a
ফাইল ছবি
আগামী ১সেপ্টেম্বর হতে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।
আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন তারা। জানা গেছে, দ্রুত ইমিগ্রেশন শেষ করে হোটেলে গিয়ে উঠবে টিম নিউজিল্যান্ড। এরপর তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ২৭ আগস্ট থেকে অনুশীলনে নামবে ব্লাক ক্যাপসরা।
আজ নিউজিল্যান্ড দল পৌঁছানোর আগেই বাংলাদেশে এসেছিল তাদের দুই খেলোয়াড় কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম আর ফিন অ্যালেন। এছাড়া কোভিড প্রটোকল ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিউজিল্যান্ড থেকে এসেছিল আরও দুই সদস্যের একটি পর্যবেক্ষক দলও। পর্যবেক্ষক দলে ছিলেন একজন কোভিড প্রটোকল ম্যানেজার এবং একজন নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর সিরিজের বাকি চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলোর সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। সন্ধ্যায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সফরকারী দলের দেশের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়। টম ল্যাথামের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আসে দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ড দল। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াডে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের কেউই নেই। ঘোষিত এই স্কোয়াডে নেই নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে নাকানিচুবানি খাওয়ানোর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজেও একই স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। মিরপুরের ‘হোম অব ক্রিকেট’ থেকে আবারও বাঘের গর্জন শোনাতে চায় বিশ্বকে। সে লক্ষ্যেই পরিকল্পনা আঁটছে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সুখকর স্মৃতি থাকলেও টি-টুয়ান্টিতে বাংলাদেশের তেমন স্মৃতি নেই এবার হয়তো অন্যকিছু করে দেখাতে মুখিয়ে আছে টিম টাইগাররা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৯ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ফর্মের কারনে সর্বশেষ দল থেকে বাদ পড়েছে মোহাম্মদ মিঠুন। পুরনো এছাড়া চোটের কারণে কিউইদের বিপক্ষে এই সিরিজে দলে নেই বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশ দলঃ মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাসুম আহমেদ।
নিউজিল্যান্ড দলঃ টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, হামিশ ব্যানেট, টম ব্লানডেল, ডগ ব্রেসওয়েল, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, জ্যাকব ডাফি, স্কট কুগেলেইন, কোল ম্যাককনকি, হেনরি নিকোলস, আজাজ পেটেল, রাচিন রবীন্দ্র, বেন সিয়ারস, উইল ইয়ং, ব্লেয়ার টিকনার।
ফাইল ছবি
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্যের জবাবে ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান করে টাইগাররা। মঙ্গলবার দুই দফায় বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ব্ল্যাক ক্যাপদের ইনিংস ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান থাকতে সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। পরে বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭১ রান।
২৫ বলে ফিফটি করে ম্যাচের রঙ পাল্টে দিয়েছিলেন সৌম্য। তার ব্যাটিংয়ে এক সময় জয়ের আশাও করে বাংলাদেশ। কিন্তু ৫১ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এছাড়া ওপেনার নাঈম শেখ ৩৫ বলে ৩৮ রান সঙ্গী করে আউট হন। এরপর বাংলাদেশের আর কেউ তেমন রানের দেখা পায়নি।
এর আগে দারুণ বোলিংয়ে ১১১ রানের মধ্যে কিউইদের ৫ উইকেট তুলে নিলেও গ্লেন ফিলিপস আর ড্যারেল মিচেলকে আটকাতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। ফিলিপস ৩১ বলে ৫৮ আর মিচেল ১৬ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন, তাসকিন ও শরিফুল।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট পান টিম সাউদি, হামিশ বেনেট ও অ্যাডাম মিলনে। এক উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। সেই সঙ্গে ৩১ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি মুহূর্ত এখন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি জাতি এই সত্যটি বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হবে যা আমাদের কাছে অজানা। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশিরা শুধু ফ্যাসিস্ট হাসিনা শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নয়, তার প্রভু ভারতের বিরুদ্ধেও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছি।
১৯৭৫ সালের নভেম্বরে এমন একটি বিপ্লবের অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছিল, যেখানে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শত্রুদের সম্মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়। তবে এইবারের বিজয় নিঃসন্দেহে ভারত-হাসিনা যৌথ শক্তির বিরুদ্ধে একটি ইতিহাস গড়া অর্জন।
১৯৭৫ সালের নভেম্বরে বিপ্লব এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ১৯৭৫ সালের বিপ্লবের পরবর্তী পরিস্থিতি এতটা কঠিন ছিল না, যতটা কঠিন বর্তমান বিপ্লবের পরবর্তী সময়। তখন ভারত এতটা শক্তিশালী ছিল না এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এখন ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক দৃঢ়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো নেতৃত্ব। ১৯৭৫ সালে আমরা জিয়াউর রহমানের মতো একজন মহানায়ক পেয়েছিলাম, যিনি সেই বিপ্লবের ফসল। বর্তমানে ড. ইউনুসের মতো বিশ্ববিখ্যাত নেতা থাকলেও তিনি জিয়াউর রহমানের মতো নায়কোচিত গুণাবলী বহন করেন না। তাছাড়া তিনি বিপ্লবের ফসল নন; বরং একজন পছন্দের নেতা।
বর্তমান বিপ্লবের পরবর্তী সময় জাতির জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এমন এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছি, যা এক প্রকার যুদ্ধাবস্থার মতো। এই পরিস্থিতির মাঝে থেকে বিজয় অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
প্রতিভার সন্ধান এখন জরুরি:
বর্তমানে দেশে প্রচুর সৎ, অভিজ্ঞ, প্রতিভাবান বিভিন্ন পেশাজীবির পাশাপাশি উদ্যমী অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন, যারা দেশসেবার জন্য সদা প্রস্তুত। তাদের পেশাগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাজে নিয়োগ করা গেলে প্রশাসনে অনেকটা গতিশীলতা আনা সম্ভব।
একজন অভিভাবক নেতার প্রয়োজন:
এই সংকটময় সময়ে জাতির অভিভাবক হিসেবে একজন অভিজ্ঞ যুদ্ধনায়ক প্রয়োজন, এবং ড. কর্নেল অলি আহমদ হতে পারেন সেই নেতৃত্বের সঠিক ব্যক্ত। তিনি একমাত্র জীবিত মুক্তিযোদ্ধা নায়ক, যিনি জাতির রক্ষাকর্তা জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
বিপ্লবী সরকার গঠন:
বিপ্লবের পরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য এবং পরাজিত বাহিনীর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বিপ্লবী সরকার গঠন একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য। বর্তমান সরকার নিজেদের বিপ্লবী সরকার হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। এটি তাদের কাজে আরও গতিশীলতা আনবে এবং জনগণও বিপ্লবের সাফল্যের জন্য আরও উৎসাহিত হবে।
সংস্কার ও ঐক্যের গুরুত্ব:
শিক্ষা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার এখন অপরিহার্য, যা সময়ের সঙ্গে করা যেতে পারে। সংবিধান সংস্কারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদসহ প্রেসিডেন্সিয়াল শাসনব্যবস্থায় যেতে পারি। জনগণের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন নতুন আইন প্রণয়নে বিচার বিভাগের মতামত থাকা উচিত। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
জাতীয় ঐক্য এখন সবচেয়ে জরুরি। যদি জাতি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শক্তির অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ইসলামী শক্তির ঐক্যও সময়ের দাবি।
জনগণের সম্প্রীতি রক্ষা:
দেশে যে কোনো সময় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধানোর প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা যে কোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। জাতি যেন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকে। শান্তি বজায় রাখতে দেশের প্রতিটি এলাকায় নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
মিডিয়ার ভূমিকা:
বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে মিডিয়াকে সঠিক পথে চলতে উৎসাহিত করা জরুরি। বিপ্লবের আগে যারা জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তাদের ছাড়া বাকিদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করতে হবে। মিডিয়াকে জনগণ ও দেশমুখী হতে হবে এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে।
কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
বহিরাগত হুমকি মোকাবিলায় কূটনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। চীনের মতো আন্তর্জাতিক শক্তি এবং পাকিস্তানের মতো আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এখন সময়ের দাবি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া উচিত।
এখনই সময় একটি নিরাপদ এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার। যদি আমরা এখন এটি করতে ব্যর্থ হই, ভবিষ্যতে আর কখনোই তা সম্ভব হবে না। দয়া করে জেগে উঠুন, ঐক্যবদ্ধ হোন এবং সরকারের হাত শক্তিশালী করুন। জনগণের ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ।