a
সংগৃহীত ছবি
মহামরি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে না আসায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তাই আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদরাসা বন্ধ থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদরাসাসমূহের চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট ২০২১ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই সংক্রমণ রোধ করতে বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকে দফায় দফায় তা বাড়ানো হয়।
ফাইল ছবি
বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যার কারণে পরীক্ষা শুরুর দুই দিন আগে স্থগিত করা হয়। বর্তমানে বন্যা উন্নতি হওয়ায় পরীক্ষা শুরুর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হল।
এর আগে গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে আছে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীরা এখনও বাড়িতে ফিরতে পারেনি। কতজন পরীক্ষার্থীর বইপত্র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের হাতে বইগুলো পৌঁছানোর পর অন্তত দুই সপ্তাহ প্রস্তুতির জন্য সময় দিতে হবে। তারপর এসএসসি পরীক্ষা শুরু করা হবে।
জানা গেছে, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় এসএসসি ও দাখিলের যত পরীক্ষার্থীর পাঠ্যবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের নতুন বই দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বেশ কিছুসংখ্যক বাড়তি বই রয়েছে। সেগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বই যাচ্ছে সুনামগঞ্জে। আর কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বই দেওয়া হচ্ছে সিলেটে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের হাতে। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে ১৪ এপ্রিল হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনগুলো হলো-
(ক) মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ
করবেন;
(খ) তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদিমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি
অংশগ্রহণ করবেন;
(গ) জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন;
(ঘ) সম্মানিত মুসল্লিদের পবিত্র রমজানে তিলাওয়াত ও যিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহর
রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করার অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।