a — একজন বঙ্গবন্ধু —
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

— একজন বঙ্গবন্ধু —


ফেসবুক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১, ১০:১০
একজন বঙ্গবন্ধু

ফাইল ছবি

— একজন বঙ্গবন্ধু —
        মোসলেমা পারভীন

তুমি কখনও ভাবতে পারোনি 
        কোন বাঙালী কোনদিন,
           তোমার কোন ক্ষতি করতে পারে!
তোমার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি
           সুরক্ষিত করার প্রস্তাব
           অকাতরে অগ্রাহ্য করে গেছ।
তোমার বাড়ি রেখে গেছ 
                     অবারিত
        বাংলার আপামর মানুষের জন্য।
একজন অবিসংবাদিত নেতার ও
            তবে বুঝি ভুল হয় —
সেই অরক্ষিত দরজাকে দিতে হল
                      ভুলের মাশুল!
ঘাতকেরা ঢুকে গেল বিনা বাঁধায়,
দ্বিধা হলনা, বাঙালীর প্রতি 
                 গভীর বিশ্বাস 
              জমা করে রাখা বুকে, 
                        বুলেট চালাতে!
তার খেসারত বুঝি বা বাঙালী, 
         বাংলাদেশী দিয়ে যাবে চিরকাল।
বাঙালী আজ আর একে অপরকে 
               বিশ্বাস করেনা।
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
                               বেঁচেছিলে,
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
                               দিয়েছিলে
              এই অকৃতজ্ঞ জাতিকে!
সেই  বিশ্বাস আজ 
       পয়তাল্লিশ বছর
       টুঙ্গিপাড়ার মাটির নীচে 
                         চাপা পড়া।
বাংলাদেশ আজ তোমার জন্মশতবার্ষিকি 
                    পালন করছে!
তুমি চোখ মেলে দেখোনা!
বিশ্বাসঘাতকের   দেশে তোমার 
            আড়ম্বরপূর্ণ জন্মতিথী পালন!
তুমি দেখোনা!
তোমার মৃত্যুতে খেসারত 
                       দিয়ে যাওয়া,
              ক্রমাগত খেসারত দিয়ে যাওয়া 
আমরা বাংলাদেশীরা দেখে যাই 
                               উৎসব!

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মন কেমনের লকডাউন!


ফেসবুক ডেস্ক:
বুধবার, ১২ মে, ২০২১, ০৬:০০
মন কেমনের লকডাউন

 মুক্তা দাশ

মন কেমনের লকডাউন 

এমন মিঠে বৃষ্টির আলাপনে ... 
বড্ড মন কেমন করে সারাক্ষণ ! 
কেউ কেউ  এর মধ্যে ই শাসায়... লক ডাউন!  
লকডাউন চিৎকারে, বড্ড বিরক্তি ধরায়ে দেয় । 
কিভাবে থাকি বলো তো !? 
তোমাকে ছাড়া এই বৃষ্টিমুখর জলসায় ! 
একটু মুড়ি-চানাচুরমাখা  মুখোমুখি বৈঠকে 
হাসিতে মুখর   মাথা ঠোকাঠুকিতে
নাকে নাকে  মিলমিশ 
চোখে মুখে  প্রেমের বন্যা  ..
কি করে থাকি বলো তো ??? 
তোমায় যে বড্ড বেশি প্রয়োজন । 
এমন বৃষ্টি ভেঁজা মাদল হাওয়ায় 
তোমার সুখটানের ধোঁয়ায় আমি ভেসে যাই, 
বৃষ্টি আমায় ভিজিয়ে দেয়  আপাদমস্তক ! 
তোমার আলতো স্পর্শ পাই ,, হারিয়ে যাই  
সৃষ্টি রহস্যে!  উন্মাদনার আগুন জ্বলে উঠে
পুড়িয়ে দেয় মনোভূমি  কৃষ্ণচূড়ার রঙে দেহবল্লরী। 
অমাবস্যার ঘুটঘুটে আঁধারে নির্বিকার!  আমি 
জানালার এপাশেে বৃষ্টি খুঁজে ফিরি , 
স্বৈরাচারী করোনার শাসনে
ভালোবাসাও শাসিয়ে বলে ...!!
সবেতেই লকডাউন এ ধরায় ।।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ফকির আলমগীর আর নেই


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৩
ফকির আলমগীর আর নেই

ফাইল ছবি

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কয়েক দিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর পর তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তখন থেকেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাকে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
ফকির আলমগীরের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির পর দুই ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর।

তার ছেলে মাশুক আলমগীর জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫-এ নেমে আসে। ওই দিন থেকে চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেয়ার পর থেকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ পর্যন্ত উন্নীত হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এক সময় রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া যায়। রক্তচাপ খুবই নেমে যায়। রক্তে ইনফেকশনের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকালে জ্বর আসতো। শুক্রবার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে রাতে আবারো অবস্থার অবনতি হয়। এরপর গণসংগীতের এই শিল্পীকে মৃত্যু ঘোষণা দেয়া হয়।
 
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো: হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেসা। শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা করেছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাঁশীবাদক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন ফকির আলমগীর। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে ও ’৬৯-এর গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ–অভ্যুত্থান, ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০–এর সামরিক শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তার গান দিয়ে।
 
জনপ্রিয় গান:
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেছেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয়পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার।

সম্মাননা ও পদক:
সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পর্যন্ত পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক’, ‘শেরেবাংলা পদক’, ‘ভাসানী পদক’, ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার’, ‘তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক’, ‘জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণপদক’, ‘কান্তকবি পদক’, ‘গণনাট্য পুরস্কার’, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা’, ‘ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার’, ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র’, ‘জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা’, ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননা’ ও ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ’।

শোক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে রাতে সরকারি সংবাদ সংস্থা- বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ