a স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মঙ্গলতরী
ঢাকা শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩২, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মঙ্গলতরী


হানিফ,মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
রবিবার, ০৯ মে, ২০২১, ০২:৪৯
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মঙ্গলতরী

ফাইল ছবি

বেশির ভাগ বাবা-মা হীন হতদরিদ্র পরিবারের এতিম সন্তানদের জীবন কাটাতে হয় রাস্তায় কিংবা এতিমখানায়। দুবেলা খেতে পারাটাই যাদের কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার। এছাড়াও অভাবের সংসার হওয়ায় অনেক পরিবারের সন্তানদের পোলাও-মাংস খাওয়ানোর সামর্থ্য থাকে না। তারা সন্তানকে একটি সুন্দর জীবন দিবে সে স্বপ্নই ছিল দুচোখে। কিন্তু, মহামারী যেন সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করেছে।

তাদের স্বপ্ন পূরপণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । তেমনি এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মঙ্গলতরী"। বৃহত্তর এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তারাও যুক্ত হয়েছে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায়। "প্রচেষ্টা" নামক এই প্রোগ্রামের জন্য তারা গিয়েছিলো গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুরে অবস্থিত "জামিয়া মোহাম্মাদীয়া আরাবিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা"তে। 

মাদ্রাসার সকল এতিম শিক্ষার্থী (১৫ জন) সহ হতদরিদ্র অসহায় আরো ২২ জনকে পাঞ্জাবি বিতরণ করা হয়। সেই সাথে মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত অস্বচ্ছল একজন হুজুরকেও তারা সহায়তা প্রদান করে। গত ৫ই মে ২০২১ বাদ আসর এই পাঞ্জাবি বিতরণ প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফেজ মাসুদ সাহেদ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য ইফতারির আয়োজন করে। ইফতারির মেন্যু তে ছিলো গরুর গোশতের বিরিয়ানি, খেজুর, শরবত ইত্যাদি। 

মঙ্গলতরীর  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অপু সরকার বলেন, মানবসেবায় নিয়োজিত করতে তার অনেক ভাল লাগে আর সে থেকেই তার বন্ধু ও সহযোগী হাসনাইন ইফতিকে নিয়েই সংগঠনটির যাত্রা। 

উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল হাসান বলেন "সময়টা এখন একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর। তাইতো আপনার একটু আত্মত্যাগে ফোটাতে পারে হাজারো মুখে হাসি। করোনাকালীন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নিজে এগিয়ে আসুন অন্যকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করুন "

উল্লেখ্য যে মঙ্গলতরীর ভলিন্টিয়ারের সংখ্যা প্রায় ৩৫ জন। যারা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে যাচ্ছে বিভিন্নভাবে। 

সংগঠনটির অন্যতম সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবক রিসাত রহমান স্বচ্ছ বলেন, "অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ এই সময়ে কর্মহীন। পরিবার ও সন্তান নিয়ে অভুক্ত দিন কাটাচ্ছে তারা। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাদের কাছে অন্তত একবেলা পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে। এ জন্য প্রয়োজন আপনাদের একান্ত সহায়তা"। 
মঙ্গলতরীর সাথে আপনি শামিল হতে পারেন তাদের মহৎ উদ্যোগে ফেইসবুক লিংক: www.facebook.com/mongoltori2020/ তাদেরকে সহায়তা পাঠানো বিকাশ/নগদ/রকেট নম্বর ০১৭১৮৪৮৬৩৭৩।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

জবির একাউন্টিং বিভাগের পাঁচ বন্ধু  একসাথে বিসিএস ক্যাডার


মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫, ০৩:৪২
জবির একাউন্টিং বিভাগের পাঁচ বন্ধু  একসাথে বিসিএস ক্যাডার

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি : " আমরা পাঁচ বন্ধু,  একটাই গল্প - সপ্ন, সংগ্রহ আর সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ।  একসাথে ক্লাস, টিউশন, রাত জাগা প্রস্তুতি সব মিলিয়ে ছিল একেকটা যুদ্ধ। আজ সেই যুদ্ধের ফলাফল হাতে পেলাম.... " - এভাবেই নিজের অনূভুতি ব্যক্ত করছিলেন সুপারিশ প্রাপ্ত পাঁচ বন্ধুর একজন ইব্রাহিম হোসাইন। 

সাম্প্রতিক ৪৪তম বিসিএস এ ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস  (এআইএস) বিভাগের ১১ ব্যাচের ( ২০১৫ - ২০১৬ সেশনের ) পাঁচ  শিক্ষার্থী।  তারা একই সাথে জবির এই বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন, এবার পেলেন বিসিএস ক্যাডারের গৌরবময় পরিচয়ও। 

তাদের মধ্যে চারজন শিক্ষা ক্যাডার ও একজন পোস্টাল ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। 

এই সফল পাঁচ বন্ধু হলেন 
• এম রাকিবুল ইসলাম ( পোস্টাল ক্যাডার) 
• ইব্রাহিম হোসাইন ( শিক্ষা ক্যাডার)  
• কাজল সরকার ( শিক্ষা ক্যাডার) 
• রাকিব হাসান ( শিক্ষা ক্যাডার)  
• কৌশিক গৌপি ( শিক্ষা ক্যাডার)  

সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার অনূভুতি জানিয়ে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ❝সত্যি স্বপ্নের রেশটা আমার এখনো কাটেনি। সৃষ্টিকর্তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ কারণ তিনি হাজারো পরিশ্রমের মাঝে আমার পরিশ্রমকে বেছে নিয়েছেন। ৪৪ বিসিএস এ ১৬৯০ জন এর হতে ৫ জন ই একটি ডিপার্টমেন্টের একটি ব্যাচ থেকে। রয়েল এই ডিপার্টমেন্টের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ আমাদের পূর্বসূরিদের প্রতি। উত্তরসূরীদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা আপনারা ভবিষ্যতে আমাদের শূন্যস্থানগুলো পূরণ করে আমাদের এই ডিপার্টমেন্টকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি ডিপার্টমেন্টে পরিণত করবেন। ❞

 ইব্রাহিম আরও বলেন, ❝ জীবনের প্রথম বিসিএস, ৪১তম-এ আমি এডুকেশন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তখন যোগদান করা হয়নি। এবার ৪৪তম বিসিএসেও আবার একই ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। শুরুতে কিছুটা খারাপ লাগলেও আমার চারজন প্রিয় বন্ধুর সাফল্যে সত্যিই মন ভরে গেছে। তাদের আনন্দটাই আমার আনন্দ—এই অনুভূতি সত্যিই অমূল্য। আল্লাহ যা দিয়েছেন, তার জন্যই শুকরিয়া। আজ আমরা গর্বিত—নিজেদের জন্য, পরিবারের জন্য, আর আমাদের প্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আমার একাউন্টিং পরিবারের জন্য। ❞

আনন্দে উচ্ছাসিত হয়ে কাজল সরকার বলেন,  
❝ শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশায় যুক্ত হতে যাচ্ছি সত্যই খু্ব ভালো লাগছে আরও ভালো লাগছে আমরা ৫ বন্ধু একসাথে ক্যাডার হয়েছি । আলাদাভাবে সাইফুল ইসলাম রাজু (প্রভাষক,  দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজ) ভাই এর কথা উল্লেখ করতে চাই । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে বিসিএস ক্যাডার হওয়া পর্যন্ত এই মানুষটি আমাকে সবধরনের সহযোগিতা করেছেন তার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ।  এছাড়া আমি আমার বন্ধু বান্ধব, সহপাঠী ও আমার বিভাগের শিক্ষকদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।❞

জবির এআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.শামসুন নাহার বলেন, 
❝প্রথমেই সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানাই, আমাদের ডিপার্টমেন্টের কোনো একক ব্যাচ থেকে এটাই মনে হয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সুপারিশপ্রাপ্ত ক্যাডার এটা তাদের পরিশ্রমের ফসল এবং আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। তাদের এই অর্জন আগামী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। তারা কাজের মাধ্যমে সপ্নের বাস্তবায়ন করতে পারে এই দোয়া থাকবে। যারা সুপারিশ প্রাপ্ত হয়নি তাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই, আপনাদের জন্য অনেক অপশন আছে আপনারা চেষ্টা চালিয়ে যান। সর্বোপরি এআইএস এর সকল গ্রাজুয়েট দের জন্য শুভকামনা রইলো। ❞

এই পাঁচ বন্ধুর সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের জন্যও এক অনন্য প্রাপ্তি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

হৃদরোগের ৫২ শতাংশ ঝুঁকি কমায় মাত্র ২০ মিনিটের কাজে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৬ ফেরুয়ারী, ২০২২, ০৬:৪৭
হৃদরোগের ৫২ শতাংশ ঝুঁকি কমায় মাত্র ২০ মিনিটের কাজে

ফাইল ছবি

বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর বেশি মানুষের মৃত্যু হয় হৃদরোগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যখন বার্ধক্যের দিকে যায় তখন শরীরচর্চার অভাব এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। অথচ সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, দৈনিক মাত্র ২০ মিনিটের শরীরচর্চাও ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দিতে পারে অনেকটাই।

এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যদি আগে থেকে শরীরচর্চার অভ্যাস না থাকে তবুও বার্ধক্যে পৌঁছে শুরু করা যেতে পারে শরীরচর্চা। শুধু শারীরিক কসরতই নয়, সুফল মিলবে নিয়মিত হাঁটা, বাগানের পরিচর্যা করা, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটার মতো কাজেও।
শরীরচর্চা যে হৃদরোগের বিরুদ্ধে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার তা জানা ছিল আগে থেকেই, কিন্তু বেশি বয়সে গিয়ে শরীরচর্চা শুরু করলে তা আদৌ কতটা কার্যকরী হতে পারে সেটি নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না বিশেষজ্ঞরা।

দুই হাজার ৭৫৪ জন ব্যক্তির ওপর করা এই গবেষণা বলছে, এই গবেষণা চলাকালীন সময়ে এক হাজার ৩৭ জনের মধ্যে কোনও না কোনও হৃদ‌যন্ত্রের সমস্যা দেখা গিয়েছে। কিন্তু নিয়মিত কাজকর্ম ও শরীরচর্চা করা মানুষদের ক্ষেত্রে সংবহনতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি ছিল অনেকটাই কম।

দেখা গেছে, যারা এই ধরনের কোনও শরীরচর্চা করেন না তাদের তুলনায় শরীরচর্চা করা ব্যক্তিদের রোগের ঝুঁকি প্রায় ৫২ শতাংশ কম। সব মিলিয়ে গবেষকদের পরামর্শ, যদি আগে থেকে শরীরচর্চা করার অভ্যাস না থেকে থাকে, তবুও সুস্থ থাকতে বার্ধক্যে পৌঁছে অবশ্যই শুরু করা উচিত নিয়মিত শরীরচর্চা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ