a
ফাইল ছবি
আর্জেন্টিনা একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আগামী ৬ জুন হাইফার সামি ওফার স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। এই ম্যাচের মাধ্যমে তাদের ২.৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ হতো।
ম্যাচটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল বয়কট, ডিভেস্টম্যান অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস (বিডিএস) আন্দোলন, আর্জেন্টিনা প্যালেস্টাইন সলিডারিটি কমিটি এবং সেইসাথে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির মানবাধিখার ও সংহতি সংস্থাগুলো। ফিলিস্তিনের আল-কাদের ফুটবল ক্লাব আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কাছে একটি চিঠি লেখার পর ম্যাচটি বাতিলের দাবি ওঠে।
ওই চিঠিটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এর অন্যতম কারণ, আল-কাদের এফসির খেলোয়াড় মোহাম্মদ ঘানিম (১৯) এপ্রিলে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়। চিঠিতে গত মাসে ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে আলজাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আখলের নিহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অধিকৃত এলাকায় আরো কয়েকজনের নিহত হওয়ার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ক্লাবটি আর্জেন্টাইনদের জানায়, ইসরাইল এই ম্যাচকে তার বর্ণবাদী অবস্থা আড়াল করতে ব্যবহার করবে।
চিঠিতে বলা হয়, '১৪ নম্বরটি মনে রাখুন। এটি আমাদের টিমম্যাট মোহাম্মদের টিম নম্বর। সে এখন আর খেলোয়াড় নয়। তবে আপনারা তরুণ ফিলিস্তিনি খেলোয়াড়দের হত্যা অব্যাহত রাখা থেকে ইসরাইলকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারেন। মোহাম্মদকে তার পারিবারিক বাড়ির কাছে ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি করে হত্যা করে। স্থানটি ইসরাইলের কুখ্যাত বর্ণবাদী প্রাচীর থেকে দূরে নয়। এই প্রাচীর আমাদের ভূমি বিছিন্ন করেছে, আমাদের খামার চুরি করেছে, আমাদের সম্পদ লুটে নিয়েছে, ফিলিস্তিনি শহরগুলোকে একে অপরটি থেকে আলাদা করেছে।' সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
ফাইল ছবি
আগামী মঙ্গলবার কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে যুক্তরাষ্ট্র। চির বৈরি দুই দেশের ফুটবল টিম মাঠে নামার আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ নিয়ে রোববার ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু সেই পোস্টে তারা ইরানের জাতীয় পতাকা বিকৃত করেছে।
ইরানের আসল পতাকার বদলে— ইরানের পতাকার মাঝে থাকা প্রতীকটি বাদ দিয়ে বিকৃত ছবি প্রকাশ করে। এ নিয়ে ফিফার কাছে সরাসরি নালিশ জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের পতাকা হিসেবে যে ছবি দেওয়া হয়েছে তাতে ‘আল্লাহ’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ নেই। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিকৃত এই পতাকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে ফিফায় অভিযোগ করেছে তেহরান।
প্রেসটিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ফুটবল দলের ফেসবুক পেইজেও একই কাজ করা হয়েছে।
ইরানের জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন মার্কিন ফুটবল দলের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফা’র কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। তারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বকাপ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ফিফার কাছে আবেদন জানিয়েছে।
ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরানের জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচিতির ওপর আঘাত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরানে যেসব নারী হিজাববিরোধী বিক্ষোভ করছেন তাদের প্রতি সমর্থন জানাতে ইরানের পতাকা থেকে ইসলামিক প্রতীক বাদ দিয়েছিল তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশনের একজন মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, তারা ওই পোস্ট মুছে দিয়েছেন এবং ইরানের সঠিক পতাকা দিয়ে পরবর্তীতে পোস্ট করেছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘ইরানের নারী আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।’
ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন যে কাজ করেছে সেটি ফিফার নিয়ম অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে একটি দল বা ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন দশ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে।
ইরান এখন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছে। যদিও ফিফা এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে না বলেই মনে করছেন সবাই। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কমিউটার ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ইদ্রিচ গণমাধ্যমকে বলেন, রাত ৩টার দিকে খবর পেয়ে স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ট্রেনের ইঞ্জিনের কাছাকাছি দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটি টাঙ্গাইল টু ঢাকা অভিমুখে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৩টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন টাঙ্গাইল স্টেশন ত্যাগ করার পর আগুন লাগে। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত শেষে জানা যাবে।
ঘারিন্দা রেলস্টেশনের বুকিংমাস্টার সেলিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৩টার দিকে ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির দুইটি বগিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে এক ঘণ্টার মতো চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি কেউই। সূত্র: যুগান্তর