a জিয়াকে নিয়ে শিশু কনক চাঁপার এক অন্যরকম অনুভূতি!
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জিয়াকে নিয়ে শিশু কনক চাঁপার এক অন্যরকম অনুভূতি!


ফেসবুক ডেস্ক:
রবিবার, ৩০ মে, ২০২১, ১১:৫৫
জিয়াকে নিয়ে শিশু কনক চাঁপার এক অন্যরকম অনুভূতি

ফাইল ছবি। জিয়াউর রহমান

 

খুব ছোট বেলার কথা। ৭৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক প্রবর্তিত বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত শিশুদের সুকুমার বৃত্তির প্রতিযোগিতা নতুন কুঁড়ির প্রতিযোগী এবং পুরস্কার বিজয়ী ছিলাম। তখনও আমি আমাদের প্রেসিডেন্টকে সরাসরি দেখিনি। এরপর বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত একটি মঞ্চানুষ্ঠান হয়। রেডিওতে তো শুধু গান হয়,দেখা যায়না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সাহেব আদেশ দিলেন ঢাকার শাহবাগের রেডিও বাংলাদেশের হোম সার্ভিস এর ভেতরে পেছন দিকের উন্মুক্ত বাগানে  একটা মঞ্চানুষ্ঠান করার জন্য। যেখানে উনি উপস্থিত থেকে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন।
 
আমরা যারা নিয়মিত রেডিও কলকাকলীতে অংশগ্রহণ করতাম তারাই সে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলাম।প্রায় এক মাস ধরে রিহার্সাল হলো। গ্রামবাংলার মানুষের জীবন যাত্রা নিয়ে একটি নৃত্যনাট্য। অনেক কোরাস ভয়েজ ছিল, বলাই বাহুল্য সেখানে বড় বড় একক  গান আমার ভাগে পড়লো এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই  নৃত্যনাট্যের অংশ হিসেবে, যেন কেবল ভোর হলো এটা বোঝানোর জন্য ছিল ফজরের আজান।সেই আজান আমাকে দেয়া হলো। আজানের পরেই নাটকের ভেতরে বিবেক এসে গাইতে থাকে "মনরে পথে পথে পথ বাঁধিতে একতারা বাজাই"।সবই আমাকে গাইতে হয়েছে। এরপর পুরো একটা গ্রামীণ গল্প নাচেগানে উপস্থাপিত হলো।
 
আমাকে অনুষ্ঠানের বড় কেউ একজন  ডেকে নিয়ে গিয়ে একদম প্রেসিডেন্ট সাহেব এর সামনে দাঁড় করালেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করা উচিত। উনি আমাকে এক হাতে টেনে নিয়ে একদম কাছে দাঁড় করিয়ে সেই বিখ্যাত সুমিষ্ট হাসি দিয়ে বললেন তোমার নাম? এতো সুন্দর নাম কে রাখলেন?  তারপর বললেন এতো সুন্দর করে আজান কিভাবে দিলে তুমি! তারপর অনেক দোয়া করলেন। আমার বাবা-মা পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন, উনি তাঁদের দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে  বললেন বাচ্চার যত্ন নেবেন। ও একটা রত্ন। যাইহোক। 

এরপর একসময় আমাদের "মাদারটেক আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়" এ তিনি  এলেন স্কুল পরিদর্শনে। তখনকার দিনেই তিনি আমাদের স্কুলে অনুদান সহ পুরো স্কুলে যাতে এক জায়গা থেকে ক্লাসে ক্লাসে ঘোষণা বা লেকচার শোনা যায় এমন সাউন্ড সিস্টেম মাইক্রোফোন সেট কিনে দিলেন। উনি আসার সাথে সাথে  আমার রিহার্সাল করা গান "প্রথম বাংলা আমার শেষ বাংলাদেশ" গাচ্ছিলাম।উনি আমাদের সামনে দিয়ে সহাস্যে ধীরে ধীরে যাচ্ছিলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষকদের সাথে শেইকহ্যান্ড করতে করতে। আমার দিকে চোখ পড়তেই উনি চেনা একটা হাসি দিলেন, মানে উনি আমাকে দেখেই চিনেছেন এই মেয়েটিই সেই কনকচাঁপা এবং আমাদের প্রধান শিক্ষক কে জিজ্ঞেস করলেন যে কনকচাঁপা আপনার স্কুলে পড়ে? ভাবা যায়! একজন দেশের প্রেসিডেন্ট! তাঁর এতো তুচ্ছ বিষয় মনে রাখার ব্যাপারটা আজও  বিস্মিত করে আমাকে। ওনার নির্দেশে "পেন পলস" ক্লাব নামক একটি এনজিও শুধু বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতো। সেখানেও আমি জিয়া শিশু পুরস্কার কয়েকবার পেয়েছি।

পেনপলস ক্লাবের পুরস্কার গুলো অপূর্ব ছিলো। নানান গুনীজনের জীবনীগ্রন্থ  শিশুতোষ ভাষায় লেখা বই,একশোটা কাঠপেন্সিল, বিশ দিস্তা কাগজ! এগুলো পুরস্কার এর আইডিয়া ওনারই ছিলো। ওনার নামে "জিয়া পরিষদ" এর নানা কর্মকাণ্ডেও  আমি অংশগ্রহণ করেছি।
সোজা কথায় তিনি ছিলেন অসম্ভব শিশুপ্রিয় মানুষ। শিশু-কিশোররা ঠিক ঠাক গড়ে ওঠে কিনা এনিয়ে তাঁর কঠিন নজরদারি ছিল। বিটিভিতে আমাদের অনেক শিল্পীর সাথে জনাব  তারেক রহমান ও কোকো রহমান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সাহেবের  কড়া নির্দেশ ছিলো তাঁর সন্তানদের যেন বিশেষ দৃষ্টিতে না দেখা হয়! তাদের বেশভুষা, তাদের যাতায়াতের যানবাহন খুবই সাধারণ ছিল। তারা দুই ভাই কোন প্রোটোকল ছাড়া বিটিভির গাড়িতে রিহার্সাল এ যাতায়াত করতো।

এই ছিলেন আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট সমুখভাগের মুক্তিযোদ্ধা শ্রদ্ধার ও ভালোবাসার জিয়াউর রহমান।

মনে পড়ে তাঁর মৃত্যুতে অনেক কেঁদেছিলাম। টিভিতে লাখো মানুষের ঢল আর হৃদয়বিদারক করুণ ধারাবিবরণীতে কেঁদে কেঁদে অস্থির হয়ে গেছিলাম এই কিশোরী আমি! 
আমার সেই অনুভূতি আজও তেমনি আছে,থাকবে।

স্রষ্টা, তুমি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান সাহেবকে জান্নাতুল ফেরদৌসের স্থায়ী বাসিন্দা করে নেয়ার অনুগ্রহ করো।

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত.../কন্ঠশিল্পী: কনক চাঁপা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জুলাই বিপ্লবের আহত যোদ্ধাদের পাশে এ এস এম আব্দুল হালিম


রিয়াদ, সিনিয়র রিপোর্টার, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৪০
জুলাই বিপ্লবের আহত যোদ্ধাদের পাশে এ এস এম আব্দুল হালিম

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

রিয়াদ, ইসলামপুর, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন: গত বছরের জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট শাসক হাসিনা সরকারের পতনের দাবিতে ছাত্র ও জনতার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হামদে রাব্বি আকরাম ও গণমাধ্যমকর্মী রিয়েল রোমান-এর চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনাব এ এস এম আব্দুল হালিম।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক আহত দুই যোদ্ধার হাতে তুলে দেন চেয়ারম্যান মহোদয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, "জুলাই বিপ্লবে ছাত্র ও জনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আশার আলো দেখেছে। প্রকৃত স্বাধীনতার মূল মন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ এগিয়ে চলছে। এই যুদ্ধে নিহত ও আহতদের প্রতি আমাদের সবার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।"

এ এস এম আব্দুল হালিম আরও বলেন, "রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও জুলাই বিপ্লবে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। এটি মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব।"

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

চুনারুঘাটে মামুন মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের বিষপানে মৃত্যু


মজিবর, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩, ০৮:১১
চুনারুঘাটে মামুন মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের বিষপানে মৃত্যু

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

চুনারুঘাটে মামুন মিয়া (২৫) নামের এক ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার উত্তর বড়জুষ গ্রামের এজবত উল্লার পুত্র।

গতকাল শুক্রবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে সে বিষপান করে ছটফট করতে থাকে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ