a
ফাইল ছবি
এল ক্লাসিকোয় জিতে লা লিগায় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার স্যান্টিয়াগো বার্নাবিউতে বার্সেলোনাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এল ক্লাসিকোয় বাজিমাত করল কার্লো আন্সেলোত্তির দল। ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল। ম্যাচের ১২ মিনিটে করিম বেঞ্জিমার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৫ মিনিটে ভালভেরদে-র গোলে লিড দ্বিগুণ করে রিয়েল।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ব্যবধান কমান বার্সার ফার্নান্দো টোরেস। খেলা শেষের ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে ফল রিয়ালের পক্ষে ৩-১ করেন রডরিগো। লা লিগায় ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে উঠল রিয়াল। অন্যদিকে, মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেল জাভির দল।
ফাইল ছবি
বর্তমান আধুনিক ফুটবলে ব্যবধান গড়ে দিতে পারা ফুটবলের আরেক নাম ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি কাপের ফাইনালে একাই ব্যবধান গড়ে দিলেন এই সুপারম্যান নিজে গোল করলেন ও করালেন। নিজের সাবেক ক্লাব মোনাকোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এমবাপ্পের পিএসজি।
প্যারিসে বুধবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় মাউরো ইকার্দির গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। ফরাসি কাপে পিএসজির এটি টানা দ্বিতীয় ও মোট চতুর্দশ শিরোপা।
পিএসজি পর সর্বোচ্চ ১০ বার এর শিরোপা জিতেছে মার্সেই।
তিন দশকের ধরে ফরাসি কাপের অপেক্ষার অবসান এবারও হলো না মোনাকোর। চোট ও নিষেধাজ্ঞার জন্য পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি পিএসজি বস পচেত্তিনো। কার্ডের কারনে খেলতে পারেনি নেইমার জুনিয়র। তার অভাব স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল মাঠর খেলায়।
ম্যাচে আকসেল দিসাসির মারাত্মক ভুলে ১৯তম মিনিটে ইকার্দির গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। চলতি মৌসুমে লিগ ওয়ানে পিএসজিকে দুইবার হারিয়েছিল মোনাকো। তাই তারা সেভাবে ভাবাতে পারেনি কেইলর নাভাসকে। লক্ষ্যে নেওয়া তাদের প্রতিটি শটই রুখে দেন এই গোলরক্ষক।
তবে বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করতে সংগ্রাম করতে হয়েছিল পিএসজিকেও। ৮০তম মিনিটে মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত পেয়েই যাচ্ছিল দলটি। বেশ দূর থেকে এমবাপের নেওয়া শট বারে লেগে ফিরত আসলে হতাশায় পড়ে যায় দর্শকরা।
পরের এক মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে সময় নেননি এই তরুণ তারকা। আনহেল ডি মারিয়ার ডিফেন্স পাস পেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
এবার সামনে ডাবল জেতার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে পচেত্তিনোর দলের । অবশ্য লিগ ওয়ানে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জিতলেও শিরোপা ধরে রাখার নিশ্চয়তা নেই তাদের। ৩৭ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিল। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পিএসজি। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে মোনাকো।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশেষ করে ব্যাংক খাত ও বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের ধ্বংস করতে শুরু হয়েছে দেশিবিদেশি নানান ষড়যন্ত্র। দেশবিরোধী একটি চক্র সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মিডিয়া ট্রায়াল। দেশ প্রেমিকের মুখোশধারী এই চক্রের ষড়যন্ত্রে এরই মধ্যে দেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে এই চক্রকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানা গেছে, দেশের ১০টি ব্যাংক বন্ধ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। ফলে ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকটি গণমাধ্যমের মিডিয়া ট্রায়ালের মধ্যে পড়েছিল এই ব্যাংকগুলো। হাতেগোনা যে কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ১০ ব্যাংক লুটের অভিযোগ রয়েছে, তাদের সহযোগী ছিল আরও অনেকেই। লুট করার পরও ব্যাংকগুলোতে টাকা ছিল। সেই আমানত কোথায় গেল। কারা নিল সেই টাকা, তাদের সবাইকে খুঁজে বের করতে হবে বলে মত দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য বিদেশি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে দেশি একটি চক্র অনেক আগে থেকেই সক্রিয় আছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশই ১০ ব্যাংক লুট ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা। এখন খোঁজ নেওয়া দরকার এই ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠার সময় মূলধন কত ছিল। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো কত টাকা মুনাফা করেছে, কে কত টাকা নিয়েছে এসব খবর নেওয়া।
বিশ্লেষকরা বলেন, দেশে কার্যরত ব্যাংকের লাইসেন্স যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদান করে সে কারণে এসব ব্যাংকের সব দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের নিতে হবে। কারণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমানতকারী এসব ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছেন বা গ্রাহক হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক দায় না নিলে হাজার হাজার আমানতকারীদের এখন কি হবে। আমানতকারীদের সুরক্ষার দায়িত্ব কার। ১০ ব্যাংক ধ্বংস করার পর একই চক্রান্তে ১০ ব্যবসায়ী গ্রুপকে ধ্বংস করার নীলনকশা চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে কাদের স্বার্থে দেশের বিনিয়োগকারী শিল্পোদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানকারীদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে পণ্যের প্রতিযোগিতা থাকলে সরবরাহে ভারসাম্য তৈরি হয়। গোটা পৃথিবীতে এভাবেই বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু একটি দেশবিরোধী চক্র বেসরকারি পর্যায়ের যে কোনো ইতিবাচক উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করছে। ১০ ব্যবসায়ী গ্রুপকে নিয়ে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও নাকি এখন অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে।
সরকারের একটি সংস্থা এসব ব্যবসায়ীর সম্পদ অনুসন্ধান করার বিবৃতি দেওয়ার পর ওইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ১০টি শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে প্রপাগান্ডার কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী এখন হাত গুটিয়ে বসে আছেন। প্রশ্ন হচ্ছে দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের ধ্বংস করা হচ্ছে কার ষড়যন্ত্রে। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের ধ্বংসের জন্য যারা মিডিয়া ট্রায়াল করছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা সময়ের দাবি মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি লুটপাট করা হয়েছে। লুটপাটের কারণে দেউলিয়া হওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে ১০টি বেসরকারি ব্যাংক। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মদতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান এমডিসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা টাকা বের করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা আর্থিক খাতের সব ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি। সরকার এরই মধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন