a বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে কিশোর গ্যাং: আইজিপি
ঢাকা রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে কিশোর গ্যাং: আইজিপি


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:৪৯
বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে কিশোর গ্যাং: আইজিপি

ফাইল ছবি

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গত তিন বছর ধরে কিশোর গ্যাং একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আশা করছি এটিও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
 
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল কমপ্লেক্সে 'সবার হোক একটাই পণ, কিশোর অপরাধ করবো দমন'-শিরোনামে কিশোর অপরাধবিরোধী সামাজিক প্রচারণা কার্যক্রম ও র‍্যাব নির্মিত টিভিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুনভাবে ভাবার আহ্বান জানান। 

আইজিপি বলেন, আমাদের সংসদে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন হচ্ছে। আদালতও অনেক নির্দেশনা দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কিশোর আইনও হালনাগাদ হয়েছে। সে হিসেবে একজন ব্যক্তি ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু বর্তমানে দেশে আইন পরিবর্তন করার কারণে যেটা হয়েছে তাতে যে যুবকে পরিণত হয় তাকেও শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়। ফলে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। 

বর্তমানে আইন অনুযায়ী কিশোর অপরাধীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তাদেরকে সংশোধনাগারে পাঠাতে হবে। সংশোধনাগারের সংখ্যাও কম। ফলে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। 

র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন। 
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভুয়া সাংবাদিক শাহনাজের প্রতারণা


বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৩, ০১:৪৪
ভুয়া সাংবাদিক শাহনাজের প্রতারণা

ছবি: কথিত সাংবাদিক শাহনাজের বিভিন্ন কৌশলী ছবি

তথাকথিত সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, বহুবিবাহে আবদ্ধ, চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, প্রতারক বরগুনা জেলার পাথারঘাটা থানার তালুকের চরধনি গ্রামের মৃত শাহাদাৎ শিকদারের মেয়ে শাহনাজ পারভীন (৪৫)। প্রতারণা করাই তার মুল পেশা।

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে শাহনাজ পারভীন রাজধানী ভাটারা, বাড্ডা, খিলক্ষেত ও গাজীপুর মহানগরে বিভিন্ন এলাকায় অনৈতিক সকল কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, ফরিদপুর জেলার ইউনুসের সাথে তার প্রথমে বিবাহ হয়। ঐ স্বামীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে পরবর্তীতে সাগর নামে আরেক ব্যাক্তিকে বিবাহ করে, কয়েক বছর পরে এই স্বামী সাগর শাহনাজের ছোট বোনকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। তারপর মাসুদ নামে আরো এক ব্যক্তিকে বিবাহ করে ঢাকা কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় চলে আসে। বেশি লেখাপড়া না থাকলেও সে মোবাইল চালানো বেশ দক্ষ ও প্রতারণার কৌশলে বেশ অভিজ্ঞ।

উল্লেখ্য, ঢাকায় এসে কুড়িল চৌরাস্তায় প্রথমে বাড়ি বাড়ি কাজ করতো, হোটেলে প্লেট ধোওয়ার কাজ, ব্যাটারীর দোকানে কাজ, ফুটফাতে চা বিক্রি করতো। আবার একসময়  সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে তারপর হয়ে উঠে সাংবাদিক।

নিজের নাম ঠিকানা ঠিক মত লিখতে না জানা শাহনাজকে একটা মহল তাদের প্রয়োজন মেটাতে সাংবাদিক বানায়। আর এই সাংবাদিক কার্ড ও ক্যামেরা গলায় ঝুলিয়ে সেই চক্রের সাথে চাঁদাবাজী শুরু করে। এই চাঁদাবাজী করতে গিয়ে কয়েকবার ধরা পরে এবং চাঁদাবাজীর মামলায় জেলখাটে। বর্তমানে তার নামে প্রতারণা ও চাঁদাবাজীর একাদিক মামলা চলমান।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, শাহনাজ ২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল মাসে বাবুল মিয়া নামে একজনের সাথে তার বিয়ে হয় এবং ঠিকমত ভরণ-পোষণ ও খোঁজ-খবর না নেওয়ার অভিযোগে বাবুল মিয়ার ঠিকানায় ১৫/০৫/২০১৯ সালে উকিল নোটিশ পাঠানো হয় । সূত্রে আরো জানা যায়, গাজীপুর চৌরাস্তায় আরেক প্রতারক ও চাঁদাবাজ মো: আব্দুস সোবহান নামের এক ব্যাক্তির যোগসূত্রে হাজী নুরুল হকের ৭২ শতাংশ মার্কেট জমি ভুয়া ক্ষমতাপত্র তৈরি করে জোড় পূর্বক চাঁদাবাজী করে আসছে। এমনকী হাজী নুরুল হকের নামে একটি অবৈধ কাবিন নামা তৈরি করে নিজেকে হাজী নুরুল হকের স্বামী দাবী করে প্রতারণা করে আসছে।

অনুসন্ধান টীম আরও কিছু ভয়ংকর তথ্য উদ্ধার করে। শাহনাজ নিজের মেয়েকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করিয়ে বিভিন্ন পুরুষকে ফাসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়, শাহনাজের বোন রুপসী হিজরা, সাথে আরো হিজরা নিয়ে গ্যাং তৈরি করে তাদেরকে নিয়েও বিভিন্ন অন্যায় কার্যকলাপ করে যাচ্ছে।

শাহনাজ তার নিজের মেয়েকে দিয়ে একাদিক পুরুষের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে এক সময় তাদের সাথে অনৈতিক সর্ম্পক করিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজী করে। যাহার একাদিক প্রমাণ অনুসন্ধান টিমের হাতে সংরক্ষিত আছে। মাত্র ২০ বছর বয়সে সে তার মেয়েকে চার বিয়ে করিয়ে কিছু দিন পর পর তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে নেয়। একাদিক বিয়ে করে কাবিনের টাকা হাতিয়ে নেওয়া শাহনাজ এবং শাহনাজের মেয়ে  চালিয়ে আসছে।   

সামপ্রতিক শাহনাজ সাহায্যের নামে বিভিন্ন ব্যানার বানিয়ে প্রবাসীদের কাছে ফেসবুকে বুস্ট করে, মিথ্যে অভিনয়ে নতুন প্রতারণায় অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এখানে সে উল্লেখ করে বলে যে, সে কিডনী রোগী, মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে গেছে আবার  সে ব্রেস্ট ক্যানসার, ব্লাড ক্যন্সারে আক্রন্ত। আবার এতিম শিশুদের নামে সাহায্য চেয়েও আবেদন করে। এই বিষয়ে শাহনাজের মোবাইলে ফোন দিয়ে এর সতত্যর  একাদিক রেকডিং পাওয়া গেছে ও বেশ কিছু ব্যানার ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে ছড়িয়ে পড়েতে দেখা যায়।

শাহনাজ কথায় কথায় মানুষকে মিথ্যে মামলার হুমকী প্রদান করে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে। তার কাজে তাকে সাহায্য করার জন্য কিছু উকিল ও সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে রেখেছে এবং এসব উকিল ও সাংবাদিকদের  সহযোগিতায় সে প্রতারণা করার উৎসাহ পেয়ে আসছে।

কিছুদিন আগে সে জনপ্রিয় ব্যাক্তি বেরিষ্টার সুমন, অভিনেতা ডিপজলসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে সাহায্যের নামে ধরণা দিয়েছে এবং তার নিজের ফেসবুকে এই বিষয়ে একাদিক ভিডিও শেয়ার করেছে।

তার সর্ম্পকে তার বাসায় আশে-পাশে তথ্য জানতে গেলে, নাম না প্রকাশে কয়েকজন বলেন বড় ফ্লাট নিয়ে সে একা বাসায় থাকে, প্রতিদিন বিভিন্ন পুরুষ-মহিলা তার বাসায় আসা-যাওয়া করে। প্রতিবেশীরা জানান যে, কিভাবে একা একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকে, তার আয়ের উৎস কি আমাদের জানা নেই ।  আসা-যাওয়া লোকদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে সাংবাদিক শাহনাজের কাছে তাদের ভিন্ন ভিন্ন কাজ থাকে তাই তারা আসে।

অনুসন্ধান টিম উক্ত বিষয়ে শাহনাজের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে বলে, কত সাংবাদিক লাগবে সে নিয়ে আসবে, পরবর্তীতে যেন তাকে আর ফোন না দেওয়া হয়।  আর ফোন দিলে সে দেখে নিবে বলে হুমকী দেয়। সে আরো হুমকি দেয় যে, তার হিজরা বোন রুপসীকে দিয়ে কাপড় খুলে রেখে এক একজনকে রাস্তায় ছেড়ে দেবে। সূত্র: ডে-নাইট নিউজ, সীমান্ত বার্তা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হেফাজতের কান্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসিকে বদলি


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৫
হেফাজতের কান্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসিকে বদলি

ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের এক মাসের মাথায় ওসি রহিমকে বদলি করা হয়।পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক আদেশে সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে তাকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন ওসি রহিমের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কি কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।

এরই প্রেক্ষাপটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষের মাঝে। তাণ্ডবের ঘটনায় মোট ৫৬ মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩৬৯ জনকে গ্রেফতার করলেও বড় ধরনের সাফল্য দেখাতে পারেনি সদর থানা পুলিশ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অপরাধ