a
ফাইল ছবি
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের কারণে আগামী ২৫ জুনের পরীক্ষা একদিন এগিয়ে আগামী ২৪ জুন (শুক্রবার) নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংশোধিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। ২৫ জুন নির্ধারিত ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা ২৪ জুন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, আগামী ২৫ জুন সাধারণ নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র, মাদরাসা বোর্ডের দাখিলের বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং কারিগরি বোর্ডের ভোকেশনালের এসএসসি ও দাখিলের গণিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। ওই পরীক্ষাগুলো আগের দিন অর্থাৎ ২৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত: কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
কোটা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদের খোঁজ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ থাকার ৫ দিন পর গতকাল বুধবার আসিফ ও বাকেরকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দুজনই নিশ্চিত করেন। আর রিফাত এখন অবধি আত্মগোপনে আছেন।
এই তিন ছাত্রই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। আসিফ মাহমুদকে রাজধানীর হাতিরঝিল ও আবু বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে তাঁরা নিজেরাই জানান। তাঁদের কে বা কারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, ফেসবুক পোস্টে তা স্পষ্ট করে বলেননি। আর রিফাত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম।’
আসিফ মাহমুদ বিকেলে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গত ১৯ জুলাই রাত ১১টায় আমাকে হাতিরঝিলের মহানগর আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। চলমান আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দিতে চাপ দেওয়া হয়। না মানায় ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস (অচেতন) করে রাখা হয়। এই চার-পাঁচ দিনে যতবার জ্ঞান ফিরেছে, ততবার ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টায় আবার একই জায়গায় চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায়।’
আসিফ আরও লিখেছেন, ‘এখন আমি পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসারত আছি। এই কয়েকদিনে যা ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা করছি। কিছুটা সুস্থ হলেই সমন্বয়কদের সাথে কথা বলে আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত বলব।’
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফেসবুক পোস্টে বাকের লিখেছেন, ‘আমাকে ১৯ জুলাই সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং আন্দোলন বন্ধে স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) দিতে বলায় আমি অস্বীকৃতি জানালে একটা অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখে। যে এলাকা থেকে তুলে নেয়, তার পাশের এলাকায় আমাকে চোখ বেঁধে ফেলে যায়। আমি এখন আমার পরিবারের সাথে নিরাপদে আছি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আপনাদের সামনে সবিস্তারে সব বলব।’
সোয়া সাতটার দিকে রিফাত রশীদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি, মরি নাই। আমি গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম। সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত মেনেই আমি নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়েছিলাম। তারপর এই সাপ-লুডুর জীবন। আজ এর বাড়ি তো কাল ওর বাড়ি। এর মধ্যে যতবার ফোন কানেক্ট করার চেষ্টা করেছি, ততবারই ফোন ট্র্যাকিংয়ের শিকার হয়েছি। জানি না, কতক্ষণ নিরাপদে থাকব।’
আসিফ ও বাকেরের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। রিফাত রশীদের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আসিফ মাহমুদের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বলেছিলেন, ‘পত্রিকায় আসিফের গুমের খবর দেখে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তালাশ করেছি। তাকে পাই নাই। এখন আমার একটাই আবদার, আসিফের সন্ধান চাই।’ আন্দোলনের অন্য সমন্বয়কেরাও আসিফের সন্ধান দাবি করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় আসিফের বাবার মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও নন্দীপাড়ার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর তাঁকে পূর্বাচল এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলটিমেটাম শেষ হবে আগামীকাল
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম আজ গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা চার দফা ‘জরুরি দাবি’ পূরণে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার যে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন (আলটিমেটাম), তার সময়সীমা আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শেষ হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামীকাল যে কোনো সময়ে সংবাদ সম্মেলন বা অন্য কোনো উপায়ে তাঁরা গণমাধ্যমকে পরবর্তী বক্তব্য বা অবস্থান জানাবেন। সূত্র: প্রথম আলো
মুক্তা দাশ
মন কেমনের লকডাউন
এমন মিঠে বৃষ্টির আলাপনে ...
বড্ড মন কেমন করে সারাক্ষণ !
কেউ কেউ এর মধ্যে ই শাসায়... লক ডাউন!
লকডাউন চিৎকারে, বড্ড বিরক্তি ধরায়ে দেয় ।
কিভাবে থাকি বলো তো !?
তোমাকে ছাড়া এই বৃষ্টিমুখর জলসায় !
একটু মুড়ি-চানাচুরমাখা মুখোমুখি বৈঠকে
হাসিতে মুখর মাথা ঠোকাঠুকিতে
নাকে নাকে মিলমিশ
চোখে মুখে প্রেমের বন্যা ..
কি করে থাকি বলো তো ???
তোমায় যে বড্ড বেশি প্রয়োজন ।
এমন বৃষ্টি ভেঁজা মাদল হাওয়ায়
তোমার সুখটানের ধোঁয়ায় আমি ভেসে যাই,
বৃষ্টি আমায় ভিজিয়ে দেয় আপাদমস্তক !
তোমার আলতো স্পর্শ পাই ,, হারিয়ে যাই
সৃষ্টি রহস্যে! উন্মাদনার আগুন জ্বলে উঠে
পুড়িয়ে দেয় মনোভূমি কৃষ্ণচূড়ার রঙে দেহবল্লরী।
অমাবস্যার ঘুটঘুটে আঁধারে নির্বিকার! আমি
জানালার এপাশেে বৃষ্টি খুঁজে ফিরি ,
স্বৈরাচারী করোনার শাসনে
ভালোবাসাও শাসিয়ে বলে ...!!
সবেতেই লকডাউন এ ধরায় ।।