a মায়ামি আবারও মেসির জাদুতে জয় পেল
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মায়ামি আবারও মেসির জাদুতে জয় পেল


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩, ১০:৪৮
মায়ামি আবারও মেসির জাদুতে জয় পেল

ফাইল ছবি

মায়ামির হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া গোলের পাশাপাশি করলেন এক অ্যাসিস্টও। এতে করে লিগস কাপে প্রতিপক্ষ আটলান্টা ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার মায়ামি। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা। 

বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। মায়ামির হয়ে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি ও রবার্ট টেলর। ম্যাচের শেষ দিকে মায়ামির ক্রিস্টফার ম্যাকভি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৮৪ মিনিটের সময় আটলান্টা একটি পেনাল্টি পেলেও সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টাইন থিয়াগো আলমাদা।

ম্যাচে জোড়া গোলের সুবাদে ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার মেসি ক্যারিয়ারে ৭০০-এর বেশি পেনাল্টি ছাড়া গোল করলেন। তার ক্যারিয়ারে গোল সংখ্যা এখন ৮১০টি। ইন্টার মায়ামির হয়ে ৩টি, পিএসজির হয়ে ৩২, আর্জেন্টিনার হয়ে ১০৩ ও বার্সেলোনার হয়ে ৬৭২টি গোল।

অভিষেক ম্যাচে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে বদলি হয়ে মাঠে নামেন মেসি। তবে আটলান্টার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে মেসির কাঁধে ক্লাবের অধিনায়কত্ব তুলে দেন কোচ টাটা মার্টিনো। 

এতে করে দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুর একাদশেই ছিলেন মেসি। শুরু একাদশে ছিলেন আগের ম্যাচে বদলি নামা অভিজ্ঞ সার্জিও বুসকেটসও। 

ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই ইন্টার মায়ামিকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। মাঝমাঠ থেকে বুসকেটসের বাড়ানো বল ধরে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন মেসি। এটি ছিল মায়ামির হয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোল। গোল পেয়ে খেলার ধার আরও বেড়ে যায় মায়ামির। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে আটলান্টার রক্ষণকে। যার ফল ম্যাচের ২২ মিনিটে ধরা দেয়। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে বাঁ দিক দিয়ে ফাঁকায় থাকা রবার্ট টেলরকে পাস দেন মেসি। টেলর প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে ব্যাকপাসে মেসিকে দিলে সেখান থেকে দলের লিড দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক মেসি। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশের কিশোরীরা ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৭ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৯:৪৭
বাংলাদেশের কিশোরীরা ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে

ছবি: সংগৃহীত

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে । মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লীগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আজকের দিনের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখে নেপালের মেয়েরা।

লীগ পর্বে ৩ ম্যাচের ২টি জয় ও এক ড্র করে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশের কিশোরীরা। অন্যদিকে ৩ ম্যাচের ২টি জয় ও এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে ফাইনালে উঠে নেপালের মেয়েরা।

ভুটানের বিপক্ষে অধিনায়ক শামসুন্নাহার তিনটি ও আকলিমা খাতুন করেন জোড়া গোল। ম্যাচের ২২ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহারের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন আকলিমা খাতুন। এরপর ম্যাচের ২৯ মিনিটে উন্নতি খাতুনের নেওয়া কর্নার কিক থেকে হেড করে বল ভুটানের জালে জড়িয়ে বাংলাদেশের লিড দ্বিগুণ করেন শামসুন্নাহার।

ম্যাচের ৫৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে বাংলাদেশকে তিন গোলের লিড এনে দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এরপর ম্যাচের ৬০ মিনিটে আইরিন খাতুনের পাস থেকে একক দক্ষতায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আকলিমা। আর ম্যাচের ৬১ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক করেন শামসুন্নাহার।

শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের জয়ে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশের কিশোরীরা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল।  সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কেকে মৃত্যুর আগে ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০১ জুন, ২০২২, ১২:৩৮
কেকে মৃত্যুর আগে ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস

ফাইল ছবি : কৃষ্ণকুমার কুনাথ কেকে

কলকাতায় নজরুল মঞ্চে গান গাইতে গাইতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলিউড তারকা গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ। এর কিছুক্ষণ পর হোটেলেই ফিরেই মারা যান তিনি। বলিউডে তিনি কেকে নামেই পরিচিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।

মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে কনসার্টে যোগ দেন তিনি। হোটেলে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়তেই দ্রুততার সাথে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের প্রথম সারির এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে। চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে এই সংগীতশিল্পীর।

মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কেকে’র সবশেষ স্ট্যাটাস ছিল, “আজ রাতে নজরুল মঞ্চে বিবেকানন্দ কলেজের উত্তেজনাপূর্ণ কনসার্ট!! সবাইকে ভালোবাসা।”

কলকাতার নজরুল মঞ্চ ভিড়ে ঠাসা। দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা, কখন আসবেন গায়ক? কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, যিনি কেকে নামেই সুপরিচিত, তিনি এলেন। কণ্ঠে সুরের ঝাঁপি আর হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে। হাততালিতে ফেটে পড়ল গোটা হল।

হাম, রাহে ইয়া না রাহে কাল.... মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাইক্রোফোন হাতে গান ধরেছিলেন কেকে। উপলক্ষ গুরুদাস কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগের রাতেই ছিল বিবেকানন্দ কলেজের অনুষ্ঠান।

গান শুরু হতেই উৎসাহ-উত্তেজনায় দর্শকদের গলা ফাটিয়ে চিৎকার। হবে না-ই বা কেন! মঞ্চে যিনি গান গাইতে উঠেছেন, তিনি তো আর সাধারণ কেউ না। বলিউডের তারকা নেপথ্যগায়ক কেকে।

মঞ্চে উঠে দর্শকদের মাতোয়ার করতে পারা সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম কেকে। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানেও তার ব্যত্যয় হয়নি। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়ার পাশাপাশি গাইতে থাকেন একের পর এক গান। বাড়তে থাকে দর্শকেদের উত্তেজনাও।

নজরুল মঞ্চে হাজির দর্শক-শ্রোতারা দেখলেন, ৫৪ বছর বয়সী একজন গায়ক কতটা তরতাজা। গান গাইতে গাইতে মঞ্চের এ পাশ থেকে অন্য পাশে দাপিয়ে বেড়াতেও দেখা গেল কেকে-কে। কখনও দর্শকদের উদ্দেশে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিচ্ছেন, তো কখনও আবার গান গাইতে গাইতে নিজের মনেই লাফাচ্ছেন। দর্শকদের অনেকেই কেকে-কে দেখার জন্য, তার গান শোনার জন্য বহু দিন ধরেই অপেক্ষা করেছিলেন।

গান গাওয়ার ফাঁকে কেকে মঞ্চের স্পটলাইটগুলো নিভিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন। যার গানের সুরে ভারতীয় উপমহাদেশের আপামর শ্রোতা মুগ্ধ, তার আবার স্পটলাইটের দরকারই বা কী! স্পটলাইট নেভাতেই শতাধিক ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি গানের পরিবেশে অন্য এক মাত্রা যোগ করে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে।

কেকে’র অনুষ্ঠানের সময় নজরুল মঞ্চে শীতাতপ যন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছিল না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। গান গাইতে গায়ককে দরদর করে ঘামতেও দেখা গেছে। মাঝে মাঝে সাদা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিচ্ছিলেন। তবে চোখে মুখে বিরক্তির লেশমাত্র নেই।

শেষের দিকে বেশ খানিকটা ক্লান্তই লাগছিল গায়ককে। ভিতরে কষ্ট হচ্ছিল কি? কষ্ট হলেও বুঝতে দেননি। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত দর্শকদের আবদার মিটিয়েছেন মুখের মিষ্টি হাসি ধরে রেখেই।

অনুষ্ঠান শেষ হতেই চলে যান স্থানীয় ধর্মতলা এলাকার বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে পৌঁছে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে কেকে’র। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। নিজে বুঝে থাকলেও, শারীরিক অসুবিধার কথা বুঝতে দেননি দর্শকদের। দক্ষ জাদুকরের মতো সুরের জাদু দেখিয়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

‘আলবিদা’। ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ সিনেমায় তার গাওয়া বিখ্যাত গান। সুরের শহরকে সেই কথাই হয়তো জানাতে এসেছিলেন তিনি। আর এই অনুভবের শেষ সাক্ষী কলকাতা। সূ্ত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ