a
ফাইল ছবি
— একজন বঙ্গবন্ধু —
মোসলেমা পারভীন
তুমি কখনও ভাবতে পারোনি
কোন বাঙালী কোনদিন,
তোমার কোন ক্ষতি করতে পারে!
তোমার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি
সুরক্ষিত করার প্রস্তাব
অকাতরে অগ্রাহ্য করে গেছ।
তোমার বাড়ি রেখে গেছ
অবারিত
বাংলার আপামর মানুষের জন্য।
একজন অবিসংবাদিত নেতার ও
তবে বুঝি ভুল হয় —
সেই অরক্ষিত দরজাকে দিতে হল
ভুলের মাশুল!
ঘাতকেরা ঢুকে গেল বিনা বাঁধায়,
দ্বিধা হলনা, বাঙালীর প্রতি
গভীর বিশ্বাস
জমা করে রাখা বুকে,
বুলেট চালাতে!
তার খেসারত বুঝি বা বাঙালী,
বাংলাদেশী দিয়ে যাবে চিরকাল।
বাঙালী আজ আর একে অপরকে
বিশ্বাস করেনা।
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
বেঁচেছিলে,
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
দিয়েছিলে
এই অকৃতজ্ঞ জাতিকে!
সেই বিশ্বাস আজ
পয়তাল্লিশ বছর
টুঙ্গিপাড়ার মাটির নীচে
চাপা পড়া।
বাংলাদেশ আজ তোমার জন্মশতবার্ষিকি
পালন করছে!
তুমি চোখ মেলে দেখোনা!
বিশ্বাসঘাতকের দেশে তোমার
আড়ম্বরপূর্ণ জন্মতিথী পালন!
তুমি দেখোনা!
তোমার মৃত্যুতে খেসারত
দিয়ে যাওয়া,
ক্রমাগত খেসারত দিয়ে যাওয়া
আমরা বাংলাদেশীরা দেখে যাই
উৎসব!
ফাইল ছবি । আব্দুর রব
এখন থেকে চল্লিশ বছর আগে আমি মন্ট্রিয়ালের সিটি হলের কাছে পুরান মন্ট্রিয়ালে আমার প্রথম ভাড়ার ভবনটি কিনেছিলাম। সেই ভবনের ভাড়াটেদের মধ্যে ছিলেন ফ্রান্সের একজন ৯৫ বছর বয়সী ব্যক্তি। এক গভীর রাতে তিনি ভবনটির প্রধান দরজা খুলে বেরিয়ে গেলেন। একজন মহিলা তাকে রাস্তায় পুরোপুরি উলঙ্গ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দেখলো যে ভদ্রলোক তার নাম বা ঠিকানা কিছুই বলতে পারলেননা। তাই তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং হাসপাতাল তাকে সেখানে ভর্তি করেI হাসপাতাল থেকে কল করে আমাকে বলা হলো যে ভদ্রলোক আর বাসায় ফিরবেননা। সুতরাং আমি তার য়্যাপার্টমেন্টটি যেন পরিষ্কার করে অন্য কাউকে ভাড়া দিযে দেই।
আমি তার য়্যাপার্টমেন্টে গিয়ে দেখি যে এক কোণায় ছাদ পর্যন্ত বড়ো বড়ো বাদামী রংএর ব্যাগ সাজানো আছে। আমি ব্যাগগুলো খুলে দেখি যে সেগুলোর ভেতর টাকা আর টাকা আর টাকা। আমি অনেক পুরানো স্বর্ণের মুদ্রা এবং স্বর্ণ পদকও পেলাম। আমি ভয় পেয়ে গেলাম এবং তাড়াহুড়া করে টাকা ও স্বর্ণের ব্যাগগুলো বড়ো ২/৩টা প্লাস্টিক গারবেজ ব্যাগে ভর্তি করে আমার গাড়িতে করে সেগুলো আমার বাড়ি নিয়ে গেলাম। আমি আমার প্রতিবেশীকে ডেকে তার সামনে সমস্ত অর্থ ও অন্যান্য জিনিসগুলো গণনা করে একটা লিস্ট করলাম। এরপর আমি মন্ট্রিয়ালের পুলিশকে কল করে ব্যাপারটা জানালাম। তারা আমাকে জানালেন যে তারা এ ব্যাপারে কিছু করতে পারবেনা।
ভয়ে ভয়ে আমার রাত কেটে গেলো। পরের দিন সকালে আমি আমার ভাড়াটের হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালের পরিচালককে সমস্ত টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসগুলো দেখালাম। ভদ্রলোক ভয় পেয়ে দরজা জানালাগুলো বন্ধ করে দিলেন। তিনি ভয় পেয়েছিলেন ডাকাতরা বন্দুক নিয়ে এসে টাকা ও জিনিসগুলো নিয়ে যেতে পারে।
আমরা দুটি লিস্ট তৈরি করলাম:একটা অর্থের জন্য এবং অন্যটি সোনার মুদ্রা এবং স্বর্ণের পদকগুলির জন্য। আমি তাকে সমস্ত টাকাগুলো দিলাম এবং তিনি তার জন্য আমাকে একটা রসিদ দিলেন। আমি সোনার মুদ্রা এবং স্বর্ণের পদকগুলি রেখে দিলাম এবং তার জন্য তাকে একটা রশিদ দিয়ে আসলাম। আমি ভেবেছিলাম যে এগুলি এত আকর্ষণীয় ছিল যে হাসপাতালের লোকজন নিজেদের জন্য এগুলো রেখে দিতে পারে।
আমি যখন পরিচালকের রুম ছেড়ে চলে আসছিলাম তখন তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন," আমি আপনার মতো একজন stupid মানুষ কখনও দেখিনি। " উনি বলতে চেয়েছিলেন যে বিশ্বের কেউই জানতোনা যে আমি বিশাল পরিমাণ অর্থ এবং অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্য পেয়েছি। এই জিনিসগুলো যার সে তার নামও স্মরণ করতে পারেননা এবং শীঘ্রই সে মারা যাবে। আমি যদি বুদ্ধিমান হতাম, তাহলে আমি সবগুলো নিজের জন্য রেখে দিতাম।
কয়েক মাস পরে কুইবেক প্রদেশের একজন কর্মকর্তা আমার সাথে দেখা করতে আসলেন। আমি তাকে পুরো গল্পটা বললাম এবং আমার কাছে যে স্বর্ণের মুদ্রা এবং স্বর্ণ পদকগুলো ছিল তা তাকে বুঝিয়ে দিলাম। তিনি তার জন্য আমাকে একটা রশিদ দিলেন। আমার বাড়ি থেকে যাবার আগে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কি একজন মুসলমান?" আমি বললাম, "হ্যা।"
আমি একজন stupid মুসলিম হতে পেরে গর্বিত অনুভব করছি।
আব্দুর রব, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন/...ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
ফাইল ছবি
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয় রাজ্য। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩ মাত্রার।
গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনবার দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলে।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত–মিয়ানমার সীমান্ত। এ ছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের কাছাড় এলাকা।
আগস্ট মাসে দুই দফায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি অনুভূত হয় ২৯ আগস্ট। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট। এর আগে ১৪ আগস্ট আরেকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তবর্তী সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়। সূত্র: প্রথম আলো