a মেসির অভিষেক ম্যাচে জয় পেয়েছে পিএসজি
ঢাকা বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩২, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মেসির অভিষেক ম্যাচে জয় পেয়েছে পিএসজি


ক্রীড়া ডেস্ক :
সোমবার, ৩০ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৩৬
মেসির অভিষেক ম্যাচে জয় পেয়েছে পিএসজি

ফাইল ছবি

বেশকিছুদিন ফুটবল থেকে দূরে থাকার পর অবশেষে পিএসজির জার্সিতে অভিষেক হয়ে গেল লিওনেল মেসির। পুরো ফুটবলবিশ্বের নজর থাকা এই ম্যাচের স্কোয়াডে থাকলেও শুরুর একাদশে ছিলেন না তিনি। পরে নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি।

মেসির অভিষেকের ম্যাচে রবিবার দিবাগত রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে রেইমসের মাঠ থেকে ২-০ গোলে জয় নিয়ে ফিরেছে পিএসজি। তবে তাদের মেসি এবং নেইমারের কেউই গোল পাননি। জোড়া গোল করে ম্যাচের আসল নায়ক ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।

বার্সেলোনা ছাড়া এই প্রথম অন্য কোনো ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সম্ভাব্য অভিষেকের কথা শুনে আগেই সব অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে স্কোয়াডে রাখলেও মেসিকে একাদশে রাখেননি পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। প্রথমার্ধেও বেঞ্চেই কাটে মেসির। তবে ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

দর্শকদের তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনির মাধ্যমে মেসির আগমনকে স্বাগত জানান। তবে নতুন ক্লাবে অভিষেক ম্যাচে এত কম সময় মাঠে কাটিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়নি তার। তবে দল টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে, এটাও বা কম কিসে! অন্তত 'অভিষেক' ম্যাচটা জয় দিয়ে উদযাপন করলেন আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা। এর আগে ম্যাচের ১৬তম মিনিটেই লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে।

আনহেল দি মারিয়ার বক্সে বাড়ানো ক্রসে দারুণ এক হেডে গোল করেন তিনি। নেইমার-এমবাপ্পে-দি মারিয়াদের মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা রেইমস ৫১তম মিনিটে সমতায় ফিরেছিল। কিন্তু ভিএআর দেখে অফসাইডের সিদ্ধান্তে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডান উইং ধরে রেইমসের ব্যাক পোস্টে থাকা ফরাসি ফরোয়ার্ডকে খুঁজে নেন আশরাফ হাকিমি। একদম কাছ থেকে অনায়াসেই বল জালে জড়িয়ে দেন এমবাপ্পে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

মোনাকো কে হারিয়ে ফরাসি কাপে চ্যাম্পিয়ন পিএসজি


ক্রীড়া ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১, ১২:১৪
মোনাকো কে হারিয়ে ফরাসি কাপে চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

ফাইল ছবি

বর্তমান আধুনিক ফুটবলে ব্যবধান গড়ে দিতে পারা ফুটবলের আরেক নাম ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি কাপের ফাইনালে একাই  ব্যবধান গড়ে দিলেন এই সুপারম্যান নিজে গোল করলেন ও করালেন। নিজের সাবেক ক্লাব মোনাকোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এমবাপ্পের পিএসজি। 

প্যারিসে বুধবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্রথমার্ধে  আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় মাউরো ইকার্দির গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। ফরাসি কাপে পিএসজির এটি টানা দ্বিতীয় ও মোট চতুর্দশ শিরোপা।

পিএসজি পর সর্বোচ্চ ১০ বার এর শিরোপা জিতেছে মার্সেই।

 তিন দশকের ধরে ফরাসি কাপের অপেক্ষার অবসান এবারও হলো না মোনাকোর। চোট ও নিষেধাজ্ঞার জন্য পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি পিএসজি বস পচেত্তিনো। কার্ডের কারনে খেলতে পারেনি নেইমার জুনিয়র। তার অভাব স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল মাঠর খেলায়।

ম্যাচে আকসেল দিসাসির মারাত্মক ভুলে ১৯তম মিনিটে ইকার্দির গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। চলতি মৌসুমে লিগ ওয়ানে পিএসজিকে দুইবার হারিয়েছিল মোনাকো। তাই তারা সেভাবে ভাবাতে পারেনি কেইলর নাভাসকে। লক্ষ্যে নেওয়া তাদের প্রতিটি শটই রুখে দেন এই গোলরক্ষক।

তবে বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করতে সংগ্রাম করতে হয়েছিল পিএসজিকেও। ৮০তম মিনিটে মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত পেয়েই যাচ্ছিল দলটি। বেশ দূর থেকে এমবাপের নেওয়া শট বারে লেগে ফিরত আসলে হতাশায় পড়ে যায় দর্শকরা।

পরের এক মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে সময় নেননি এই তরুণ তারকা। আনহেল ডি মারিয়ার ডিফেন্স পাস পেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।

এবার সামনে ডাবল জেতার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে পচেত্তিনোর দলের । অবশ্য লিগ ওয়ানে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জিতলেও শিরোপা ধরে রাখার নিশ্চয়তা নেই তাদের। ৩৭ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিল। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পিএসজি। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে মোনাকো।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে: ফখরুল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩, ০৯:০৬
পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে: ফখরুল

ফাইল ছবি


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে সরকার দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দেশের প্রতিটি সেক্টর আজ ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে মানুষের কোনো অধিকার নেই। সব কিছু কেড়ে নিয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’

শুক্রবার বিকালে নয়াপল্টনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ থেকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে বেলা ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মহাসমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দুপুর সোয়া ২টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে মানুষ দু'বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। জিনিসপত্রের দামের কারণে মানুষের জীবন আজ অতীষ্ট হয়ে গেছে। আজকে বিদ্যুৎতের দাম বেড়েছে। বিদ্যুৎ নাকি আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ বিদুৎ নেই। কিছুদিন পরপরই বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুৎতের দাম। আজকে প্রবাসীরা কষ্ট করে দেশে টাকা পাঠায়। আর সরকার তাদের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করছে। এরা লুটেরা সরকার। এরা অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। ঢাকা ১৭ আসনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণ জানে এ সরকার ভোট চোর সরকার। তাই ভোট কেন্দ্রে যেয়ে লাভ নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘আজকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য আমরা ৩৬ দল একসাথে আন্দোলন করছি। এর বাইরেও যারা আছেন তারাও বলেছে এদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আমরা আন্দোলনে শরিক সকল দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব। যে বিচার ব্যবস্থা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ও উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবদীন ফারুক, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম, আলতাফ চৌধুরী, উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনম সাইফুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সাদেক খান প্রমুখ।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলো থেকে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে এ সমাবেশে। এ সময় মিছিলে মিছিলে সয়লাব ছিল পুরো পল্টন এলাকা। নয়াপল্টনের সড়ক মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। 

পশ্চিমে কাকরাইল মসজিদ, পূর্বে নটরডেম কলেজ ও উত্তরে শান্তিনগর- শাহজাহানপুর পর্যন্ত পুরো এলাকায় ছিল শুধু মানুষ আর মানুষ। জনসভায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী, জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানার ফ্যাস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে বিশাল মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করেন। 

মহাসমাবেশে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী-কদমতলী (আংশিক) বিএনপির মিছিলে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, শ্যামপুর-কদমতলী থানা বিএনপির মিছিলে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম।

এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, বৃহত্তর উত্তরা বিএনপির নেতা হাজী মোস্তফা জামান, গুলশান বনানী ক্যান্টনমেন্টের বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, দারুসসালাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিক সাজু, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ মৃধা, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, সাবেক মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা সাইদুল ইসলাম সাইদুল, শাহআলী থানা বিএনপির সোলায়মান দেওয়ান, কাফরুল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক ও সাব্বির দেওয়ান জনি, ডেমরা থানা বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মো. মনির হোসেন খান, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এস আহমাদ আলী ও ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুম খান রাজেশ, রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু এবং সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook