হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন। রোববার (৮ জানুয়ারি) উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর গ্রামের সাদত আলীর ছেলে শরীফ মিয়ার সঙ্গে তার আপন ভাই শহীদ মিয়া ও রফিক মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে রোববার তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় শরীফ মিয়া গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব হবিগঞ্জ আহ্বায়ক কমিটি কর্তৃক অদ্য ২০ মে' ২০২১ ইং সকাল ১০ টায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে বেআইনীভাবে আটক ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তসংবাদ প্রতিদিন হবিগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি সাংবাদিক শেখ আব্দুল কাদির কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব মোজাহিদ হোসেন, জনাব মন্জুরুল হক, জনাব মুজিবুর রহমান খান, সাংবাদিক মীর দুলাল সদস্য, শাহেনা আক্তারসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
চলতি মাসের ৩০ তারিখ থেকে বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহর এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এবং দিনাজপুর, বগুড়া,কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে টেলিভিশন ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার সিদ্ধান্তও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো, ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কোয়াব, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর এবং ডাইরেক্ট টু হোম-ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান। প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং সচিব মো. মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী আমাদের দেশে সকল বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচারের নিয়ম পালন, টিভি ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা এবং সংশ্লিষ্ট অসংগতি দূর করার উদ্দেশ্যে আমরা করোনা মহামারি শুরুর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেহেতু দেশে স্রষ্টার কৃপায় এবং প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গণটিকার কার্যক্রমে ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমছে, সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আমরা আগের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন এবং বর্তমান প্রেক্ষিত নিয়ে পুরো বিষয়টা আলোচনার জন্য বসেছি।
ড. হাছান জানান, ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য গ্রাহকদের অবহিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ দেশ ডিজিটাল হয়েছে কিন্তু এই ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটি হয়নি, সেটি হতে হবে।
এছাড়া, ইন্টারনেটে ভিডিও স্ট্রিমের মাধ্যমে অনুমোদনহীন টিভি দেখানো, অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ, ক্যাবল নেটওয়ার্কে অবৈধ সিনেমা বা বিজ্ঞাপন প্রচার, একজনের এলাকার মধ্যে আরেকজনের অনুপ্রবেশ, লাইসেন্স ছাড়া ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই পরপর দু’বছর নবায়ন না করায় ১২০০ কেবল অপারেটিং এবং ফিড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো. মিজান-উল-আলম, এটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হক বাবু, জাদু ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাভিদুল হক, ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন মিয়া, কোয়াব প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল হায়দার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুজিনা সুলতানা, আইন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান গাজী, ক্যাবল অপারেটরদের প্রতিনিধি এস এম আনোয়ার পারভেজ, এ বি এম সাইফুল হোসেন, এম ওমর ফারুক, মোহাম্মদ নাজমুদ্দোহা, বেক্সিমকো কমিউনিকেশনের প্রতিনিধি মো. মুসা আমিন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।