a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন। রোববার (৮ জানুয়ারি) উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর গ্রামের সাদত আলীর ছেলে শরীফ মিয়ার সঙ্গে তার আপন ভাই শহীদ মিয়া ও রফিক মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে রোববার তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় শরীফ মিয়া গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ফাইল ছবি
পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে গত ৫ দিন যাবত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৪ সে.মি নীচ দিয়ে এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৫ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে কাজিপুর, সদর, বেলকুচি শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে শাকসব্জি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমন আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বসতভিটায় পানি না উঠলেও বসতভিটার চারপাশে পানি থৈ-থৈ করছে। কোথাও কোথাও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়ও পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার অরক্ষিত তীরবর্তী মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছে। গত কয়েকদিনে অন্তত শতাধিক বসতভিটাসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারানো পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবযাপন করছে। কৃষকেরা ভরা আমন মৌসুমে আবাদ করতে না পারায় চরম ক্ষতির মধ্যে পড়ছে। চারণভূমি তলিয়ে যাওয়া গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। আরো ২/১ দিন পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি বা উপরে যেতে পারে। তবে বন্যার কোনো আশংকা নেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি: বেনজীর আহমেদ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা আরও ১১৩টি দলিলের সম্পদ এবং গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ (ক্রোক) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে তার আরও সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই সব সম্পদ ক্রোকের আদেশ চেয়ে দুদক রোববার আদালতে আবেদন করলে, শুনানি নিয়ে আদালত বেনজীর আহমেদের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর