a
ফাইল ছবি
বেশির ভাগ বাবা-মা হীন হতদরিদ্র পরিবারের এতিম সন্তানদের জীবন কাটাতে হয় রাস্তায় কিংবা এতিমখানায়। দুবেলা খেতে পারাটাই যাদের কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার। এছাড়াও অভাবের সংসার হওয়ায় অনেক পরিবারের সন্তানদের পোলাও-মাংস খাওয়ানোর সামর্থ্য থাকে না। তারা সন্তানকে একটি সুন্দর জীবন দিবে সে স্বপ্নই ছিল দুচোখে। কিন্তু, মহামারী যেন সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করেছে।
তাদের স্বপ্ন পূরপণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । তেমনি এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মঙ্গলতরী"। বৃহত্তর এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তারাও যুক্ত হয়েছে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায়। "প্রচেষ্টা" নামক এই প্রোগ্রামের জন্য তারা গিয়েছিলো গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুরে অবস্থিত "জামিয়া মোহাম্মাদীয়া আরাবিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা"তে।
মাদ্রাসার সকল এতিম শিক্ষার্থী (১৫ জন) সহ হতদরিদ্র অসহায় আরো ২২ জনকে পাঞ্জাবি বিতরণ করা হয়। সেই সাথে মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত অস্বচ্ছল একজন হুজুরকেও তারা সহায়তা প্রদান করে। গত ৫ই মে ২০২১ বাদ আসর এই পাঞ্জাবি বিতরণ প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফেজ মাসুদ সাহেদ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য ইফতারির আয়োজন করে। ইফতারির মেন্যু তে ছিলো গরুর গোশতের বিরিয়ানি, খেজুর, শরবত ইত্যাদি।
মঙ্গলতরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অপু সরকার বলেন, মানবসেবায় নিয়োজিত করতে তার অনেক ভাল লাগে আর সে থেকেই তার বন্ধু ও সহযোগী হাসনাইন ইফতিকে নিয়েই সংগঠনটির যাত্রা।
উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল হাসান বলেন "সময়টা এখন একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর। তাইতো আপনার একটু আত্মত্যাগে ফোটাতে পারে হাজারো মুখে হাসি। করোনাকালীন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নিজে এগিয়ে আসুন অন্যকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করুন "
উল্লেখ্য যে মঙ্গলতরীর ভলিন্টিয়ারের সংখ্যা প্রায় ৩৫ জন। যারা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে যাচ্ছে বিভিন্নভাবে।
সংগঠনটির অন্যতম সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবক রিসাত রহমান স্বচ্ছ বলেন, "অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ এই সময়ে কর্মহীন। পরিবার ও সন্তান নিয়ে অভুক্ত দিন কাটাচ্ছে তারা। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাদের কাছে অন্তত একবেলা পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে। এ জন্য প্রয়োজন আপনাদের একান্ত সহায়তা"।
মঙ্গলতরীর সাথে আপনি শামিল হতে পারেন তাদের মহৎ উদ্যোগে ফেইসবুক লিংক: www.facebook.com/mongoltori2020/ তাদেরকে সহায়তা পাঠানো বিকাশ/নগদ/রকেট নম্বর ০১৭১৮৪৮৬৩৭৩।
ফাইল ছবি
উচ্চ রক্ত চাপের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধু ভারতেই প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় আক্রান্ত হন। উচ্চ রক্ত চাপের অন্যতম প্রধান কারণ মানসিক চাপ। এ ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার অভ্যাস, নিয়মহীন জীবনযাপনও উচ্চ রক্ত চাপের কারণ।
উচ্চ রক্ত চাপের নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক বা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোত্তম উপায় হল প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়ায় কিছু পরিবর্তন আনা। কম চর্বিযুক্ত খাবার, ফলমূল, শাকসব্জি বেশি বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোল।
রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিম্নের খাবারগুলো খেতে হবে:
বিটের রস:
ধমনী শিথিল রেখে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে বিটের রস। প্রতিদিন ২৫০ মিলি বিটের রস পান করলে উচ্চ রক্ত চাপের আশঙ্কা অনেকাংশ কমে যায়।
পিঁয়াজ:
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সমৃদ্ধ পিঁয়াজ রক্তনালী প্রসারিত করে। এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া পিঁয়াজের ত্বকে রয়েছে কোয়ারসেটিন, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কলা:
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস করলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে স্থায়ীভাবে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এ্যাড. কাজি রেজাউল হোসেন বলেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শ্রমিকসমাজ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন। জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেন হাসিমুখে। কিন্তু মালিক পক্ষ শ্রমিকের ন্যায্য মজুরী,মর্যাদা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন। ঘন্টার পর ঘন্টা মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করলেও শ্রমিকের জীবদ্দশায় স্বচ্ছলতা আসেনা। বরং অপুষ্টির শিকার হয়ে তিলে তিলে ক্ষয়ে যান। শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা ভুলুন্ঠিত করে কোন রাষ্ট্র,জাতি টিকে থাকতে পারে না। মানব সভ্যতা হুমকির মুখে পড়বে। মেহনতি জনতাই রাষ্ট্রের মূল মালিক। তাদের ঘামে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া প্রাসাদ। জাতির স্বার্থে শ্রমিকের কল্যাণ,মানবিক কর্মপরিবেশ, ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বের বিকাশ অতীব জরুরি।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল ১১ টায় রাজধানীর বাংলামটর মোড়ে অনুষ্ঠিত এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক কারো দাস নয়। উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার। অভারটাইমের নামে শোষণ ও দাস প্রথা বন্ধ, প্রত্যেক জেলায় শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা,আইএলও কনভেনশন অনুসরণ, ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকর ও সময়োপযোগী শ্রম আইন প্রণয়ন,শ্রমিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা,স্বতন্ত্র হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সেলিম রেজা বাচ্চুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক মোস্তফা আনোয়ার রিপন,দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্য শেষে বাংলামোটর মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে কারওয়ান বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাংলামটর মোড়ে এসে এসে শেষ হয়। সমাবেশের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত, নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে।