a আর্জেন্টিনা ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে
ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩২, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আর্জেন্টিনা ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০১ জুন, ২০২২, ০৬:২০
আর্জেন্টিনা ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে

ফাইল ছবি

আর্জেন্টিনা একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আগামী ৬ জুন হাইফার সামি ওফার স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। এই ম্যাচের মাধ্যমে তাদের ২.৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ হতো।

ম্যাচটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল বয়কট, ডিভেস্টম্যান অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস (বিডিএস) আন্দোলন, আর্জেন্টিনা প্যালেস্টাইন সলিডারিটি কমিটি এবং সেইসাথে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির মানবাধিখার ও সংহতি সংস্থাগুলো। ফিলিস্তিনের আল-কাদের ফুটবল ক্লাব আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কাছে একটি চিঠি লেখার পর ম্যাচটি বাতিলের দাবি ওঠে।

ওই চিঠিটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এর অন্যতম কারণ, আল-কাদের এফসির খেলোয়াড় মোহাম্মদ ঘানিম (১৯) এপ্রিলে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়। চিঠিতে গত মাসে ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে আলজাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আখলের নিহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অধিকৃত এলাকায় আরো কয়েকজনের নিহত হওয়ার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

ক্লাবটি আর্জেন্টাইনদের জানায়, ইসরাইল এই ম্যাচকে তার বর্ণবাদী অবস্থা আড়াল করতে ব্যবহার করবে।

চিঠিতে বলা হয়, '১৪ নম্বরটি মনে রাখুন। এটি আমাদের টিমম্যাট মোহাম্মদের টিম নম্বর। সে এখন আর খেলোয়াড় নয়। তবে আপনারা তরুণ ফিলিস্তিনি খেলোয়াড়দের হত্যা অব্যাহত রাখা থেকে ইসরাইলকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারেন। মোহাম্মদকে তার পারিবারিক বাড়ির কাছে ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি করে হত্যা করে। স্থানটি ইসরাইলের কুখ্যাত বর্ণবাদী প্রাচীর থেকে দূরে নয়। এই প্রাচীর আমাদের ভূমি বিছিন্ন করেছে, আমাদের খামার চুরি করেছে, আমাদের সম্পদ লুটে নিয়েছে, ফিলিস্তিনি শহরগুলোকে একে অপরটি থেকে আলাদা করেছে।' সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হাউমাউ করে কাঁদছেন মেসি (ভিডিও)


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৮ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:৩৫
হাউমাউ করে কাঁদছেন মেসি (ভিডিও)

ফাইল ছবি

পরিবারসহ লিওনেল মেসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বার্সেলোনাতেই থাকবেন। পুরোটা জীবন থেকে স্প্যানিশ এ ক্লাবে কাটিয়েছেন। বাকিটা সময়ও থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। বার্সেলোনা তাকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে। 

আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন তিনিও। বিদায় বেলায় বার্সেলোনার সতীর্থ ও স্টাফরা দীর্ঘসময় ধরে করতালি মেসিকে অভিবাদন জানান। সেই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে বার্সেলোনার টুইটার অ্যাকাউন্টে। তাতে দেখা গেছে, ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছেন মেসি। 

এক বার্সেলোনা ভক্ত ভিডিওটি দেখার পর মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘বার্সেলোনা ভক্ত হিসেবে আমি এখনোই এমন মুহূর্ত দেখতে চাইনি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কষ্টদায়ক সমাপ্তি।’  

সংবাদ সম্মেলনে মেসিও বলেছেন, এই মুহূর্তেই কিছুই চিন্তা করতে পারছি না। এ পরিস্থিতি আমার জন্য বেশ কঠিন। জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ আমি এখানে কাটিয়েছি। আমি এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলাম আমরা এখানেই থাকতে যাচ্ছি। আমি বার্সেলোনায় থাকতে চেয়েছি।
  
উল্লেখ্য, মেসি ২১ বছর আগে ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় এসেছিলেন। গত ১৭ বছর ধরে খেলেছেন ক্লাবের জার্সিতে। এ সময়ের মধ্যে বার্সেলোনার জার্সিতে ৭৭৮ ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেছেন। ১০ বার জয় করেছেন লা লিগা। সাতবার জিতেছেন কোপা দেল রে কাপ। এ ছাড়া চারবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনবার উয়েফা সুপারকাপ, তিনবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও সাতবার স্প্যানিশ সুপারকাপ জয় করেছেন মেসি।

ভিডিও লিংকঃ Rw4JVdZRwP4

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ট্রাম্প ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫২
ট্রাম্প ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সৌদি আরবকে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রায় যুক্ত হবে।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবকে বশে আনতে এ ধরনের শক্তিশালী বিমান বিক্রি একটি কৌশলগত চাল এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার একটি অংশ।

তবে এই উদ্যোগে এক বড় বাধা আসে — ইসরায়েলের “গুণগত সামরিক সুবিধা” (Qualitative Military Edge, QME)। আমেরিকা পুরনো রাজনৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিশ্চিত করে ইসরায়েলকে বলেছে যে ইসরায়েল তার প্রতিবেশীদের তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে সব সময় এগিয়ে থাকবে, যা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার একটি মূল ভিত্তি।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, সৌদিকে এফ-৩৫ দেওয়া হলে ইসরায়েলের এই কৌশলগত অগ্রাধার্য হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ইসরায়েলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন এই বিক্রয়কে সৌদির সঙ্গে স্বীকৃতি ও স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করুক। বিশেষ করে তারা চায় যে সৌদি আরব যদি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় — যেমন আব্রাহাম অ্যাকর্ডস — তাহলে এফ-৩৫ বিক্রয় অনুমোদন করুক।

তারা যুক্তি দেয় যে শুধুমাত্র অস্ত্র বিক্রি করা হলে এটি “বিরূপ ফল” হতে পারে এবং একটি কূটনৈতিকভাবে এটি ইসরায়েল যেন হুমকির মধ্যে না পড়ে।

আরেকটি বড় উদ্বেগ হলো প্রযুক্তির দিক: পেন্টাগন এবং গোয়েন্দা মহল সতর্ক করেছেন যে, অত্যাধুনিক এফ-৩৫ প্রযুক্তি সৌদির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং তাদের বৈদেশিক অংশীদারিত্বের কারণে চীনের হাতেও পড়তে পারে।

এমন উদ্বেগ অন্যবারও এসেছে, যখন মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর জন্য স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রতিপাদ্য ছিল — কারণ ফাইভ্থ জেনারেশন বিপ্লবী সেন্সর, স্টিলথ এবং নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি রয়েছে।


ট্রাম্পের এই দাবি কূটনৈতিকভাবেও বড় তাৎপর্য বহন করে: তিনি সৌদিকে এফ-৩৫ বিক্রি করার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণের এক পথ তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন বলে কিছু বিশ্লেষক দেখছেন।

ট্রাম্প একাধিক বার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সৌদি-ইস্রায়েল নর্মালাইজেশনকে উৎসাহিত করতে চান, এবং এফ-৩৫ বিক্রয় তার সেই কূটনীতি পরিকল্পনার একটি অংশ হতে পারে।

সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি মর্যাদাপূর্ণ এবং শক্তিশালী অবস্থান গড়ার সুযোগ। তারা স্বাধীনভাবে অত্যাধুনিক ও স্টেলথ প্রযুক্তি পায় এবং এফ-৩৫-এর মাধ্যমে তাদের এয়ার ফোর্স সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এটি তাদের কৌশলগত প্রতিযোগিতায় — বিশেষ করে ইরান ও অন্য প্রতিবেশী শক্তিগুলোর সঙ্গে — বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে, সৌদির স্বীকৃতি ও নর্মালাইজেশনের ইস্যু তাদের ফিলিস্তিনি অবস্থানের সঙ্গে জড়িত। সৌদি আরব দীর্ঘকাল ধরে আরব শান্তি পরিকল্পনা (Arab Peace Initiative) জোর দিয়েছে, যেখানে তারা বলে যে ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি দেবে শুধুমাত্র যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।

এমন স্বীকৃতি এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি না পেলে, ইসরায়েল চুক্তিতে আরও কড়া শর্ত আরোপ করতে পারে — যেমন এমন এলাকা যেখানে বিমান স্থাপিত হতে পারবে না বা সীমাবদ্ধ সংখ্যক বিমান বিক্রি।

আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এফ-৩৫ বিক্রয় মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ দৃষ্টিকোণ থেকে সুগভীর প্রশ্ন তোলে। একদিকে, এটি মার্কিন-সৌদি সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে এবং সৌদির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে; অন্যদিকে, এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগ, অঞ্চলীয় শীতলীকরণ এবং সেন্সর-স্টিলথ প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

সবমিলিয়ে, ট্রাম্পের এফ-৩৫ বিক্রয় পরিকল্পনা কেবল একটি সামরিক চুক্তি নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি, নিরাপত্তা ভারসাম্য এবং শক্তি ভবিষ্যতের একটি প্রতীকী চেয়ে বেশি: এটি একটি কৌশলগত বাজি, যেখানে অস্ত্র বিক্রয়, সম্পর্ক স্বীকৃতি এবং প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ একসাথে যুক্ত হচ্ছেতেই। তবে প্রক্রিয়াটি কতটা সফল হবে, তা এখনও ওপেন প্রশ্ন — বিশেষ করে যদি কংগ্রেসের বাধা, ইসরায়েলের চাহিদা এবং প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকিগুলো প্রকট হয়ে ওঠে। সূত্রঃ আল জাজিরা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ