a
ফাইল ছবি
জার্মান ফুটবল ইতিহাসের কিংবদন্তি খেলোয়াড়, ১৯৭৪ বিশ্বকাপজয়ী তারকা গার্ড মুলার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। ১৯৪৫ সালের ৩ নভেম্বর পশ্চিম জার্মানিতে জন্ম মুলারের। জার্মান জাতীয় দলের হয়ে ৬২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে গোল করেছেব ৬৮টি। ৭৪টি ইউরোপিয়ান ম্যাচে ৬৬ গোল আর ৪২৭টি বুন্দেসলিগা ম্যাচে ৩৬৫ গোলের কীর্তি গড়েন সাবেক এই স্ট্রাইকার।
বায়ার্ন মিউনিখ এক টু্ইটারবার্তায় জানিয়েছে, `আজ জার্মান ফুটবল, বায়ার্ন মিউনিখ আর গোটা দুনিয়া স্তব্ধ হয়ে গেছে। জার্মানির কিংবদন্তি ফুটবলার গার্ড মুলার ৭৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। জার্মান জাতীয় ফুটবল দল ও বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বহু ইতিহাস গড়েছেন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই ফুটবলার।’ বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন সাবেক এই স্ট্রাইকার ২০১৫ সালে আলজেইমার রোগে আক্রান্ত হন। এরপর বিশেষায়িত কেয়ার হোমে বসবাস করছিলেন তিনি।
১৯৭২ সালে এক মৌসুমে ৮৫টি গোল করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন মুলার। সেই রেকর্ডটি অক্ষত ছিল ৪০ বছর। যা ২০১২ সালে ভেঙে ফেলেন লিওনেল মেসি। দুটি বিশ্বকাপ খেলে ১৪টি গোল করেন তিনি। যে রেকর্ড গড়েন তা অক্ষত ছিল দীর্ঘ ৩২ বছর। ২০০৬ বিশ্বকাপে তাকে ছাড়িয়ে যান রোনালদো।
গার্ড মুলার জার্মানিকে জিতিয়েছেন ১৯৭৪ বিশ্বকাপ, ফুটবল বিশ্বমাতানো ইয়োহান ক্রুইফের নেদারল্যান্ডস তার গোলেই হেরে যায়। ১৯৭০ সালে নিখুত পারফরম্যান্সের জন্য ব্যালন ডি’অর জিতেন মুলার। খেলার মাঠে তার উপস্থিতি মানেই ছিল গোল। প্রতিপক্ষকে নিজের অতুলনীয় পজিশনিং ও দৈহিক শক্তি দিয়ে ঘায়েল করে একের পর এক গোল করতেন গার্ড মুলার। তার বিদায়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ব ফুটবলে।
এদিকে, বায়ার্ন মিউনিখকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবে পরিণত করার পেছনে তার অবদানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেন বায়ার্নের প্রধান নির্বাহী অলিভার কান। এক বিবৃতিতে কান বলেন, ‘মুলারের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। বায়ার্নের ইতিহাসে তিনি অন্যতম সেরা ফুটবলার ছিলেন। এখন পর্যন্ত তার অর্জন অতুলনীয়। বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মান ফুটবলের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
ফাইল ছবি
টানা দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কারের তালিকায় নেই সময়ের তিন সেরা ফুটবলার মেসি, রোনালদো, নেইমার। বর্ষসেরা ফুটবলারের জন্য মনোনীতদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে উয়েফা।
এবারের উয়েফার আয়োজিত দুই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্সলিগ ও ইউরোর প্রভাব পড়েছে এই তালিকায়। পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার এবার সেরা দশেও জায়গা পাননি।
ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল সংস্থার প্রকাশিত তালিকায় প্রথম তিনজনের দু’জনই হলেন চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্সলিগ জেতা তারকা এনগোলো কান্তে,ইতালিয়ান ফুটবলার জর্জিনহো। অবশ্য কান্তে ইউরোতে তেমন কিছু করতে না পারলেও ইউরোর শিরোপা জিতেছেন জর্জিনহো।
তাদের সঙ্গে সেরা তিনে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। মজার ব্যাপার হলো এবারই প্রথম সেরা তিনজনই মিডফিল্ডার। তবে সবার সেরা কে, তা জানতে চোখ রাখতে হবে আগামী ২৬ আগস্ট তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানের দিকে।
গত মৌসুমে চেলসির দুই মিডফিল্ডার জর্জিনহো ও কান্তে ছিলেন অবিশ্বাস্য। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাজয়ীদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারিয়ে শিরোপা জেতাতে চেলসির হয়ে বড় অবদান রাখেন তারা। ম্যানসিটির বিপক্ষে ফাইনালে দুজনই ছিলেন প্রথম একাদশে। জার্মানির কাই হাভার্জের প্রথমার্ধের গোল গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য। সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে টানা ম্যাচসেরা হন কান্তে।
থমাস টুখেলের দল লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে আগামী চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার টিকিটও পেয়ে গেছে। এছাড়া ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি।
অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে ম্যান সিটির শিরোপা জয়ে বড় অবদান ডি ব্রুইনার। যদিও ইনজুরির কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ও ইউরোতে তার পারফরম্যান্স চোখে পড়েনি খুব একটা।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জবি প্রতিনিধি: রমজান মানেই ইবাদত, সংযম ও ভ্রাতৃত্বের এক অপূর্ব মিলনমেলা। ভ্রাতৃত্বের এ বন্ধনকে আরেকটু বাড়িয়ে দিতে ১৩ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজন করে ইফতার অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের ২২২ নাম্বার রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
শেষ রাতে সাহরির পর দিনশেষে ইফতার পরম আনন্দের মুহূর্ত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইফতার আয়োজন অনেকটাই ভিন্ন। রমজানে প্রতিদিন পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ইফতারির প্রস্তুতি। খোপে খোপে বসে ক্যাম্পাসে ইফতারের প্রস্তুতি নেয় জবি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে জমে উঠে ইফতারের আয়োজন। ক্যাম্পাসের সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল সাংবাদিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, জবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সাংবাদিক সহ প্রায় শতাধিক অংশগ্রহনকারী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অমৃত রায় বলেন, ‘এই ত্যাগের মাসকে সামনে রেখে জবিরিউ পরিবারের একত্রে ইফতার পালন করা একটি সুন্দর বিষয়। এতে অংশ নিয়েছে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই। ইফতার সাজানো, পরিবেশন করা ছিল উপভোগ্য। ক্যাম্পাসে আসলে আপন বলতে এই একটা জায়গা, যেখানে নিজের দ্বিতীয় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করলাম।’