a তোমারই আমি: এম.এস প্রিন্স
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ পৌষ ১৪৩২, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

তোমারই আমি: এম.এস প্রিন্স


প্রিন্স:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৯:৫৩
তোমারই আমি এম এস প্রিন্স

সংগৃহীত ছবি

তোমারই আমি 
            এম.এস প্রিন্স
               
সজনী, ফাগুন বলিল কড়া নাড়া দিয়ে-
অপেক্ষায় আছি তোমার পানে হাত বাড়িয়ে।
জবাবে বলে আমি তাঁকে দিয়েছি বিদায়-
"যদি পরাই, মালা পরাবো সজনীর গলায়।"
বিদায় কালে ছিলো কত, লাবণ্য মুখ তাঁর  
না আছে, সে কথা বলার বালাই আমার। 
যাইবার কালে তবু আশায় গিয়াছে বলে
যদি পারো মুখ ফিরে তাকিও কোনো ছলে।
কিভাবে তাকাবো, আমি আশায় জাল বুনে
তোমার পরশ খুঁজি পৃথিবীর স্তনে।
না জানি তুমি আজ কোথায় কিভাবে 
কোন লামা-দেবশ্রীর ভিলা সাজাও ভবে?
আমি আছি, আজও সেই আগেরি মত 
যত শোক, যত দুখ আরও আছে যত ক্ষত
ভুলে থাকি, সেই গান সেই চিঠি-কবিতা পড়ে
আলিঙ্গনে মাতিয়া পাণি ভরি আঁধার নীড়ে।
    
মনে কি পড়ে তোমার বলা সেই কথা! 
"দুঃখের কারণ হলে খাবো বাপও মায়ের মাথা।"
আমি তাই মেনে পাখির মত ডানা মেলে
নদীর মত লতার মত গতিচোখ খোলে
নিজেকে দেখিতে লাগি তোমার নূরে
এ যে কত সুখ কত শান্তি জগৎ-সংসারে 
নানা ভঙ্গে অঙ্গে অঙ্গে ভাবের মূর্তি জাগায়ে
ইচ্ছে মত বলেছ দিয়েছ শিখায়ে
সুমধুর সম্বোধনে- "তুমি আমার।" 
এর থেকে শ্রেষ্ঠ বাক্য শুনিনি জগতে আর।
সঘন পত্রপল্লব ছায়ার মত আমি স্বপনে 
সৌন্দর্যের পৃথিবী এঁটে চলেছি আনমনে।
শাড়ি কেমন কেমন বেণী চলনবলন
গেঁথেছি তাতে আরও যত তোমার সৃজন 
ভাবি-নাই কভু তাই হবে জীবনের কাল
থেমে গেছে জীবন, নেই জীবনের হাল।
একা, আমি একা আজ পৃথিবী আঁধার 
ভাবি তবু ফিরে এসে বলবে- তুমি আমার।
আমি সেই সুখে সেই গানে সেই সুমধুরে
বরণ করে নিবো - নয়নে নয়ন ফিরে
সবুজ সবুজের ছায়
মিশে রব ছবি হব তুমি আমি পৃথিবীর নায়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ছেলে বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, সফল জীবন কাকে বলে


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ০৭:১৭
ছেলে বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, সফল জীবন কাকে বলে?

ছবি সংগৃহীত

গ্রাজুয়েশন শেষ করে ছেলে একদিন বাবাকে জিজ্ঞেস করল,

— বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?

বাবা সরাসরি কোনো উত্তর দিলেন না। শুধু মৃদু হেসে বললেন,

— চল, আজ ঘুড়ি ওড়াই। তখন তোমাকে তোমার প্রশ্নের উত্তর দেব।

ছেলে বিস্মিত হয়ে বলল,

— এই বয়সে ঘুড়ি ওড়াবেন বাবা? আজব তো!

কিছু না বলে বাবা ছেলের হাত ধরে টেনে বাড়ির পেছনের মাঠে নিয়ে গেলেন। সেখানে কয়েকজন ছোট্ট বাচ্চা রঙিন ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। বাবা তাদের একজনের কাছ থেকে একটা ঘুড়ি চেয়ে নিলেন। তারপর নাটাই হাতে নিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে শুরু করলেন। সুতা আস্তে আস্তে ছাড়তে ছাড়তে ঘুড়িটাকে আকাশের অনেক ওপরে তুলে দিলেন। ছেলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছিল।

একসময় বাবা বললেন,

— দেখছো খোকা? ঘুড়িটা কত ওপরে উঠেছে, অথচ এখনও সুতো ধরে রাখা আছে। তোমার কি মনে হয় না, এই সুতোর টানটাই ওকে আরও ওপরে যেতে বাধা দিচ্ছে?

ছেলে কিছু না ভেবেই বলল,

— হ্যাঁ, ঠিকই তো! সুতো না থাকলে ঘুড়ি আরও উপরে উঠতে পারত।

মৃদু হাসলেন বাবা। তারপর হালকা টানে সুতা কেটে দিলেন। মুক্ত ঘুড়ি প্রথমে একটু ওপরে উঠল বটে, কিন্তু তারপরই দিশাহীন হয়ে দুলতে দুলতে নেমে এল নিচের দিকে... অবশেষে কোথায় যেন হারিয়ে গেল দৃষ্টিসীমার বাইরে।

বাবা এবার ছেলের পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন,

— দেখলে খোকা? জীবনে যখন আমরা কোনো উচ্চতায় থাকি, তখন মনে হয় — কিছু বন্ধন আমাদের টেনে রাখছে। যেমন পরিবার, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, বন্ধুবান্ধব, নীতিবোধ, দায়িত্ব, শৃঙ্খলা — এসব আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরছে, আমাদের আর এগোতে দিচ্ছে না। তখন আমরা ভাবি, এই সবকিছু থেকে মুক্ত হলেই বুঝি অনেক ওপরে উঠে যাব।

— কিন্তু বাস্তবতা হলো, ঠিক এই বন্ধনগুলোর জন্যই আমরা টিকে থাকি। এগুলোই আমাদের ভারসাম্য দেয়, পথ দেখায়, পতন থেকে রক্ষা করে। সুতা ছাড়লে যেমন ঘুড়ি পড়ে যায়, তেমনি বন্ধন হারালে আমরাও অচিরেই পতিত হই।

— মনে রেখো খোকা, সফল জীবন মানে কেবল ওপরে ওঠা নয়। সফল জীবন মানে হলো, নিজের শিকড়ের সাথে যুক্ত থেকে, দায়িত্বের বাঁধনকে সম্মান করে, মনের আকাশে টিকে থাকা। যারা বন্ধনকে ভালোবাসে, তারাই সত্যিকারের সাফল্যের শিখরে পৌঁছে।

এটাই জীবনের সত্য। এটাই সফল জীবন।

 

.....ফেসবুক থেকে সংগৃহীত 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

একটি জাতির জন্য পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ


কর্নেল(অব.) আকরাম, লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৪৮
একটি জাতির জন্য পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

ছবি সংগৃহীত

 

কর্নেল(অব.) আকরাম: কটি জাতির জন্য পদ্ধতি বা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি সরকারি ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ফরাসি বিপ্লবের পর থেকে আমরা বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে সংঘাত দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বে অতীতে বিভিন্ন পদ্ধতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। পশ্চিমে রাজতন্ত্র ও রাজপ্রথা এবং পূর্বে খিলাফত ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু উভয় ব্যবস্থাই এখন বিলুপ্ত।  

বর্তমান সময় গণতন্ত্রের যুগ এবং এটি এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে সর্বোত্তম সরকারি ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত। একটি দেশের সংবিধান সরকারের গঠন ও কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, কিন্তু এটি জনগণের ভালো শাসনের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে।  

জনগণের অধিকার ও আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব একটা ইতিবাচক নয়। বর্তমান সংবিধানে নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে অনেক ভালো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তা কখনই বাস্তবায়িত হয়নি। উপরন্তু অতীতে দেশের জনগণকে শাসকদের দ্বারা সব সময়ই হয়রানি ও চাপের মুখে রাখা হয়েছে।  

যেহেতু দেশের বেশিরভাগ জনগণ মুসলিম, তাই তাদের প্রত্যাশা সংবিধানে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং নাগরিকদের এমন একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের প্রশাসনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের সুযোগ দিতে হবে যা তাদের জন্য উপযুক্ত। একটি টেকসই কল্যাণমুখী সমাজ গঠনের জন্য এই ব্যবস্থাকে অর্থবহ ও ব্যবহারিক করে তুলতে গভীর গবেষণা এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা প্রয়োজন।  

দেশের জনগণ সংবিধানে আর কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেখতে প্রস্তুত নয়, বরং তারা একটি সত্যিকারের কল্যাণ রাষ্ট্রের দিকনির্দেশনা চায়। একটি জাতি মূলত তার সংবিধানের মাধ্যমেই গঠিত হয় এবং এটি যথাযথ যত্ন ও বিচক্ষণতার সাথে করা উচিত। রাতারাতি কোনো ভালো ফলাফল অর্জিত হয় না। আমরা অতীতে ভয়াবহ দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং কোনো অশুভ ভবিষ্যৎকে আমরা প্রশংসা করব না। ভবিষ্যতে যেকোনো ব্যবস্থা সংক্রান্ত উদ্যোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমাদের জনগণ সবচেয়ে বেশি কষ্টভোগ করছে এবং তারা তাদের দুর্ভোগের অবসান চাইছে।  

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব নিঃসন্দেহে জাতিকে বর্তমান সংবিধানের উপযোগিতা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করেছে। এদিকে জাতি দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক শিবিরে রয়েছে বিএনপি এবং অন্যটিতে রয়েছে সিএনসি, একটি নতুন ছাত্রনেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল। জামাত সম্ভবত এনসিপির পদক্ষেপের পক্ষে থাকবে। সংবিধান ও শাসন ব্যবস্থা নিয়ে দুটি শিবিরের মধ্যে একটি সত্যিকারের সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।  

উভয় পক্ষই অনমনীয় ও একগুঁয়েমী বলে মনে হচ্ছে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য পারস্পরিক সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে এনসিপির নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশে নিকট ভবিষ্যতে একটি রাজনৈতিক সংঘাত হতে পারে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন যে দেশটি যুদ্ধের পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।  

১৯৭২ সাল থেকে আমরা কখনই সত্যিকারের স্বাধীনতা অনুভব করতে পারিনি এবং ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা শাসনামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে যখন আমরা আমাদের নিজ দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। গত পনেরো বছর ধরে ভারত বাংলাদেশের মালিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা আমাদের ইতিহাসের সাম্প্রতিক অতীত ভুলে গেছি এবং তাদের অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা করছি।  

ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য এখন মারাত্মক হুমকির মুখে এবং এটি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। পরাজিত শত্রুরা এই অস্থির পরিস্থিতিকে তাদের সুবিধা নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবে না। আমরা সম্পূর্ণ জেনেশুনেই আমাদের নিজেদের পায়ে কুড়াল মারতে চলেছি। আমরা কি এতই মূর্খ যে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোর পরেও আমাদের জাতীয় স্বার্থ বুঝতে পারছি না?  

এনসিপির প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের বিষয়ে একটি জাতীয় সংলাপ হোক। আসুন আমরা আমাদের প্রত্যাশার বিষয়ে বাস্তববাদী ও ব্যবহারিক হই। প্রতিটি শিবিরকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং পরিপক্কতা ও বিচক্ষণতার সাথে কাজ করতে হবে। সবকিছু রাতারাতি করা যায় না। আমরা নতুন বাংলাদেশে ভবিষ্যতে একটি সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি দেখতে চাই। আমাদের আর জনগণকে ভণ্ডামির রাজনীতির শিকার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বোচ্চ পঠিত - ফেসবুক পাতা থেকে

ফেসবুক পাতা থেকে এর সব খবর