a
ছবি: আলপনা শাহীন
তোমার মতো আমারও ভাঙাগড়ার প্রমত্ত পদ্মা হতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে তোমার ভালোবাসার ছুরির ফলায় বিদ্ধ হতে!
তোমার ভিতর ডুব দিয়ে হৃদয়ের স্পন্দন শুনতে।
ইচ্ছে করে মেঘলা রাতে আকাশের অখ্যাত অদৃশ্য তারাগুলো গুণতে।
ইচ্ছে করে আমার ইচ্ছের ডানায় টাইম মেশিন বসিয়ে
সভ্যতার আদি অন্ত দেখতে।
যেখানে কোন কোন প্রতারক প্রেমিক প্রেমের জালে অবুঝ প্রেমিকাকে করেছিলো পোয়াতি গাভীন!
আমার কিচ্ছুই যখন ভালো লাগেনা তখন মনের রসনায় নাগামরিচ আর বীট লবণ মিশিয়ে ইচ্ছে করে ইচ্ছের ডালপালা খাই চিবিয়ে।
ইচ্ছে করে রাঁধা হয়ে কৃষ্ণকে লালপদ্ম পুকুরঘাটে স্নান করতে নিয়ে যেতে।
আমিও বাজিতে হেরে জিতাতে চাই তোমাকে।
আমার গল্পের ঝাঁপিতে থাকবে অজান্তার গুহায় কামক্রীড়ারত যুগলদের কথা,
অমরত্বের গান, কাকদের কোকিল হবার কাহিনী,
নন্দিনীরা বন্দিনী কেন তাদের দেহ সৌন্দর্যের আকরে!
আমার অক্ষর তোমাকে দেবে অমরত্ব! আমার মেমব্রেনে বাজবে তোমার নহবত,সানাই।
আমার অনুভবের দরোজায় তুমি এসে দাঁড়াও যখন;
সাত বেহেশত নেমে আসে আমার মজ্জার ভেতর তখন!
তোমাকে ভালোবাসার রসে রাঙিয়ে
তোমার অবচেতন মনের ঘুম চাই ভাঙাতে।
তুমি কি আমার হবে
নাকি তুমি তোমারই রয়ে যাবে?
আকাংখার মৃত্যু নেই
তোমাকে চাওয়ার পাওয়ার শেষ নেই।
....ফেসবুক হতে সংগৃহীত
ফাইল ছবি: গোলাম রাব্বানী
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাব্বানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শারীরিক অবস্থা অবনতির কথা জানিয়ে পোস্ট দেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল-
"জ্বর, সর্দিকাশি আর শারীরিক দুর্বলতার সাথে গত দুদিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট আর বুকে চাপ অনুভব করছি। গতরাতে কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারও ব্যবহার করতে হয়েছে।
যদি কিছু হয়ে যায়, যদি অকালে চলে যেতে হয়... এই আফসোস, হতাশা আর মনোকষ্ট নিয়েই যেতে হবে। যে আদর্শ আর দলের জন্য এতো ত্যাগ, জীবন-যৌবন,ক্যারিয়ার, স্বাদ-আহলাদ সব জলাঞ্জলি দিয়ে ইতিবাচক কাজ করতে চাইলাম, সেই দলেরই স্বার্থান্বেষী মহলের কাছ থেকেই মিথ্যা অপবাদ আর বিমাতাসুলভ অন্যায় আচরণের শিকার হলাম! আত্মপক্ষ সমর্থন, সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই, তদন্ত এসবের নূন্যতম সুযোগও মিললো না, যা যে কোনো মানুষেরই প্রাপ্য অধিকার।
একজন প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ ভিসিকে রক্ষা করতে গিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন ও এর শীর্ষ নেতৃত্বকে মিথ্যা অভিযোগে কলঙ্কিত করা হলো। যার বিরুদ্ধে সকল তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও কোন তদন্ত হলো না, বিচার হলো না! শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউজিসি, দুদক সব দেখে জেনে বুঝেও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া 'জিরো একশন টু করাপশন' নীতি অনুসরণ করলো।
বেঁচে থাকলে নিজেই প্রমাণ করবো ইনশাআল্লাহ। আর যদি মারা যাই, তাহলে শেষ ইচ্ছে ও চাওয়া থাকবে, দেশ ও জনগণের টাকা পুকুর চুরি করে আমাদের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া জাবি ভিসি যেন কোনভাবেই পার না পায়, জাতির সামনে যেন সত্যটা উন্মোচিত হয়। জোরপূর্বক থামিয়ে দেয়া দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন যেন ফের শুরু হয়। ইউজিসি আর দুদকের যেন বিবেকবোধ জাগ্রত হয়। প্রাণের প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগ যেন কলঙ্কমুক্ত হয়।"
এর আগে, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন গত ৩১ মার্চ। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার পর ফলাফল পজিটিভ আসে। নিজের ফেসবুকেই জানিয়েছিলেন তার করোনার কথা। উল্লেখ্য, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে গোলাম রাব্বানীকে বহিস্কার করা হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদনের বিজ্ঞাপন বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ(এন টি আর সি এ) প্রকাশ করে। এই পরীক্ষাটি ২০২০ সালের ১৫ই এপ্রিল ও ১৬ই এপ্রিল নেয়ার কথা ছিল। করোনা মহামারীর কারণে পরীক্ষার সময় ১ বছর পেছানোর পরেও তারা ২০২১ সালেও পরীক্ষা নিতে গড়িমসি করে। এরপর দফায় দফায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেয়ার পরেও তাদের টনক নড়েনি।
পরবর্তীতে পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলসহ বিশেষ করে সময় টিভিতে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন তৎকালিন এন টি আর সি এ চেয়ারম্যান ও পরিচালক ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থীদের পক্ষে জসীমউদ্দিন, অভি খানসহ আরো অনেকে লাইভ ভিডিওতে বক্তব্য দেন এবং সেটা অনেক ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। পরবর্তীতে আরো প্রায় ২ বছর বিলম্ব হওয়ার পর সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর স্কুল ও কলেজ শাখার প্রিলি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে লিখিত ও ভাইভা হতে হতে আরো এক বছর বিলম্বিত হয়।
অবশেষে আমাদের চূড়ান্ত ফলাফল ২০২৩ এর ২৮ এ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। এই ফলাফলে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মধ্যে অনেকেরই বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে। অথচ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর। ফলাফল প্রদানে বিলম্বিত হওয়ায় ও ইচ্ছাকৃতভাবে এন টি আর সি এ এর দায়িত্বে অবহেলার কারণে আজ ৩৫+ ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের ভবিষ্যৎ জীবন হুমকীর মুখে।
অথচ করোনাকালীন সময়ে সরকারী চাকরির বয়স ২ বছর বাড়িয়ে ৩২ করা হয়েছে। করোনার পরবর্তী ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের ৩৯ মাসের ব্যাকডেট দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৭তম নিবন্ধনধারীরাও ব্যাকডেট পাওয়ার প্রকৃত দাবিদার এবং কমপক্ষে ৪ বছরের ব্যাকডেট দিতে হবে। কারণ ১৭তম নিবন্ধনধারীরাই করোনার প্রকৃত ভূক্তভোগী। তাহলে এই ব্যাচ কেন সমান অধিকার পাবে না।
এই বিষয়ে ৩৫+ ১৭তম নিবন্ধনধারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোঃ ইয়াসিন আরাফাত খান খাদেম, উত্তম কুমার দে, হায়েদুজ্জামান খান, ডি,এম, হারিসসহ অনেকে।