a
সংগৃহীত ছবি
তোমারই আমি
এম.এস প্রিন্স
সজনী, ফাগুন বলিল কড়া নাড়া দিয়ে-
অপেক্ষায় আছি তোমার পানে হাত বাড়িয়ে।
জবাবে বলে আমি তাঁকে দিয়েছি বিদায়-
"যদি পরাই, মালা পরাবো সজনীর গলায়।"
বিদায় কালে ছিলো কত, লাবণ্য মুখ তাঁর
না আছে, সে কথা বলার বালাই আমার।
যাইবার কালে তবু আশায় গিয়াছে বলে
যদি পারো মুখ ফিরে তাকিও কোনো ছলে।
কিভাবে তাকাবো, আমি আশায় জাল বুনে
তোমার পরশ খুঁজি পৃথিবীর স্তনে।
না জানি তুমি আজ কোথায় কিভাবে
কোন লামা-দেবশ্রীর ভিলা সাজাও ভবে?
আমি আছি, আজও সেই আগেরি মত
যত শোক, যত দুখ আরও আছে যত ক্ষত
ভুলে থাকি, সেই গান সেই চিঠি-কবিতা পড়ে
আলিঙ্গনে মাতিয়া পাণি ভরি আঁধার নীড়ে।
মনে কি পড়ে তোমার বলা সেই কথা!
"দুঃখের কারণ হলে খাবো বাপও মায়ের মাথা।"
আমি তাই মেনে পাখির মত ডানা মেলে
নদীর মত লতার মত গতিচোখ খোলে
নিজেকে দেখিতে লাগি তোমার নূরে
এ যে কত সুখ কত শান্তি জগৎ-সংসারে
নানা ভঙ্গে অঙ্গে অঙ্গে ভাবের মূর্তি জাগায়ে
ইচ্ছে মত বলেছ দিয়েছ শিখায়ে
সুমধুর সম্বোধনে- "তুমি আমার।"
এর থেকে শ্রেষ্ঠ বাক্য শুনিনি জগতে আর।
সঘন পত্রপল্লব ছায়ার মত আমি স্বপনে
সৌন্দর্যের পৃথিবী এঁটে চলেছি আনমনে।
শাড়ি কেমন কেমন বেণী চলনবলন
গেঁথেছি তাতে আরও যত তোমার সৃজন
ভাবি-নাই কভু তাই হবে জীবনের কাল
থেমে গেছে জীবন, নেই জীবনের হাল।
একা, আমি একা আজ পৃথিবী আঁধার
ভাবি তবু ফিরে এসে বলবে- তুমি আমার।
আমি সেই সুখে সেই গানে সেই সুমধুরে
বরণ করে নিবো - নয়নে নয়ন ফিরে
সবুজ সবুজের ছায়
মিশে রব ছবি হব তুমি আমি পৃথিবীর নায়।
ছবি সংগৃহীত: শহীদ ফাইয়াজ
ফাইয়াজ -এর জন্মদিনে মায়ের আবেগঘন চিঠি
প্রিয় ফাইয়াজ,
আব্বা আমার - আমার কলিজা বাচ্চা, আমার চাঁদের টুকরা। কেমন আছো আব্বা? পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকলে আজকে তোমার জন্য একটি বিশেষ দিন ছিল। কত কত স্মৃতি আমাদের। আব্বা আমি জানি তুমি খুব ভালো আছো। আমি তোমার জন্য কান্না করলেই মাহা আমাকে বলে 'মা, ভাইয়া তো শহীদ, ভাইয়া কত ভালো আছে! তুমি কাঁদো কেন?'
জানো বাবা, সেদিন বাজার করতে গিয়ে যেই চকোলেট এর শেল্ফ এর সামনে দিয়ে যাচ্ছি- আমি দেখতে পেলাম ঠিক তুমি দাঁড়িয়ে, আর ক্যাডবেরির একটা বড় Silk এর প্যাকেট আমাকে দেখিয়ে বলছো মুনাম্মা নেই এটা?' বাবা আমি আর চকোলেট কিনি না, মাহা মাইরীন ও আর আবদার করেনা।
সেইদিন মাইরীন মাহাকে বলছে 'জানো মাহা-মা আর কখনও বিরিয়ানি রাধবে না। ভাইয়া যে নাই, তাই।' সত্যিই তো বাবা, আমি কী করে রান্না করবো বলো? তোমাকেই তো খাওয়াতে পারবো না!
আব্বা, আমি কেমন আছি জিজ্ঞেস করবে না? আমি যে কেমন আছি জানি না বাবা- শুধু আমার কিছু ভালো লাগে না। শুধু মনে হয় অনেক দূরে হাঁটতে হাঁটতে কোথাও চলে যেতে পারতাম-। যেখানে কেউ নাই! চুপচাপ।
আমি যখন স্কুলে যাই বা অন্য কাজে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর ক্রস করতে হয়, জানো বাবা আমি পুরোটা রাস্তা চোখ বন্ধ করে থাকি। সিটি হসপিটালের সামনে দিয়ে গেলেও চোখ বন্ধ করে রাখি। মনে হয় কেন আমাকে এসব পথে চলতে হচ্ছে। ধানমণ্ডি ২৭ টা এখন সবচেয়ে বিভীষিকাময় আমার জন্যে।
আচ্ছা বাবা এই যে তোমার জন্মদিন, রোজার ঈদ, কুরবানীর ঈদ, পহেলা বৈশাখ আসবে..- আমি কী করবো বলো তো? আমাদের না একসাথে শপিং এ যাওয়ার কথা! তারপর শপিং শেষে পিৎজ্জ্বা আর কফি খেয়ে রিকশা চড়ে গল্প করতে করতে বাসায় ফেরার কথা!
আমি সারাটা দিন মনে মনে তোমার সাথে কথা বলি, তুমি যে কত কত উপদেশ দাও আমাকে! কত বড় হয়ে গেছো তুমি আব্বা!
জানো বাবা তোমার জন্য যখন দোয়া করি, তখন আমি একটু স্বার্থপর হয়ে যাই। আমি আল্লাহকে বলি, আল্লাহ ফাইয়াজ কি বুঝতে পারছে, ওর জন্য আমি কত কষ্টে আছি? ওকে প্লিজ একটু বলে দিয়েন যে তোমার মুনাম্মা ভালো নাই। তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা তোমার মুনাম্মার জন্য কঠিন শাস্তি হয়ে যাচ্ছে। আবার মনে হয়, এটা শুনলে হয়তো তোমার মন খারাপ হবে! তখন আবার কথা বদলে ফেলি। শুধু চাই তুমি ভালো থাকো।
তুমি ইনশাল্লাহ অনেক অনেক ভালো আছো। কারণ, যত মানুষ তোমার জন্য কেঁদেছে আর যত লোক তোমার জন্য দোয়া করছে- তুমি নিশ্চয়ই জানতে পারছো। মাতৃভূমির ক্রান্তিলগ্নে যেই ছেলে বীরের মত প্রান দেয়, তাকে কেউ ভালো না বেসে পারে বাবা? সমস্ত পৃথিবী তোমাকে এখন চেনে, আব্বা।
অনেক ভালোবাসি বাবা, অনেক দোয়া রইল। শুভ জন্মদিন বাবা ❤️।
তোমার মুনাম্মা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শুরু হয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচন সিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচন মনিটরিং করছে ইসি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে একযোগে স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে বড় এই নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা এই নির্বাচনের ভোটার। মূলত তারাই ভোট দিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার রয়েছেন ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।
এর আগে, শনিবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৭ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৬৯ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সূত্র: ইত্তেফাক