a
ফাইল ছবি
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা পাবেন। এখন থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীররাও ২ ঈদে শতভাগ বোনাস বা উৎসব ভাতা পাবেন।
বিষয়গুলো মাথায় রেখে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১’ জারি করেছে সরকার। রবিবার (২৮ মার্চ) স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি সোমবার (২৯ মার্চ) প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষকরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের সমান বোনাস পাওয়ার কথা থাকলেও বেসরকারি শিক্ষকরা বোনাস পেতেন ২৫ শতাংশ আর কর্মচারীরা বোনাস পেতেন ৫০ শতাংশ।
নীতিমালার ১১ (৭) ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতন/বোনাসের নির্ধারিত অংশ/উৎসব ভাতার নির্ধারিত অংশ সরকারের ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল/সরকার নির্ধারিত সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের সাথে অথবা সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখে করতে হবে।’
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন পর আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করেছে সরকার। অনেক প্রতীক্ষার পর সরকারের এই সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন।’
ফাইল ফটো
আগামী ২৩ মে থেকে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়।
আজ সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বলা হয় যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সূত্র: নিউজ২৪
ফাইল ছবি
সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে আজ শনিবার রাজধানীতে গণমিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পৃথক স্থান থেকে গণমিছিল শুরু করবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা-কর্মীরা বেটার লাইফ হাসপাতাল এলাকা থেকে ভিআইপি রোড হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন। কমলাপুর এলাকা থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রার কথা রয়েছে মহানগর দক্ষিণের। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ শিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়ে বিএনপি-সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে যোগ দেবেন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউটিএবি) সদস্যরা।
এক দফা দাবি নিয়ে যুগপৎ আন্দলনের অংশ হিসেবে সবশেষ গত ২৫ আগস্ট বিএনপিসহ বিরোধীরা রাজধানীতে কালো পতাকা গণমিছিল করেছিল। ১৫ দিন পর একই দাবিতে আজ ঢাকায় গণমিছিল করবে তারা।
সমমনাদের গণমিছিল:
আজ বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত গণমিছিল করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সময়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে থেকে শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবে ১২ দলীয় জোট। এছাড়া বিকেল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত গণমিছিল করবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
বিকাল ৩টায় কারওয়ানবাজারের এফডিসি সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এলডিপি এবং গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) যৌথভাবে বিকেল ৪টায় মতিঝিলের নটরডেম কলেজের উল্টো দিকে গণফোরাম চত্বর থেকে একই কর্মসূচি পালন করবে।
অপরদিকে গণঅধিকার পরিষদ (নুর) বিকেল ৪টায় পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ও একই সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) গণমিছিল শুরু করবে। সূত্র: ইত্তফাক