a
ফাইল ছবি
লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান তিউনিসিয়ার জারজিস এবং তাতাউইন শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় প্রবাসীদের খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের কল্যাণে দূতাবাসের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
অনেকদিন ধরে লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার স্থল সীমান্ত এবং বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামানের নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল স্থলপথে তিউনিসিয়া সফর করেছেন।
সফরকালে দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভিবাসন অধিদপ্তর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমসহ স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে দেশটির বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবাসনসহ তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছেন বলে জানা যায়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান। তার নাম নূসরাত জাহান চৌধুরী (৪৪)। তিনি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনগত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার সিনেটর অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়। নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত সিনেটর চাক শ্যুমারের সুপারিশে নূসরাত চৌধুরী ছাড়া আরও দুই নারী জেসিকা ক্লার্ক (৩৮) এবং নীনা মরিসনকে (৫১) ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট এবং সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের জজ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে চাক শ্যুমার বলেন, “মানবাধিকার এবং নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত আইনে সম্যক ধারণা রাখা নূসরাত ইতোমধ্যে নিজের বিচক্ষণতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছেন। একেবারে শেকড় থেকে অপরাধের ধরণ নির্ণয় এবং অপরাধীকে যথাযথ শাস্তি প্রদানে তার এ অভিজ্ঞতা বিচার ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ রাখতে অপরিসীম ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি।”
ফেডারেল কোর্টের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে এ তিন নারীর নিয়োগ বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দিত হচ্ছে। তিনজনেরই নাম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দপ্তর থেকে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নূসরাত চৌধুরী ইলিনয় স্টেটে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের অ্যাটর্নি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন গত বছর থেকে। মানবাধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্নে ন্যায়-বিচার নিয়ে কর্মরত ২০ জন অ্যাটর্নির একটি টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নূসরাত। এর আগে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের ন্যাশনাল অফিসে বর্ণ-বিচার বিষয়ক প্রোগ্রামের ডাইরেক্টর ছিলেন ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সারাদেশেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন দাবীসমূহ বা বৈষম্যসমূহ তুলে ধরার জন্য আন্দোলন বা সমাবেশ বা বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকদিন ধরে সোনালী ব্যাংক পিএলসি অবসরপ্রাপ্ত সিপিএফ স্কীমভূক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী “CPF পরিষদ” কেন্দ্রীয় কমিটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক গুলোতে পেনশন ব্যবস্থার বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানান।
CPF পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক মিয়া বলেন, আপনারা সবাই CPF পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা কর্তৃক দাবী সমূহ বা বৈষম্য সমূহ তুলে ধরন জাতির সামনে। রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক গুলোতে পেনশন ব্যবস্থায় দুটো পদ্ধতি বিদ্যমান যেমন - GPF (General Provident Fund) অর্থাৎ পেনশন সুবিধার গ্রাচ্যুইটি পদ্ধতি এবং CPF (Contributary provident fund) অর্থাৎ নগদায়ন গ্রাচ্যুইটি পদ্ধতি। এ দুটো পদ্ধতির মধ্যে আকাশ পাতাল আর্থিক অসংগতি। আমরা সোনালী ব্যাংক CPF ভুক্তরা এই বৈষম্যের অবসান চাই।
এই প্রসঙ্গে তিনি কতগুলো দাবির কথা বলেন। নিম্নে দাবী বা বৈষম্য সমূহ তুলে ধরা হলো-
১) GPF স্কীমভুক্তরা শতভাগ পেনশন বিক্রি করার পর তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাপ্তিতার সকল অধিকার শেষ হয়ে যায়। তেমনি CPF স্কীমভুক্তদের গ্রাচ্যুইটি নগদায়নের পর তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাত্তিতার অধিকার শেষ হয়ে যায়। তখন GPF / CPF এর মধ্যে কোন তফাৎ থাকে না প্রাপ্তিতার অধিকার এক এবং অভিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু শতভাগ পেনশন বিক্রি করার পরও GPF ভুক্তরা চিকিৎসা, বোনাস ও নববর্ষ ভাতা পায়। কিন্তু সরকারি ব্যাংকে বা সোনালী ব্যাংকের CPF ভুক্তদের উক্ত সুবিধা (চিকিৎসা, বোনাস ও নববর্ষ ভাতা ) প্রদান করা হয় না। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের CPF ভুক্তরা কিন্তু GPF ভুক্তদের ন্যায় উক্ত সুবিধা সমূহ পায় । অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক উক্ত সুবিধা পায় না বিষয়টি অমানুবিক ও অযৌক্তিক আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই ।
উল্লেখ্য যে, সোনালী ব্যাংকের মহান পরিচালনা পর্ষদ GPF / CPF এর বৈষম্যের বিষয়টি অনুধাবন করে এবং সদয় হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি ব্যাংক হলো সোনালী ব্যাংক এই বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের CPF ভুক্তদের ন্যায় চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ও নববর্ষ ভাতা ২৭মে, ২০১৯ সালে পরিচালনা পর্ষদের ৬৩৫ নং মিটিং এ সোনালী ব্যাংকে অনুমোদন দেয়া হয় ।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় অর্থ-মন্ত্রণালয়ের ১৩, ডিসেম্বর-২০২৩ পত্র নং- ০০১.২০.২৯১. এর বিধিবদ্ধতার চিঠির বরাতে CPF স্কীমভুক্তদের চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ও নববর্ষ ভাতার সুবিধাটি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানুয়ারি-২০২৪ থেকে স্থগিত করে দেয়। যা অমানবিক, অন্যায্য ও বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আমরা সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদনকৃত ভাতা সমূহ- চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ও নববর্ষ ভাতা পুনর্বহাল চাই।
উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ০৫/০১/২০২৫ পত্র নং- ০১/২৫ এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি ছিল নিম্নরূপ :- বিষয়:- সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিপিএফ স্কীমভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা,উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা পুনর্বহাল করা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যায় সিপিএফ স্কীমভুক্তদের ”বিশেষ আর্থিক সুবিধা” চালু করা প্রসঙ্গে।
CPF পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা এর সভাপতি হোসনে আরা বেগম এই বৈষম্য নিয়ে বলেন, বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। আমরা চাই এই বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হোক। নতুন এই বাংলাদেশে এই ধরনের বৈষম্য আমরা চাই না।
সাবেক জেনারেল ম্যানেজার, সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক মিয়া (CPF পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা) জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় সাংবাদিকদের সামনে বলেন, একই সেক্টরে দুই ধরনের বৈষম্য আমাদের অনেক পীড়া দেয়।
আমরা চাই দেশের সকল নাগরিক যার যার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সুবিধা পাক। তাহলে পেনশনধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।