a টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মুসাকে ওমান থেকে দেশে আনা হয়েছে
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মুসাকে ওমান থেকে দেশে আনা হয়েছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন, ২০২২, ১১:২৮
টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মুসাকে ওমান থেকে দেশে আনা হয়েছে

ফাইল ছবি

রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (টিপু) হত্যার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

মুসাকে নিয়ে আসা গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুসাকে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, আমরা আশা করছি, মুসার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
উল্লেখ্য, মতিঝিল এলাকায় দলীয় ও অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদের সন্নিকটে রেলক্রসিং-এর আগে গাড়ি সিগনালে দাঁড়ালে সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি করলে মারা যায় জাহিদুল ইসলাম টিপু। সে সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

মুসাকে ফিরিয়ে আনতে গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের তিন সদস্যের একটি টিম গত রবিবার ওমানে যান। এর আগে, ১০ মে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) সুমন শিকদারকে গ্রেফতারের জন্য ওমানের এনসিবিকে অনুরোধ জানায়। অনুরোধ অনুযায়ী ১৭ মে ওমান পুলিশ মুসাকে গ্রেফতার করে দেশে আনা হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পরীমণি কাণ্ডে ডিবি থেকে সাকলাইনকে প্রত্যাহার


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ০৭ আগষ্ট, ২০২১, ০৩:৩৫
পরীমণি কাণ্ডে ডিবি থেকে সাকলাইনকে প্রত্যাহার

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। যেহেতু একটি অভিযোগ এসেছে, তাকে আমরা আর ডিবিতে রাখছি না। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর একটি তদন্ত করবে। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে কি না, এটা পরের বিষয়।

এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার কথা এরই মধ্যে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে তুরাগতীরে বহুল আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলার সময় নায়িকা পরীমণির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

র‍্যাবের হাতে পরীমণি গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। পরীমণির গাড়ি চালক নাজির হোসেন গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

এছাড়া এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীমণি-সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রাজারবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে নামেন। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন নায়িকা পরীমণি।

বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের মামলা ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে ডিবি যে কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ডিবির (উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কম্বোডিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও সহায়তা স্থগিত, আগামীদিনে বাংলাদেশের জন্য কি বার্তা?


খ.ম আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩, ০১:২০
কম্বোডিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও সহায়তা স্থগিত, আগামীদিনে বাংলাদেশের জন্য কি বা

ছবি সংগৃহীত

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় কম্বোডিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞার আরোপের সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। রোববারের (২৩ জুলাই) সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) নিরঙ্কুশ বিজয় ঘোষণা করেছে। এরপরেই যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা কম্বোডিয়ায় কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করছে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে এমন ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দল সিপিপি কার্যকর কোনো বিরোধী দলের মুখোমুখি না হওয়ায় ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন।

মিলার বলেন, নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বিরোধী দল, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানির ধারায় লিপ্ত হয়েছে। এটি দেশটির সংবিধানের চেতনা এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষকে সত্যিকারের বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার বন্ধ এবং সরকারের সমালোচকদের দোষী সাব্যস্ত করা বন্ধ করতে এবং দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান উন্নত করার জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমকে হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কম্বোডিয়ার নির্বাচনে কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল না। ৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়া শাসন করা স্বঘোষিত 'শক্তিশালী নেতা' হুন সেন নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। জেল জুলুম ও মামলা দিয়ে বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রাখা হয়েছিল। সবাই নিশ্চিত ‘নামমাত্র’ এ ভোটে আবারও জয়ী হয়েছেন হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি টানা ৩৮ বছর শাসন করছেন কম্বোডিয়ার ‘গণতান্ত্রিক মডেলের স্বৈরশাসক’ প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এই নামমাত্র ‘গণতান্ত্রিক’ শাসক ১৯৮৫ সাল থেকে তার ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর একের পর এক কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছেন। এমনকি দেশের আদালতকেও ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে। সামরিক বাহিনী, পুলিশসহ গোয়েন্দা গোষ্ঠীকে রেখেছেন হাতের মুঠোয়। সংসদ সদস্যদের পদমর্যাদা থেকে সরিয়ে দেওয়াসহ নেতাদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গ্রেপ্তার এবং নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে দেশে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বিগত দুটি নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ায় বিএনপি এবারে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে অনড় রয়েছে। তারা রাজপথেই চূড়ান্ত ফয়সালা করে নির্বাচনে হাটার চেষ্টা করছে।

অপরপক্ষে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রশ্নে সংবিধানের 
দোহাই দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করাটাই দলটির চূড়ান্ত লক্ষ্য।

দুই পক্ষই যখন তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আলোচনা বা সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা কার্যত আর থাকছে না; বরং অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। ওই সময়ে ভোট হলে নভেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। 

আর সরকার যদি গত ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের ন্যায় এক তরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়, তাতে দেশে অনন্য বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে, যা বিগত যে কোন সময়ের তুলনা বেশি বৈ কম হবেনা। বিশেজ্ঞদের ধারণা, যদি একতরফা নির্বাচনে দেশে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তবে সুযোগ বুঝে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশকে কম্বোডিয়ার মতো অবরোধ ও ভিসা নিষাধাজ্ঞাও দিতে পারে, যার জুজুর ভয় তারা আগে থেকেই দিয়ে আসছে!

লেখক: মোহা. খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

তথ্যসূত্র: রয়টার্স, বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমস

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অপরাধ