a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং তা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
চলচ্চিত্র পর্দার মতো এবারেও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নায়ক-ভিলেনের মুখোমুখি ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল থেকে তারকারা অংশ নিচ্ছেন। একটি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, অন্যটির নেতৃত্বে আছেন মিশা সওদাগর।
ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা নিপুন এবং মিশা সওদাগরের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নির্বাচনে দুটি প্যানেলই নিজেদের জয় নিয়ে আশাবাদী।
ফাইল ছবি
ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ খলনায়ক মিশা সওদাগর। পর্দায় নানা চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন তিনি। অধিকাংশই নেতিবাচক অথচ পর্দার মিশা আর বাস্তবের মিশার মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল তফাৎ। যতটা নেতিবাচক, বাস্তবে ততটাই ইতিবাচক।
এই অভিনেতা বাস্তব জীবনে একজন দারুণ প্রেমিক। তার প্রেমকাহিনী যেকোনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এমন দিনে মিশা সওদাগর জানান, বিয়ের আগে ১০ বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন। প্রেমের যখন শুরু তখন মিশা ম্যাট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার্থী। আর স্ত্রী মিতা পড়তেন নবম শ্রেণিতে। মিশা বলেন, ‘আমার আম্মা ও মিতার আম্মা নিকটাত্মীয়। আমাদের বাসা এবং তাদের বাসায় যাতায়াত ছিল। সেই সূত্র ধরেই প্রেম।
মিশা সওদাগর বলেন, প্রথম দেখায় মিতার যে জিনিসটা পছন্দ হয়… আমরা তো ঢাকার লোক, নিজের ড্রেসআপ গেটআপের দিকে খেয়াল করতাম। পড়াশোনার দিকে খেয়াল করতাম না। কিন্তু মিতা ফাইভে বৃত্তি পাওয়া মেয়ে। তার মেধা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। এই জায়গা থেকে আমার ফিল আরম্ভ হয়। প্রথম একটা চিঠি দিয়ে প্রেমের শুরুটা করেছিলেন মিতা। তবে দুজনের ১০ বছরের প্রেমের গল্প মোটেও সহজ ছিল না। ছিল পারিবারিক আপত্তি। এমনকী মিশা দেখা করতে যাওয়ায় মেডিকেলে পড়া হয়নি মিতার। সেই গল্প মিশা বলেন এভাবে- ‘মিতা চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পায়।
আমি সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই খবরে মিতার আব্বা চট্টগ্রামে তার পড়া বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি করে দেন। এ ছাড়া আরও অনেক ঝামেলা গেছে আমাদের। কিন্তু, আমরা দুজন দুজনকে ছাড়িনি। একবার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তাকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তখন আমরা বিয়ে করে ফেলি।' বর্তমানে মিশা-মিতা দম্পতির দুই পুত্র। তারা আমেরিকায় থাকেন। আর সুযোগ পেলেই মিশা উড়াল দেন স্ত্রী-পুত্রকে সময় দিতে। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় গ্রামের ধর্মীয় সাধক দেওয়ান শাগের শাহে্র (রহ.) মাজারের বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় মেলা। বাংলা সনের ১২ চৈত্র শাগের শাহে্র মৃত্যু বার্ষিকী ওরসের পাঁশাপাশি বসে এই মেলা। মেলায় মাজারের ভক্ত নারী পুরুষ ছাড়াও আশপাঁশের এলাকা থেকে কয়েক হাজার লোকের আনাগোনা হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তার ব্যতীক্রম ঘটেনি। হাজার হাজার লোকের আনাগোনায় মেলা তার পরিপূর্ণতা লাভ করে।
জানা যায়, প্রায় চারশ বছরের ঐতিহ্যবাহী কাটাগড়ের দেওয়ান শাগির শাহ্ মেলা ১২ই চৈত্র শুক্রবার (২৬ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে। শুরু হওয়া তিনদিনের এই আয়োজন ১৪ চৈত্র শেষ হলেও এর রেশ থাকবে ১৫ দিনব্যাপি।
সাত দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী এ মেলায় রকমারি পণ্য, নানা প্রজাতি আর হাতের কারুকাজ বিভিন্ন ধরনের পালঙ্গ দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে। মেলা ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে পুরো এলাকায়।তবে সবকিছু ছাপিয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে মেলায় বসা মিষ্টির দোকান ।
জানা গেছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার কাটাগড় নামক এলাকায় আসেন দেওয়ান শাগের শাহ। তিনি ছিলেন একজন সাধক। আধ্যাত্মিক সাধক শাগের দেওয়ান এর শাহ মাজারে ওরসকে ঘিরে প্রতি বছর বাংলা ১২ চৈত্র থেকে সপ্তাহব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়। খেলনা, বাতাসা, মুড়ি-মুড়কি, প্রসাধনী, কাঠের আসবাবপত্র, হাড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে সব কিছুই মিলবে এ মেলায়।
মেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউল আজম বাবু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কাটাগড় মেলা এই এলাকায় নাম করা একটি মেলা। মেলায় এক সময় ঘোড়া দৌঁড় হতো এখন আর তা হয় না। ১২ চৈত্র মেলা অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু ১২ চৈত্রর ৫-৬ দিন আগে থেকে মেলা শুরু হয়ে যায়। গত বছর করোনাভাইরাস দেখা দেওয়ার কারণে মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বছর প্রশাসন থেকে এখনও কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।