a
ফাইল ছবি
আজ বৃহস্পতিবার দেশের ৮ শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ শুরু হয়েছে। সকাল ১০টায় ৮ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে বন্যা, অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ তিনটি বোর্ডের পরীক্ষা আগামী ২৭ আগস্ট শুরু হবে।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।
গত বছরের তুলনায় এবার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ২৬ হাজার ২৫১ এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৩ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষার্থী ৯৮ হাজার ৩১ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫৩ হাজার ৬৩ এবং ছাত্রী ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ১৪৪ জন।
দেশে ২ হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চলতি বছর সকল বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
দীর্ঘ প্রায় তিন বছরেও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিতে পারেনি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এরই প্রেক্ষিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থীবৃন্দ এক বিশাল মানববন্ধন করেন। আজ ২০শে জুন ২০২২ইং সোমবার সকাল বেলা এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এনটিআরসিএ ভবনের সামনে, রেড ক্রিসেন্ট বোরাক টাওয়ার, ৩৭/৩/এ ইস্কাটন গার্ডেন রোড, রমনা ঢাকায়। মানববন্ধন শেষে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এসময় অনেক পরীক্ষার্থী আবেগে আপ্লূত হয়ে পড়েন। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দীর্ঘ প্রায় তিন বছর যাবৎ অনুষ্ঠিত না হবার জন্য অনেকেই দুঃখ ও কষ্ট প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলেন, তাদের বয়স বাড়ছে। তাই পরীক্ষা বিলম্বিত হলে এক সময় দেখা যাবে ভাইভা পরীক্ষা ভালো করার পরও গনবিজ্ঞপ্তি থেকে বাদ পরে যেতে পারেন। এনটিআরসিএ যেন দ্রুত পরীক্ষা নেন তাই সকলকে নিয়ে আজ মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থীবৃন্দ এর মানববন্ধন পরিচালক ও উপস্থাপক মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত খান খাদেম। সাথে ছিলেন প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সকল নেতাকর্মীসহ অনেক পরীক্ষার্থীবৃন্দ এবং অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
মানববন্ধন শেষে এনটিআরসিএ পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) তাহসিনুর রহমানের কাছে সরাসরি স্মারকলিপি প্রদান করেছে পরীক্ষার্থীরা। সবার সামনে তিনি সবাইকে আশ্বস্থ করেছেন সম্ভাব্য কোরবানি ঈদের আগে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিঃ ও লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবেন।
তাদের স্মারকলিপিতে ছিল, আমরা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যাশী। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এদেশের সংবিধানকে চূড়ান্ত আইন মনে করি। আমরা গর্বিত এই ভেবে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব'র কারনে এদেশের শিক্ষাখাত এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। একটি জাতি গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষক। বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব ''বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)'' এর উপর ন্যস্ত। এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে। প্রতিষ্ঠার পর ১ম থেকে ১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ করেছে।
বাংলাদেশে প্রায় ২ লক্ষ বেকারের চাকুরীর সুপারিশ করে তারা স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছে। প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের ২৩শে জানুয়ারি ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০২০ সালের ২৫শে মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং ৭-৮ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে করোনা ভাইরাস, লকডাউন ও অন্যান্য কারনে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে লকডাউন শিথিল করা হলে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে বিভিন্ন পরীক্ষা নেয়া হলেও আমাদের পরীক্ষা নেয়া হয়নি। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রিলিমিনারি ও গনবিজ্ঞপ্তির বয়স ৩৫ বছর। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা গত ২২শে আগস্ট ২০২১, ১৬ নভেম্বর ২০২১ এবং ৩০শে মে ২০২২ পর পর ৩ বার স্মারকলিপি প্রদান করি। যদি ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিতে আরও বিলম্ব হয় তাহলে এক সময় দেখা যাবে ভাইভা পরীক্ষা ভালো করার পরও গনবিজ্ঞপ্তি থেকে বাদ পরে যেতে পারেন। কারন অনেকেই ৩২ বা ৩৩ বছর বয়সে আবেদন করেছিলেন। তাদের বয়স বাড়ছে।
তাই অতি দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার আহ্বান জানান সবাই। এনটিআরসিএ জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত পরীক্ষা গ্রহন করলে এদেশের শিক্ষিত সমাজ জাতি গঠন করার কারিগর হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মৌলভীবাজার: অনিয়ন্ত্রিত এবং ভেজাল খাদ্যাভাসে মানবদেহে দেখা দিয়েছে সুস্থতার অভাব। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন হৃদযন্ত্রের নানা অসুখে।
এসব অসুখের বেশিভাগই খাবারকে কেন্দ্র করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটু সচেতন হলেই এই হৃদযন্ত্রের অসুখ কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব। আর তা হলো, দৈনিক খাদ্যাভাসে ঝুঁকিপূর্ণ সোয়াবিন তেলের পরিবর্তে উপকারী সূর্যমুখী তেল রান্নায় ব্যবহার করা।
আশা কথা, মৌলভীবাজার জেলায় উপকারী সূর্যমুখী তেলে বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ। যা মানবদেহের উপকার কিছুটা হলেও সূচনা করার জন্য প্রস্তুত।
সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাইল হাওর সংলগ্ন একটি ৫ কেয়ারের (বিঘা) বাগান সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রায় ৪ হাজার সূর্যমুখী ফুল পূর্ণতা নিয়ে বাতাসে দোলা খাচ্ছে। কিছু কিছু সূর্যমুখী অবশ্য খাড়া অবস্থা থেকে মাটিতে পড়ে গেছে। তবে, এতে ক্ষতির তেমন কোনো কারণ নেই বলে জানান কৃষক। এ খামারের কৃষক জুবের মিয়া বলেন, এই সূর্যমুখী ফসলটি আমাদের প্রদর্শনী খামার। আমরা পাঁচজন কৃষক সম্মিলিতভাবে অগ্রহায়ণ মাসের শেষে চাষ করেছি। আমাদের ৫ জন কৃষকের প্রত্যেককে সাইফুল স্যার ৫ কেজি সূর্যমুখী বীজ এবং ১৫০০ টাকা করে দিয়েছেন। আমরা মাটি তৈরি করে সরাসরি বীজ মাটিতে লাগিয়েছি।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সূর্যমুখী চাষ বাবদ আমি কৃষক জুবেরকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছি। কিছুদিন আগে শিলা বৃষ্টির কারণে কিছু গাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তেল হিসেবে সূর্যমুখী অত্যন্ত উন্নত এবং স্বাস্থ্যের উপকারী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজারের উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর মাত্র ৫৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল। এবার সেটা বেড়ে ৫৬৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। ৫৬৫ হেক্টর জমির জন্য যে পরিমাণ বীজ দরকার সে পরিমাণ বীজ কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এটি হাইসান-৩৩ ভ্যারাইটির।
স্বাস্থ্যক্ষতির দিকটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা যেভাবে রেনডমলি (ক্রমাগতভাবে) সোয়াবিন তেল বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত খাচ্ছি, তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সূর্যমুখী তেল অত্যন্ত পুষ্টিসম্পন্ন এবং এতে কোলেস্টেরালের মাত্রা কম। এ তেলের ভিড়ে ক্যানসার প্রতিরোধের উপাদান আছে। এসব গুণের জন্য এই তেল অনেকে দাম দিয়ে কিনে খাচ্ছেন। সুস্থ থাকতে হলে আমাদের সূর্যমুখী তেল বা সরিষা তেল অবশ্যই খেতে হবে। এজন্য আমাদেরকে প্রতিবছর ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। আমাদের বাংলাদেশে তেলের যে প্রয়োজন তার শতকরা মাত্র ১০ শতাংশ তেল সরিষা, সূর্যমুখী, তিসি, বাদাম প্রভৃতি থেকে আসে। বাকি শতকরা ৯০ শতাংশ তেল বিদেশ থেকে আনতে হয় বলে জানান তিনি। সূর্যমুখী বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সূর্যমুখী বীজ থেকে শতকরা ৪০ শতাংশ তেল হয়। অর্থাৎ ১০ কেজি সূর্যমুখী যদি ভাঙান তবে, ৪ লিটার তেল পাবেন। এখন প্রতিকেজি সূর্যমুখীর দাম ৮০ টাকা। যখন এটা হারভেস্ট (আহরণ) হবে তখন একটু দাম কমবে। গত বছর আমরা ৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করেছি।
১০ কেজি সূর্যমুখী বীজের দাম হবে ৬০০ টাকা। এই ১০ কেজি ভাঙালে ৪ লিটার সূর্যমুখী তেল পাবেন। ভাঙানো পর সূর্যমুখীর খইল দিয়ে দিলে ভাঙানোর খরচ ফ্রি। তাহলে প্রতি কেজির দাম ১৫০ টাকা করে পড়লো। বীজের দাম বেশি হলে হয়তো ১৬০ টাকা পড়বে।
আমেরিকান বা বিদেশি অন্যান্য কোম্পানির সূর্যমুখী তেল হলে আপনাকে বাজার থেকে প্রতি লিটার ২০০ টাকা করে কিনতে হবে বলে যোগ করেন উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী।