a পিএসজির হয়ে বড় মঞ্চেই প্রথম গোল মেসির
ঢাকা রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পিএসজির হয়ে বড় মঞ্চেই প্রথম গোল মেসির


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:৫২
পিএসজির হয়ে বড় মঞ্চেই প্রথম গোল মেসির

ফাইল ছবি

দু হাত প্রসারিত করে দুরন্তগতিতে ছুটছেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) তারকা লিওনেল মেসি। অবশেষে সমালোচকদের জবাবে প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে অভিষেক গোলের দেখা পেলেন মেসি। পিএসজির জার্সিতে নিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম গোলের দেখা পেলেন। তাও চ্যাম্পিয়ন লিগের মতো বড় মঞ্চে, সিটির মতো বড় দলের বিপক্ষে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে প্রথমার্ধের শুরুতেই ইদ্রিসা গুয়েই ও দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে মেসির গোলে সিটিকে ২-০ গোলে হারায় পিএসজি। গোল করেই দুই হাত প্রসারিত করে মেসি মেতে উঠেন সেই চির চেনা উদযাপনে। এই আর্জেন্টাইনের গোলের পর প্যারিসের পার্ক দেস প্রিন্সেসে উড়েছে আর্জেন্টিনার পতাকাও। গোলের পর বন্ধু নেইমারও অভিবাদন জানাতে ভুল করেননি।

তবে পিএসজির জয়ের রাতে ছেড়ে কথা বলেনি পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে দলটি; শুধু দেখা পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলেরই। আসলে সহায় হয়নি ভাগ্য। রাহিম স্টার্লিংয়ের শট বারে লেগে ফিরে না আসলে হয়ত ফলাফল অন্যরকম হত। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন বার্নার্ডো সিলভাও। বল দখলের লড়াই কিংবা আক্রমণে এগিয়ে থাকার পরও শেষ পর্যন্ত মিসের খেসারত দিতে হয়েছে হার দিয়ে।

ম্যাচে ৫৪ শতাংশ সময় বল ছিল সিটিজেনদের পায়ে। সিটি যেখানে অন টার্গেট শট নিয়েছে ৭টি সেখানে পিএসজি নিতে পেরেছে মাত্র ৩টি। পিএসজির ত্রয়ী মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে খেলেছেন দারুণ। ডান পাশে মেসি বাম পাশে নেইমার তটস্থ রেখেছেন সিটির ডিফেন্ডারদের। আর মাঝে পরীক্ষা নিয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে।

তবে পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা অসাধারণ গোলকিপিং করেছেন। পিএসজির জয়ের পেছনে এই ইতালিয়ান গোলরক্ষকেরও রয়েছে বড় ভূমিকা। গ্রুপ এ থেকে এই জয়ে দুই ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান ম্যাচ শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে সিটি। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে ক্লাব ব্রাগ। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে কোনো পয়েন্টই পায়নি আরবি লাইপজিগ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

মেসি করোনায় আক্রান্ত


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ০২ জানুয়ারী, ২০২২, ০৭:২৩
মেসি করোনায় আক্রান্ত

ফাইল ছবি

প্যারিসের ক্লাব পিএসজি ফুটবলার লিওনেল মেসিও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পিএসজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেসিসহ তাদের মোট চারজন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত।

ইউরোপে করোনার যে সুনামি লেগেছে তার থেকে কোনোভাবে বাদ যাচ্ছে না নামি-দামি ফুটবল ক্লাবগুলো এবং একইসঙ্গে ফুটবল খেলোয়াড়রাও। এতদিন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগার রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার খবর শোনা গিয়েছিল যে, এই দুই ক্লাবে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

মেডিকেল বার্তায় চোটাক্রান্ত নেইমারের বিষয়ে পিএসজি আরও জানিয়েছে, ‘নেইমার জুনিয়র প্যারিস সেন্ট জার্মেইর চিকিৎসা দল ও পারফরম্যান্স স্টাফদের সঙ্গে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রাজিলে চোট থেকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। আশা করা হচ্ছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে অনুশীলনে ফিরবেন তিনি।’

সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

একটি নতুন মডেল সেনাবাহিনী জাতীয় ক্ষমতার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ: কর্নেল (অব.) আকরাম


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৪৮
একটি নতুন মডেল সেনাবাহিনী জাতীয় ক্ষমতার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ কর্নেল আকরাম

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী জাতীয় ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি একটি জাতির মেরুদণ্ড ও শক্তি হিসেবে বিবেচিত। যদি সেনাবাহিনীর প্রকৃত পেশাদার চরিত্র না থাকে, তবে এটি সঙ্কটের সময় কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয় এবং একটি জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও যুদ্ধের সময় শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার চেতনা এবং মনোবলকে আরও বেশি মূল্যবান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।  

একটি প্রকৃত পেশাদার সেনাবাহিনী গড়ে তোলা অত্যন্ত কঠিন কাজ, আর একটি দরিদ্র জাতির জন্য একটি মডেল সেনাবাহিনী গঠন করা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। স্বাধীনতা যুদ্ধের দিন থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধারাবাহিক বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে এসেছে। গত ৫৩ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলেও এর পেশাদার মান অর্জনের অগ্রযাত্রা থামানো যায়নি। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে সেনাবাহিনী কঠিন সময় পার করেছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি নতুন আধাসামরিক বাহিনী গঠন করা হয়। তখনকার সরকার সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি উপেক্ষা করলেও তারা কখনোই মনোবল হারায়নি।  

বর্তমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৃত ভিত্তি গড়ে উঠেছে জিয়াউর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায়। একটি আধুনিক পেশাদার সেনাবাহিনী হিসেবে একে যথাযথ রূপ দিতে জিয়াউর রহমানের বিশাল অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা উচিত। এরশাদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পাশাপাশি, অভিজ্ঞ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের অবদান অগ্রাহ্য করা যায় না এবং তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।  

বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি পেশাদার, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাহিনী, যারা যে কোনো সময় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক ভূমিকা দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং এটি আবারও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। পুরো জাতি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ এবং শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত।  

সাম্প্রতিক অতীতে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সেনাবাহিনী রাজনৈতিক চাপে জর্জরিত ছিল। অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা শাসক দলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং জনগণের প্রতি তাদের দেশপ্রেমিক অঙ্গীকার ভুলে গিয়েছিলেন। তবে বর্তমান সেনাপ্রধান দূরদর্শী ও বাস্তববাদী সামরিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামলানোর জন্য তার পরিপক্ব নেতৃত্বের প্রশংসা পাওয়া উচিত। ভবিষ্যতেও তার নেতৃত্বের প্রতি জাতির যথেষ্ট আস্থা রয়েছে।  

যদিও বর্তমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি প্রকৃত যুদ্ধযন্ত্র হিসেবে গড়ে তুলতে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন। সম্ভাব্য শত্রুর হুমকির প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে সময় খুবই সীমিত; বর্তমান সেনাবাহিনীকে একটি মডেল বাহিনীতে পরিণত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।  

একটি "মডেল সেনাবাহিনী" বলতে বোঝায় একটি উচ্চ পেশাদার সেনাবাহিনী, আর উচ্চ পেশাদার সেনাবাহিনী মানে একটি পেশাদার অফিসার কোর। যদি অফিসাররা পেশাদার হন, তবে সেনাবাহিনীও অবশ্যই পেশাদার হবে।  

পেশাদার অফিসার কোর গড়ে তোলা একটি জটিল কাজ এবং এর জন্য বেসামরিক ও সামরিক ক্ষেত্রের সমন্বিত চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। যুদ্ধ একটি বেসামরিক ও সামরিক যৌথ প্রচেষ্টা; একতরফা প্রচেষ্টা পেশাদার অফিসার তৈরিতে ভালো ফল দিতে পারে না।  

"নতুন বাংলাদেশ" এর জন্য একটি "নতুন মডেল সেনাবাহিনী" গড়তে আমাদের দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য আমাদের হাতে এখনো কিছু অভিজ্ঞ যুদ্ধ-বীর এবং পেশাদার বেসামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা এই প্রকল্পে সহযোগিতা করতে পারেন। কিন্তু এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে আমাদের চারপাশে মেধাবী ও অভিজ্ঞ মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এখনই সময়, নয়তো পরে আর সুযোগ থাকবে না।  

লেখক: প্রফেসর ড. এস কে আকরাম আলী: সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইনের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ