a
ফাইল ছবি
এবারের বাজেটে আগের মতোই থাকছে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা। অর্থাৎ বার্ষিক আয় যাদের ৩ লাখ টাকার কম তাদের কোনো কর দিতে হবে না। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদম্যান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। বর্তমান সরকার ব্যবসা সহকীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের কর দায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার কমিয়ে ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। চার বছর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই ছিল। সাধারণত চার-পাঁচ বছর পরপর জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই সীমা বাড়ানো হয়।
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ বিতরণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।
সোমবার (৫ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিসিক। এতে বলা হয় যে, একজন উদ্যোক্তা জামানতবিহীন দশ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ বিশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
বিসিকের অনুকূলে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বিশেষ অনুদান বাবদ সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণ ৩০ জুনের মধ্যে বিতরণের জন্য বিসিকের প্রতিটি আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়কে নির্দেশ প্রদান করেছেন বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান।
একজন উদ্যোক্তা জামানতবিহীনভাবে দশ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ বিশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। উক্ত প্রণোদনা প্যাকেজের দশ শতাংশ ঋণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিসিক চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিসিকের অনুকূলে বরাদ্দকৃত একশ’ কোটি টাকার ঋণ তহবিলের মধ্যে বিশেষ অনুদান বাবদ ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অর্থ ৩০ জুনের মধ্যে বিতরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিসিক প্রধান কার্যালয় থেকে রবিবার (৪ এপ্রিল) সারাদেশে আঞ্চলিক কার্যালয় ও বিসিক জেলা কার্যালয়ে এ ঋণ যথাসময়ে বিতরণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শতভাগ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ঋণের গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৪ শতাংশ। ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮টি মাসিক সমান কিস্তিতে সর্বোচ্চ দুই বছরে এ ঋণ শোধ করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।
ফাইল ছবি
আবারো বাড়ানো হয়েছে স্কুল-কলেজের ছুটি। এবার ৩০ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজের ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শনিবার (১২ জুন) এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোন কোন অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ী ও কওমি মাদরাসাসমূহে চলমান ছুটি আগামী ৩০ জুন ২০২১ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ১৩ জুন থকে দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার হবে বলে জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।