a
ফাইল ছবি
এল ক্লাসিকোয় জিতে লা লিগায় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার স্যান্টিয়াগো বার্নাবিউতে বার্সেলোনাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এল ক্লাসিকোয় বাজিমাত করল কার্লো আন্সেলোত্তির দল। ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল। ম্যাচের ১২ মিনিটে করিম বেঞ্জিমার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৫ মিনিটে ভালভেরদে-র গোলে লিড দ্বিগুণ করে রিয়েল।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ব্যবধান কমান বার্সার ফার্নান্দো টোরেস। খেলা শেষের ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে ফল রিয়ালের পক্ষে ৩-১ করেন রডরিগো। লা লিগায় ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে উঠল রিয়াল। অন্যদিকে, মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেল জাভির দল।
ফাইল ছবি
এফএ কাপের ফাইনালে চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০১৫-১৬ সাল প্রিমিয়ার লীগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার এফএ কাপের শিরোপার দেখা পেলো চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটি। করোনা মহামারীতেও ফুটবল প্রিয় লন্ডনবাসী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল কিছু দর্শক। প্রধান অতিথি হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়ামস। চেলসির বিপক্ষে মাঠে নেমে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার এফ এ কাপের শিরোপা জিতলো লেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন দলটির সদস্য ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হামজা চৌধুরী। শিরোপা উৎসবের সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মিডফিল্ডারেএ সাথে ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার ওয়েসেলে ফোফান ও ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে জয় উদযাপন করেছেন।
বর্তমােন বিশ্ব ফুটবলের মুসলিম তারকারা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে অত্যাচারের শিকার ফিলিস্তিনে পক্ষ নিয়েছেন। ইউরোপিয়ান লিগে খেলা পল পগবা, মোহাম্মদ সালাহ, রিয়াদ মাহরেজ থেকে আচরাফ হাকিমিরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
১-০ গোলে জয় পেয়ে এমন উদযাপনের পর চোখ এড়ায়নি কিছু বিখ্যাত গণমাধ্যমের ডেইলি মেইল, দ্য মিরর, ফার্স্টপোস্ট, আইরিশ টাইমস থেকে আল জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটরের মতো গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এমনকি খবর প্রকাশ করেছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েলও।
এই ঘটনার পর ইংল্যান্ডে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলট দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে হামজাদের আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত জমলট হামজাদ বলেন, ‘শিরোপা জেতায় আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আশাকরি একদিন লেস্টার সিটি ক্লাব স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী জেরুজালেমে খেলবে।’
উল্লেখ্য চেলসি মূলত ইসরায়েল সমর্থিত একটি দল। এর মালিক রোমান আব্রাহমভিচ একজন রুশ বংশোদ্ভূত ইসরায়েলি ধনকুবের। তিনি একজন ইহুদি।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সৌদি আরবকে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রায় যুক্ত হবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবকে বশে আনতে এ ধরনের শক্তিশালী বিমান বিক্রি একটি কৌশলগত চাল এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার একটি অংশ।
তবে এই উদ্যোগে এক বড় বাধা আসে — ইসরায়েলের “গুণগত সামরিক সুবিধা” (Qualitative Military Edge, QME)। আমেরিকা পুরনো রাজনৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিশ্চিত করে ইসরায়েলকে বলেছে যে ইসরায়েল তার প্রতিবেশীদের তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে সব সময় এগিয়ে থাকবে, যা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার একটি মূল ভিত্তি।
অনেক বিশ্লেষক বলছেন, সৌদিকে এফ-৩৫ দেওয়া হলে ইসরায়েলের এই কৌশলগত অগ্রাধার্য হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ইসরায়েলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন এই বিক্রয়কে সৌদির সঙ্গে স্বীকৃতি ও স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করুক। বিশেষ করে তারা চায় যে সৌদি আরব যদি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় — যেমন আব্রাহাম অ্যাকর্ডস — তাহলে এফ-৩৫ বিক্রয় অনুমোদন করুক।
তারা যুক্তি দেয় যে শুধুমাত্র অস্ত্র বিক্রি করা হলে এটি “বিরূপ ফল” হতে পারে এবং একটি কূটনৈতিকভাবে এটি ইসরায়েল যেন হুমকির মধ্যে না পড়ে।
আরেকটি বড় উদ্বেগ হলো প্রযুক্তির দিক: পেন্টাগন এবং গোয়েন্দা মহল সতর্ক করেছেন যে, অত্যাধুনিক এফ-৩৫ প্রযুক্তি সৌদির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং তাদের বৈদেশিক অংশীদারিত্বের কারণে চীনের হাতেও পড়তে পারে।
এমন উদ্বেগ অন্যবারও এসেছে, যখন মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর জন্য স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রতিপাদ্য ছিল — কারণ ফাইভ্থ জেনারেশন বিপ্লবী সেন্সর, স্টিলথ এবং নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি রয়েছে।
ট্রাম্পের এই দাবি কূটনৈতিকভাবেও বড় তাৎপর্য বহন করে: তিনি সৌদিকে এফ-৩৫ বিক্রি করার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণের এক পথ তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন বলে কিছু বিশ্লেষক দেখছেন।
ট্রাম্প একাধিক বার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সৌদি-ইস্রায়েল নর্মালাইজেশনকে উৎসাহিত করতে চান, এবং এফ-৩৫ বিক্রয় তার সেই কূটনীতি পরিকল্পনার একটি অংশ হতে পারে।
সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি মর্যাদাপূর্ণ এবং শক্তিশালী অবস্থান গড়ার সুযোগ। তারা স্বাধীনভাবে অত্যাধুনিক ও স্টেলথ প্রযুক্তি পায় এবং এফ-৩৫-এর মাধ্যমে তাদের এয়ার ফোর্স সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এটি তাদের কৌশলগত প্রতিযোগিতায় — বিশেষ করে ইরান ও অন্য প্রতিবেশী শক্তিগুলোর সঙ্গে — বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, সৌদির স্বীকৃতি ও নর্মালাইজেশনের ইস্যু তাদের ফিলিস্তিনি অবস্থানের সঙ্গে জড়িত। সৌদি আরব দীর্ঘকাল ধরে আরব শান্তি পরিকল্পনা (Arab Peace Initiative) জোর দিয়েছে, যেখানে তারা বলে যে ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি দেবে শুধুমাত্র যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।
এমন স্বীকৃতি এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি না পেলে, ইসরায়েল চুক্তিতে আরও কড়া শর্ত আরোপ করতে পারে — যেমন এমন এলাকা যেখানে বিমান স্থাপিত হতে পারবে না বা সীমাবদ্ধ সংখ্যক বিমান বিক্রি।
আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এফ-৩৫ বিক্রয় মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ দৃষ্টিকোণ থেকে সুগভীর প্রশ্ন তোলে। একদিকে, এটি মার্কিন-সৌদি সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে এবং সৌদির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে; অন্যদিকে, এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগ, অঞ্চলীয় শীতলীকরণ এবং সেন্সর-স্টিলথ প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
সবমিলিয়ে, ট্রাম্পের এফ-৩৫ বিক্রয় পরিকল্পনা কেবল একটি সামরিক চুক্তি নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি, নিরাপত্তা ভারসাম্য এবং শক্তি ভবিষ্যতের একটি প্রতীকী চেয়ে বেশি: এটি একটি কৌশলগত বাজি, যেখানে অস্ত্র বিক্রয়, সম্পর্ক স্বীকৃতি এবং প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ একসাথে যুক্ত হচ্ছেতেই। তবে প্রক্রিয়াটি কতটা সফল হবে, তা এখনও ওপেন প্রশ্ন — বিশেষ করে যদি কংগ্রেসের বাধা, ইসরায়েলের চাহিদা এবং প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকিগুলো প্রকট হয়ে ওঠে। সূত্রঃ আল জাজিরা