা. মিলন ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে তিনি শহীদ হন। সূত্র: ইত্তেফাক