a
ছবি: সংগৃহীত
বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি ফল ও সবজির সংকট তীব্র ব্রিটেনে। বর্তমানে দেশটির সর্বত্র নাগরিকদের একসঙ্গে বেশি পরিমাণ সবজি কেনা নিষেধ রয়েছে। এই সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে টমেটো ও শসার ক্ষেত্রে।
ন্যাশনাল ফারমার্স ইউনিয়ন (এনএফইউ) সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে। আবহাওয়াজনিত কারণে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কমেছে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায়। ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিধিনিষেধ ও সরবরাহের নিম্নগতি ফেলেছে এর বিরূপ প্রভাব। বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ফলাফল দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের সুপারমার্কেটগুলোতেও। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পরেছে সর্বত্রেই।
ব্র্যাডশ দেশে উৎপাদিত সবজির দিকে আগে সচেতন হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন। দেশের ভেতরে এতদিন যারা সবজি ও ফল চাষ করেছে, তাদের অধিকাংশই ক্ষতির সম্ভাবনায় চাষ করেনি। বিষয়টি সরকারিভাবে নজর দেয়া উচিত ছিল বলে বিভিন্ন সংস্থাকে দায়ি করা হচ্ছে।
আবার অনেকে মনে করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করারও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে ব্রিটেনের বাজারে। কারণ আগে ইউরোপীয় বাজার থেকে বেশির ভাগ সবজি ও ফল সংগ্রহ করা হতো। ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সবজি বাজারে বিরাট এক অংশ আসে মরক্কো ও স্পেন থেকে। সম্প্রতি বন্যা ও তুষারপাতে দেশ দুটিতে মারাত্মকভাবে ফসল সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে ক্রেতাদের জন্য পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে আলদি, আসদা ও মরসিনের মতো স্টোরগুলো। টেস্কো ও আলদি দুটি করে শশা, তিনটি করে টমেটো, গোলমরিচ ও শসা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
অন্যদিকে লেটুস, সালাদ ব্যাগ, ব্রকোলি, ফুলকপি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আসদা। মরিসন মাত্র দুটি করে টমেটো, শসা, লেটুস ও গোলমরিচ কিনতে অনুমতি দিচ্ছে।
খারাপ আবহাওয়া ও পরিবহনজনিত কারণে প্রভাব পড়েছে অন্যান্য সবজি ও ফলের বাজারেও। পরিবেশমন্ত্রী থেরেসা কফে দাবি করেন, “আমি জানি ভোক্তারা একটা বর্ষব্যাপী পরিকল্পনা চাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের সুপারমার্কেট ও খাদ্য সরবরাহকারীরা সেটাই করার চেষ্টা করছেন।”
পরিবেশমন্ত্রী জনগণকে পিঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে কমে এসেছে পিঁয়াজ সরবরাহও। এর মধ্যে বেশকিছু সুপারমার্কেট থেকে পিঁয়াজের ঘাটতির খবর ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান। তার নাম নূসরাত জাহান চৌধুরী (৪৪)। তিনি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনগত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার সিনেটর অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়। নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত সিনেটর চাক শ্যুমারের সুপারিশে নূসরাত চৌধুরী ছাড়া আরও দুই নারী জেসিকা ক্লার্ক (৩৮) এবং নীনা মরিসনকে (৫১) ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট এবং সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের জজ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে চাক শ্যুমার বলেন, “মানবাধিকার এবং নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত আইনে সম্যক ধারণা রাখা নূসরাত ইতোমধ্যে নিজের বিচক্ষণতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছেন। একেবারে শেকড় থেকে অপরাধের ধরণ নির্ণয় এবং অপরাধীকে যথাযথ শাস্তি প্রদানে তার এ অভিজ্ঞতা বিচার ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ রাখতে অপরিসীম ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি।”
ফেডারেল কোর্টের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে এ তিন নারীর নিয়োগ বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দিত হচ্ছে। তিনজনেরই নাম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দপ্তর থেকে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নূসরাত চৌধুরী ইলিনয় স্টেটে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের অ্যাটর্নি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন গত বছর থেকে। মানবাধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্নে ন্যায়-বিচার নিয়ে কর্মরত ২০ জন অ্যাটর্নির একটি টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নূসরাত। এর আগে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের ন্যাশনাল অফিসে বর্ণ-বিচার বিষয়ক প্রোগ্রামের ডাইরেক্টর ছিলেন ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত।
ফাইল ছবি
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষান-কৃষানীরা বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটিয়ে উঠোন ও বাড়ির আনাচে কানাচে তিল পরিমান জমি অনাবাদি না রেখে প্লাস্টিকের বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয়ের পথও দেখছেন তারা।
আজ রবিবার (১৩ জুন) সরেজমিনে, নিতাই ইউপি’র পানিয়ালপুকুর চানষা পাড়া গ্রামের কৃষক বুলবুল জানান, দীপ্ত টিভিতে বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে এ বছর ৩শত বস্তায় আদা চাষ করেছি।
তিনি আরো জানান, বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হচ্ছে, অনাবাদি জমির সদ্ব্যবহার, অন্যদিকে হালচাষ ও শ্রমিক বিহীন এ ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
আর যাদের আবাদি জমি নেই তারাও ইচ্ছে করলে বসতবাড়ির আশপাশে, আঙিনায়, সুপারি বাগান কিংবা অন্যান্য পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারেন।
এক একটি বস্তায় ২ থেকে ৩টি করে বীজ আদা রোপন করে ২থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। বীজ লাগানোর সময় মাটি শোধন করায় রোগ বালাই কম হয়।
সদর ইউপি’র রুপালি কেশবা গ্রামের সুমন জানান, বছরের অনেক সময় আদার দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
তাই কয়েক বছর ধরে স্বল্পপরিসরে মিল চাতালের ওয়ালে বস্তায় আদা চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় হচ্ছে। ওই কৃষকদের পাশাপাশি সদর ইউপি’র ইসমাইল যদুমনি গ্রামের কৃষক রশিদুল জমির আইলে ২৫০টি বস্তা, উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আতাব্বর টোনেয়া বসত বাড়ির আঙিনায় ১৫০ বস্তা আদা লাগিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে উপজেলায় যাদের জমি কম এ ধরনের প্রায় হাজার খানেক কৃষক সবজি চাষের পাশাপাশি বস্তায় আদা চাষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে। আর কৃষি অফিস থেকেও বস্তায় আদা চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।