a
ফাইল ফটো:আনিসুর রহমান মিলন
‘বরফ কলের গল্প’ নামের ছবিতে থ্রিলার গল্পের ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন। তাকে দেখা যাবে খুনির চরিত্রে।
গত রোববার ফেসবুকে নিজের লুকসহ একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন মিলন।
সহিদ-উন-নবী সিরিজটি পরিচালনা করছেন । ছবিটি প্রকাশ পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে। খুলনায় চলছে সিরিজের শুটিং। আর এখানে মিলনের চরিত্রের নাম নওশাদ।
মিলন বলেন, ‘একটি শহরের ছেলে নওশাদ। তার রাজত্ব, নোংরামির গল্প উঠে আসবে এই ওয়েব সিরিজে। আমরা ছবির অনেক কিছুই রূপক অর্থে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’ এ চরিত্রটি খুলনার এক সময়ের ত্রাস এরশাদ শিকদারের চরিত্র অবলম্বনে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, মিলনের রাগান্বিত চোখ। মাঝখান দিয়ে রক্তভেজা একটি হাতুড়ি। সিরিজের নাম বরফ কল এবং খুলনায় শুটিংয়ে ধারণা করা হয় যে, এরশাদ শিকদারের ঘটনা থেকেই এটি নেওয়া হয়েছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আজ আমরা যখন আপনাদের সামনে এই বক্তব্য পেশ করছি তখন সেই মুহূর্তে গাজায় বর্বর ইসরায়েলী হানাদার বাহিনীর বুলেটের আঘাতে হয়তো ঝরে পড়ছে কোন নারী শিশু অসহায় মানুষের প্রাণ।
ফিলিস্তিনের হাজার হাজার মানুষের আত্মদানের প্রতি গভীর শোক বেদনা সম্মান প্রদর্শন করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক এবং গণমানুষের সার্বিক মুক্তির সাহসী কান্ডারী ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ' আয়োজিত আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন, ধন্যবাদ এবং হৃদয়োষ্ণ ভালোবাসা।
আজ আমরা এখানে এক গভীর উদ্বেগ ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত এটি হয়েছি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। এটি শুধুমাত্র একটি ক্যালেন্ডার বছরের সূচনা নয়, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। বাংলা নববর্ষ-যেখানে গ্রামের মেলা থেকে নগরের শোভাযাত্রা পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে, ব্যবসায়ীরা হালখাতা খোলে, কবিরা নতুন কবিতার প্রাণ- স্পন্দন খুঁজে পায়, শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী, নর-নারী রঙবেরঙের নতুন পোশাক, ফুলসজ্জায় নদীর ঢেউয়ের মতন রাস্তায় নেমে আসে, সারাদেশে-শহরে নগরে হাটে মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের জোয়ার বয়ে যায়। আর মানুষ জাত-ধর্ম-বর্ণ ভুলে একসঙ্গে একআনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু এই সার্বজনীন আনন্দঘন উৎসব আজ একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের নিশানায়। কিছু গোষ্ঠী-যারা ইতিহাস অস্বীকার করে, যারা সাম্প্রদায়িক মতাদর্শকে সাংস্কৃতিক চেতনার উপর চাপিয়ে দিতে চায়-তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলা নববর্ষকে ‘অইসলামিক' বা ‘বিদেশি সংস্কৃতি'র অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও সঠিক নয় বরং ইতিহাস বিকৃতি ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা।
মূলতঃ বাংলা নববর্ষের মূল ইতিহাস হচ্ছে মোগল সম্রাট আকবরের আমলে কৃষি ও খাজনা ব্যবস্থার সহজীকরণের উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত বাংলা সন। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ‘ফসলি সন' পরে ‘বঙ্গাব্দ' বা ‘বাংলা বর্ষ' নামে পরিচিত হয়। এটা কোনো ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং প্রশাসনিক প্রয়োজন থেকেই উৎসারিত একটি ক্যালেন্ডার ব্যবস্থা। অথচ আজ একশ্রেণির লোক ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হেয় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়া 'শোভাযাত্রা' আজ একটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। কিন্তু কিছু গোষ্ঠী এটিকে ‘মূর্তিপূজা' আখ্যা দিয়ে কটূক্তি করছে। এটি প্রকৃত অর্থে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ ও শুভবোধের বহিঃপ্রকাশ, যা বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বিশ্বমঞ্চে আমাদের পরিচয় তুলে ধরছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও গোপন গ্রুপে নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে। এটা শুধু মত প্রকাশ নয়, সাংস্কৃতিক জঙ্গিবাদের সূক্ষ্ম রূপ। অতীতে ২০০১, ২০০৭, ২০১৫ সালের মতো বিভিন্ন সময় এই উৎসবে হামলা ও হুমকির ইতিহাস আছে। এখনো আশঙ্কা থেকেই যায়, বিশেষ করে জনসমাগমকে টার্গেট করে।
জাতীয় কবিতা পরিষদ মনে করে, বাংলা নববর্ষকে লক্ষ্য করে চালানো এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ এটি কেবল একটি উৎসব রক্ষার লড়াই নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ভাষা আন্দোলনের গর্ব ও জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। আমরা মনে করি, ‘বাংলা নববর্ষ' হলো একটি সাংস্কৃতিক ঐক্যের বাহক। এটি হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত উৎসব। বাংলা নববর্ষ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এটি বিভাজন নয়, একতা তৈরি করে।
বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে। যা এই ঐক্যকে আরও বৃহৎ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করবে। এই উৎসবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এই দেশবিরোধী, স্বাধীনতা, সার্বভৌম বিরোধী গভীর চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র এখনই প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধ্বংস ও ধুয়ে মুছে যাবে।
আমাদের তাই দাবি ও আহ্বান:
১. সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান-বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ষড়যন্ত্র বা সহিংসতার আশঙ্কা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও গণমাধ্যমে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরা হোক।
৩. ধর্মীয় অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৪. সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে দেশব্যাপী ‘সংস্কৃতি রক্ষা অভিযান' গড়ে তোলা হোক-পথনাটক, কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা ও গণসংগীতের মাধ্যমে।
৫. সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান-এই অপপ্রচারের জবাব দিন সাহস ও সচেতনতায়। ঘরে ঘরে গর্জে উঠুক বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জয়গান।
বাংলা নববর্ষ আমাদের গর্ব, আমাদের আত্মপরিচয়। এই উৎসব বাঁচলে বাঁচবে আমাদের সংস্কৃতি, বাঁচবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতীয় কবিতা পরিষদ এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করছে-অন্ধকারের অপশক্তি যে যেভাবেই যে ষড়যন্ত্রই করুক না কেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপন চলবে, আরও জাঁকজমকভাবে, আরও ব্যাপকভাবে। কারণ এটাই আমাদের প্রতিরোধ, এটাই আমাদের উত্তরাধিকার। চলুন, আমরা শব্দ বর্ণে ছন্দ অলংকারে-কবিতায়, কণ্ঠে, কলমে, শিল্পে চেতনার মশাল জ্বেলে রুখে দাঁড়াই, বলি-বাংলা নববর্ষের ওপর কোনো আঘাত আমরা মেনে নেব না। আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষায় এদেশের প্রগতিশীল কবিরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে আজও তা করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জাতীয় কবিতা পরিষদের কবি ও কর্মীরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করবে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখবে। এটাই আমাদের আজকের দৃপ্ত ঘোষণা।
আপনারা জাতির বিবেক, আপনারা জাতির পথপ্রদর্শক, আপনারা মানুষের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার বাহক, তাই আজ আমরা জাতীয় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে আপনাদের একান্ত অনুরোধ জানাই-আপনারা দেশেবিদেশে সর্বত্র আমাদের এই বক্তব্য, আমাদের এই চাওয়া, আমাদের এই দাবি তুলে ধরে, পৌঁছে দিয়ে আপনার-আমার-আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জাতিসত্তার পরিচয়, ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি সুরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনে আন্তরিক ও অকৃপণ হবেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সভাপতি মোহন রায়হান উপস্থিত সকলকে শুভ বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানান।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: বিচারালয় সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রধান মাধ্যম হলেও এটি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট সমাজের আইন, প্রথা এবং ঐতিহ্যের উপর। এছাড়াও, আইনজীবী ও বিচারকদের ভূমিকা বিচার ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচারের অন্যতম মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
বাংলাদেশে আদালত এবং বিচার ব্যবস্থার বিবর্তনের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, দিল্লি সুলতানাত ও মুঘল আমলে বিচার ব্যবস্থার অস্তিত্ব ছিল। উভয় আমলে মুসলিম শাসকরা ন্যায়বিচারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে আজকের মতো পেশাদার আইনজীবী সেই সময়ে ছিল না।
আমাদের বর্তমান বিচার ব্যবস্থা মূলত ব্রিটিশ শাসনের অবদান। ব্রিটিশদের থেকে আমরা দাপ্তরিকভাবে তাদের আইনি কাঠামো উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। সিভিল প্রসিডিউর কোড (CPC) এবং ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (CRPC) উভয়ই ব্রিটিশ প্রশাসক স্যার ম্যাকলে-এর একক অবদান, যিনি নিজে আইনজীবী ছিলেন না, বরং একজন ইতিহাসবিদ ছিলেন। ব্রিটিশরাই প্রথম আমাদের এখানে পেশাদার আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই ব্রিটিশ ভারতের আইনি ও বিচার ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে। উভয় দেশই তাদের নিজ নিজ আইনি কাঠামোতে বড় কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন অনুভব করেনি। পাকিস্তান ও ভারত উভয়ই ব্রিটিশদের প্রতিষ্ঠিত আইনের শাসন অনুসরণ করার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পুরোনো আইনি কাঠামো থেকে সরে এসে সরকার-নির্ভর আদালত পরিচালনার চেষ্টা করে। প্রথমবারের মতো আইনের শাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আদালতগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা হয়। তিনি আদালতগুলোকে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেন এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান। তার পরবর্তী শাসক এরশাদও সেই কাঠামো অনুসরণ করেন।
তবে এরশাদের পতনের পর থেকে বিচার ব্যবস্থায় অবনতি শুরু হয়, যদিও তা সাধারণ মানুষের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা শাসনামলে।
আদালতগুলোকে আওয়ামী আদালত হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এ সময় বিচার ব্যবস্থা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং আদালতগুলো শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার হাতিয়ারে পরিণত হয়। জনগণ এ সময় চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর বিচার ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা দেখা দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, তবে নিম্ন আদালত এখনো আওয়ামীপন্থী বিচারকদের প্রভাবমুক্ত নয়। নিম্ন আদালতে দলীয়করণ থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন।
আমরা আশা করি, শীঘ্রই আইনের শাসন পুরোপুরি ফিরে আসবে এবং বিচার ব্যবস্থা তার পবিত্র দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে এবং সামনের দিনগুলোতে আদালতগুলোতে একটি উজ্জ্বল দিন দেখা যাবে।
সম্পাদক, সামরিক ইতিহাস জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক