a
ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা সরকারের বিভিন্ন সংস্থা খুঁজে বের করতে পারে। এর সঙ্গে আমার পরিবার জড়িত নয়।’
বৃহস্পতিবার চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে তিনি।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ব্যয়ে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়ে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদপুরে আমার ক্রয় সূত্রে কোনো জমি নেই। পৈত্রিক সূত্রে থাকতে পারে। আমার কাছে যা তথ্যপ্রমাণ আছে, তা থেকে বলতে পারি, আমার বড় ভাই অধিগ্রহণের আগেই বিক্রি করে দেন।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই জায়গায় আমার বা পরিবারের কারও জমি নেই। রাজনৈতিক কোনো সহককর্মীর জমি থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের কেউ কোনো ধরনের দুনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে অন্য কেউ দুর্নীতি করেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা উচিত এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
সংগৃহীত ছবি
২০২২ সালের মাধ্যমিক স্তরের (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এ অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে।
আদেশে জানানো হয়, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম গত ১৪ জুন থেকে চলমান রয়েছে।
ইতোমধ্যে গ্রেডভিত্তিক চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সরকার আরোপিত বিধি-নিষেধের কারণ এ অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
ইতিমধ্যে ঈদুল আজহার আগে প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট কাজ দেওয়া হয়েছে। সেটি শেষ করে জমা দেওয়ার পর দ্বিতীয় সপ্তাহের কাজ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত করা হলেও ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ছবি সংগৃহীত
রেলস্টেশনে কর্মরত অসাধু কর্মচারী, সহজ ডটকমের অসাধু কর্মকর্তা, সার্ভার রুম ও আইটি সদস্যরা অবৈধভাবে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করতো বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। চক্রটি বিভিন্ন কারসাজি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে স্বাভাবিক সময়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করতো। আর ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে টিকিট প্রতি দাম বেড়ে যায় ৩-৪ গুণ পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে সারাদেশে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তম ও সেলিমসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির মূলহোতা মো. সেলিম (৫০), তার প্রধান সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), মো. হারুন মিয়া (৬০), মো. মান্নান (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), মো. ফারুক (৬২), মো. শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), মো. জুয়েল (২৩) ও মো. আব্দুর রহিম (৩২)।
তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), তার প্রধান সহযোগী মো. মোর্শেদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও মো. জোবায়েরকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। সূত্র: ইত্তেফাক