a
ফাইল ছবি
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের গত আসরেই সাকিব আল হাসানকে দলে ভিড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল মোহামেডান। ভক্ত-সমর্থকদের এবারও অবাক করা সুখবর উপহার দিয়েছে সাদাকালো শিবির। মোহামেডান এবার দলে টেনেছে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নির্ভরযোগ্য উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার।
গতকাল রোববার রাতে এ ত্রয়ী তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ক্লাবটি। মোহামেডানের ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান, বাংলাদেশ পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের বাসায় চুক্তি স্বাক্ষর করেন ক্রিকেটাররা। পেসার তাসকিন আহমেদের সঙ্গে এবার চুক্তি নবায়ন করেছে ক্লাবটি। সাকিবের সঙ্গে গত আসরে ক্লাবটির হয়ে খেলেন তাসকিন আহমেদ, শুভাগত হোম চৌধুরী ও আবু জায়েদ রাহি।
মোহামেডানের দল: সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, পারভেজ হোসেন ইমন, আব্দুল মজিদ, রনি তালুকদার, শুভাগত হোম, সোহরাওয়ার্দী শুভ, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল মিয়া, সাগর (উইকেটরক্ষক), আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, ইয়াসিন আরাফাত মিশু, শাকিল (উইকেটরক্ষক), এনামুল, সালাউদ্দিন শাকিল, আরিফুল ইসলাম ও ইমন ।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের কাছে হার মানল ওমান। ২৬ রানে জিতল বাংলাদেশ। ওমানের আল আমেরাতে মঙ্গলবারের ম্যাচে সৌম্য সরকারকে বসিয়ে ওপেনিংয়ে নাঈম শেখকে নামাল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
আর নির্বাচকদের পরিকল্পনার সুবিচার করলেন নাঈম। তার ৫০ বলে ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ১৫৩ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
আর ১৫৪ রানের তাড়ায় দুর্দান্ত ব্যাটং করে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছিল ওমানের ব্যাটাররা।
১৬ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০৪ রান করে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের আকাশে জমা কালো মেঘে দূর করে দেয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এক ওভারেই নেয় দুটি উইকেট। ১৭তম ওভারে সাকিবের ৪র্থ ও ৫ম ডেলিভারিতে আউট হয়ে যায় ওমানের আয়ান খান ও নাসিম খুশি। খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। এরপর সাকিবকে অনুসরণ করে মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজও দুটি উইকেট নিলে ওমানের জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায়।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। তাসকিন আর মোস্তাফিজ মিলে ২ ওভারেই দেয় ৯টি অতিরিক্ত রান। মোস্তাফিজ এক ওভারেই করে ৫টি ওয়াইড। মাহমুদউল্লাহ ছাড়ে ক্যাচ।
সব মিলিয়ে দুর্বল ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলটিকে খুব অচেনাই লাগছিল সবার। শেষ দিকে বোলিংয়ে সাকিব-মোস্তাফিজ জ্বলে না উঠলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যেত মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর। ১৬তম ওভার শেষে জয়ের জন্য ওমানের সমীকরণ ছিল ২৪ বলে ৫০ রান। হাতে পাঁচটি উইকেট।
এ সময়ে দলের ত্রাতা হয়ে আসেন অলরাউন্ডার সাকিব। মাত্র ৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর ৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
এতে খেলার চিত্রটাই পাল্টে মাহমুদউল্লাহর হাতে চলে আসে। শেষ ৬ বলে ওমানের প্রয়োজন পড়ে ৩৯ রানের। অথচ ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইতোমধ্যে।
ওভারের পঞ্চম বলে মোস্তাফিজকে নাদিম ছক্কা হাঁকালেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২৬ রানে জয় নিয়ে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ওঠায় টিকে থাকলো বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওমানের মতো দলের বিপক্ষে ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। সেই অবস্থা থেকে দলকে খেলায় ফেরান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
তৃতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ৮০ রানের জুটি। দলীয় ১০১ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তার আগে ২৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে করেন ৪২ রান।
ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে চারে খেলতে নেমে কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। চার বলে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন তিনি।এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান নাঈম শেখ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সৌম্যর কারণে একাদশে জায়গা হয়নি নাঈমের।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বেশ সাবধানি ব্যাটিং করেন নাঈম শেখ। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কারণেই ১৫৩ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ দল।
তবে শেষ চার ওভারে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে শেষ ২৪ বলে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ দল।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ১৬.৪ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরে মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ৫০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় করে হয় ৬৪ রান।
ফাইল ছবি
মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আজ। বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যে ভিন্ন মাত্রা ও আবহে এ বছর আসছে এই ঈদ। করোনার প্রভাব ঈদ পালনের অনুষঙ্গগুলোর ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। উৎসবের সেই রোশনাই, বর্ণচ্ছটা ম্রিয়মাণ হয়ে আছে। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে কোরবানির রেওয়াজ।
পবিত্র হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে বিশ্ব মুসলিম ময়দানে নামাজ আদায়ের পর যার যা সাধ্য ও পছন্দ অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আরবি আজহা এবং কোরবান উভয় শব্দের অর্থ হচ্ছে উত্সর্গ। কোরবানি শব্দের উত্পত্তিগত অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ, নিজেকে বিসর্জন, নৈকট্য লাভের চেষ্টা, অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া প্রভৃতি।
সুরা হাজ্জে বলা হয়েছে, ‘এগুলোর (কোরবানির পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, কিন্তু তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে যায়।’ আল্লাহর বান্দারা কে কতটুকু ত্যাগ ও খোদাভীতির পরিচয় দিতে প্রস্তুত এবং আল্লাহপাকের নির্দেশ পালন করেন তিনি তা-ই প্রত্যক্ষ করেন কেবল। প্রত্যেক আর্থিক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি দিল না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে (মুসনাদে আহমদ)। আল কোরআনের সুরা কাউসারে বলা হয়েছে, ‘অতএব, তোমার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো।’ সুরা হাজ্জে বলা হয়েছে, ‘কোরবানি করার পশু মানুষের জন্য কল্যাণের নির্দেশনা।’
জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোনো এক দিন কোরবানি করা যায়। কোরবানিকৃত পশুর তিন ভাগের এক ভাগ গরিব-মিসকিন, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার বিধান আছে। আবার পুরোটাই বিলিয়ে দেওয়া যায়। এদিকে ৯ জিলহজ ফজরের নামাজের পর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তালবিয়াহ পাঠ করা ওয়াজিব। তালবিয়াহ হলো, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক জাতির বাৎসরিক আনন্দ-ফুর্তির দিন আছে। এই দিনে ধনী-গরিব, বাদশা-ফকিরনির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে ঈদের নামাজ আদায় করে, একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে। ঈদ মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উত্সব। আজ থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে।
দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।