a
ফাইল ছবি
আগামী মাস থেকে আবারও করোনার টিকা রপ্তানির ঘোষণা দিল ভারত। একইসঙ্গে উদ্বৃত্ত টিকা উপহার হিসেবেও দেওয়া হবে। আগামী অক্টোবর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানালেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের একদিন আগে এলো এই ঘোষণা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে মহামারির ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ায় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি দেখেছে বিশ্ব। নিজের দেশের মানুষকে শতভাগ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিতে গেল বছরের এপ্রিলে বিভিন্ন দেশে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দিল্লি। এতে প্রতিবেশী দেশগুলোর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তবে সোমবার ভ্যাকসিন নিয়ে ফের সুখবর দিলো দেশটি। অক্টোবর থেকে আবারও করোনার টিকা রফতানি করবে ভারত।
একইসঙ্গে উদ্বৃত্ত টিকা উপহার হিসেবেও দান করা হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া এই ঘোষণা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত এপ্রিল থেকে ভারতে ভ্যাকসিনের উৎপাদন হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আগামী মাসে উৎপাদন চারগুণ বেশি হতে যাচ্ছে। এতে মাসিক উৎপাদন হবে ৩০০ মিলিয়নের ডোজেরও বেশি। মন্ত্রী জানালেন, টিকা রফতানিতে প্রতিবেশী দেশগুলোকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ভারত এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে এক ডোজ ও ২২ শতাংশকে দুইডোজের টিকা দিয়েছে। গত মাস থেকে ভারতের টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন গতি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী দেশ ভারত। গত মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দ্রুতই করোনার টিকার রপ্তানি শুরু করবে ভারত। রপ্তানি স্থগিত করার আগে শতাধিক দেশকে ছয় কোটি ৬০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দান করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: আপনার কিডনি কি সুস্থ? দ্রুত পরীক্ষা করুন, কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ০করুন। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে "বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫" উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন।
আজ ১২ই মার্চ ২০২৫, জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকার জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সকালে এই সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্য হল, কিডনি মানব দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের শরীরে বিপাকের মাধ্যমে যে ময়লা ও দূষিত পদার্থ তৈরি হয় তা কিডনির মাধ্যমে প্রসাবের সাহায্যে বের হয়ে যায়। কিডনিকে সুস্থ সবল রাখা এবং কিডনি রোগীদের জন্য সাহায্য ও সমর্থনের আশীর্বাদ নিয়ে ২০০৬ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ নেফ্রলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর কিডনি ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে সারা পৃথিবীব্যাপী মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার কিডনি দিবস পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কিডনির রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ ও কিডনি রোগ প্রতিরোধের বার্তা নিয়ে আগামীকাল ১৩ ই মার্চ বৃহস্পতিবার সারা বাংলাদেশ ব্যাপি বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, আপনার কিডনি কি সুস্থ? দ্রুত পরীক্ষা করুন, কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষাকরুন।
বাংলাদেশে বর্তমানে কিডনি রোগীর সংখ্যাঃ
২০১৯ সালে প্রকাশিত আটটি স্টাডির সিস্টেমিক রিভিউ অনুযায়ী আমাদের দেশে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২২.৪৮%। এর ভেতরে মহিলাদের প্রাধান্য বেশি প্রায় ২৫ শতাংশ এবং পুরুষ ২০%। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে এই তথ্য অনুযায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি ৮২ লক্ষ এবং দ্রুত হারে এ সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী গত ১ দশকে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই মহামারিতে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে ক্ষমতা, সে অনুযায়ী আমরা এই নতুন রোগীদের ১৫ থেকে ২০% রোগীকে ট্রান্সপ্লান্ট ডায়ালাইসিস এবং অন্যান্য চিকিৎসা দিতে পারছি। তার মানে প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে অথবা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে। শুধু যে বাংলাদেশে এই কিডনি রোগের সংখ্যা বাড়ছে তা নয়। সারা পৃথিবীব্যাপী বর্তমানে ৮৫ কোটির বেশি মানুষ ভুগছে। দুই যুগ আগে মানুষ মৃত্যুর কারণ হিসেবে কিডনি রোগ ছিল ২৭তম স্থানে। বর্তমানে এটির স্থান অষ্টম এবং ২০৪০ সালে কিডনি রোগ মৃত্যুর কারণ হিসেবে পঞ্চম স্থান দখল করবে।
কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ
কিডনি এর কার্যক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কিডনি রোগকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়: CKD Stage 1, 2, 3, 4, 5। এর মধ্যে stage 1-3 কিডনি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও ওষুধ। Stage 4-5 এর চিকিৎসা পদ্ধতি ১. ডায়ালাইসিস, ২. কিডনি প্রতিস্থাপন।
কিডনি রোগ কি প্রতিরোধ যোগ্য? বিগত দিনগুলিতে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসা মূলত কিডনি প্রতিস্থাপন এবং ডায়ালাইসিসের উপর কেন্দ্রীভূত ছিল। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় ইতিমধ্যে দেখা গেছে কিডনি রোগ দ্রুত সনাক্ত করতে পারলে এবং কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে ৬০% পর্যন্ত কিডনি রোগের অগ্রগতি ও বিস্তার রোধ করা সম্ভব। তার মানে কিডনি রোগ প্রতিরোধ যোগ্য।সুতরাং কিডনি রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং রোগ প্রতিরোধের উপর আমাদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যদি আমরা কিডনি রোগকে Stage 1-3 এর মধ্যে রাখতে পারি তাহলে শুধু ওষুধের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা সম্ভব। কিডনি রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণকে উৎসাহিত করার জন্য আমাদের সারাদেশে জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে প্রিন্ট মিডিয়াসহ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, আলেম সমাজ, ধর্মগুরু, স্কুলের শিক্ষক সবার চেষ্টা করতে হবে। কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য আমাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপ নির্ণয় করতে হবে। যাদের কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেই সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীরা হচ্ছেন ১. ডায়াবেটিস 2. উচ্চ রক্তচাপ 3. অতিরিক্ত মোটা 4. যাদের পরিবারে বা বংশে কিডনি রোগের ইতিহাস আছে 5. যারা ব্যথা নাশক ওষুধ নিয়মিত সেবন করেন 6. ফাস্টফুড আসক্ত শিশু কিশোরগণ। এই ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপটির কিডনি রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
কিডনি রোগের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমান বাংলাদেশের চিত্রঃ
আমাদের দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে ৩৫টি মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা চালু আছে। বেসরকারিভাবে বেশ কিছু ডায়ালাইসিস সেন্টার আছে যার ৭০ ভাগ ঢাকায় অবস্থিত। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলিতে এবং কয়েকটি জেলায় ডায়ালাইসিস এর ব্যবস্থা আছে। অধিকাংশ জেলা থেকে কিডনি রোগীদের চিকিৎসার জন্য এবং ডায়ালাইসিসের জন্য বিভাগীয় শহরগুলিতে আসতে হচ্ছে যা কিডনি রোগী কিডনি রোগীর পরিজন উভয়ের জন্য কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল। CAPD একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একজন রুগী ঘরে বসে ডায়ালাইসিস করতে পারে। CAPD খুব কম সংখ্যক রোগী বাংলাদেশে গ্রহণ করেছে।
Kidney Transplant আমাদের দেশে ১৯৮২ সালে শুরু হয়েছে। সে হিসাবে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যাবার কথা। কিন্তু মাঝে মাঝে থমকে যাওয়ার কারণে আমরা আমাদের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ থেকে পিছিয়ে আছি। কিডনি প্রতিস্থাপন দুই ধরনের। Live related kidney transplant, Cadaveric kidney transplant। Live related kidney এর ক্ষেত্রে কিডনি ডোনার পাওয়া কষ্টসাধ্য। Cadaveric kidney প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র দুইটি হয়েছে। একটি বি এস এম এম ইউ এবং একটি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোট ৩৫০ জন। আমাদের দেশে বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ধরলে প্রায় পাঁচ লক্ষ জনগণের জন্য একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছেন। আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী কিডনি রোগের চিকিৎসকের সংখ্যা আমেরিকায় ৫০০০০ জনে, একজন ইউরোপে ৭৫ হাজার জনে একজন, আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতে ৩ লাখ এ একজন। আমাদের দেশে আলাদা রেনাল নার্স নেই এবং মেডিকেল টেকনিশিয়ান খুবই কম। বাংলাদেশ থেকে অনেক রোগী বর্তমানে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশে যাচ্ছে কিডনি রোগের চিকিৎসারজন্য।বাংলাদেশের কিডনি রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য এবং বাংলাদেশ থেকে কিডনি রোগীদের বিদেশ মুখিতা কমাতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেমন: ১. কিডনি রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে যে পরিবারে কিডনি রোগ হয়েছে তারা জানেন। কিডনি রোগের পরিনাম সম্পর্কে সকল জনসাধারণের নিকট প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে। ২. প্রাথমিক কিডনি রোগ শনাক্তকরণকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলিতে কিডনি রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য অন্যান্য এসোসিয়েশন যেমন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়েট্রিক অ্যাসোসিয়েশন, ইউরোলজি অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি একত্রে কাজ করতে হবে। ৪. ডায়ালাইসিস সেবা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. CAPD ফ্লুইডের দাম ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যে আনতে হবে। ৬. Live related Kidney transplant এর ক্ষেত্রে কিডনি ডোনারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ৭. Cadaveric kidney transplant এর ক্ষেত্রে রেনাল রেজিস্ট্রি সিস্টেম চালু করতে হবে।
৮. চিকিৎসকের যথা সময়ে প্রমোশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৯. কিডনি বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য এমডি কোর্স বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিস্তৃত করতে হবে। ১০. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রয়োজন অনুযায়ী সুষম ভাবে বন্টন করতে হবে। ১১. কিডনি রোগীদের বিদেশ মুখিতা কমানোর জন্য আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা সহ কিডনি রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, আমরা সকলে বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা আমাদের দেশকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমার আপনার পরিবার আত্মীয়-স্বজন নিয়েই এদেশের জনগণ। আমরা আমাদের পরিজন বন্ধু-বান্ধব এবং সমাজকে কিডনি রোগ নিয়ে সচেতন করতে পারলেই সারা দেশের মানুষ সচেতন হবে। সেক্ষেত্রে আপনাদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। আমরা কিডনি বিশেষজ্ঞ একজন রোগী অথবা রোগীর স্বজনদের বুঝিয়ে যতটুকু সচেতন করতে পারবো তার চেয়ে আপনাদের মিডিয়ায় প্রচারণার মাধ্যমে আরো দ্রুত এই বার্তা সারাদেশে আপনারা পৌঁছে দিতে পারবেন। সুতরাং উপরুক্ত চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে আপনাদের জিজ্ঞাসা থাকলে সেই প্রশ্নগুলি আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের করতে পারবেন। আমরা আজকের আয়োজন এর মাধ্যমে আগামীকাল কিডনি দিবসের সাফল্য কামনা করছি আপনাদের সকলকে দাওয়াত দিচ্ছি। আগামীকাল বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে সুন্দর একটি রেলি বিএসএমএমইউ বটতলা পূবালী ব্যাংকের সামনে থেকে শুরু হবে এবং সকাল ৯ টায় সুপার স্পেসলাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
ফাইল ছবি
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বসতঘর মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে সিধুলী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ি বাজার এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হতভাগ্য ব্যক্তিরা হলেন জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার হাটবাড়ী গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে ইলিম উদ্দিন (৬০), চরলুটাবর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রাজু (৩৫) ও বীরলুটাবর গ্রামের বিন্দু সেকের ছেলে মিন্টু (২৮)।
নিহত ইলিম উদ্দিনের নাতী নরুল ইসলাম জানায়, সোমবার সকালে শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ী বাজার এলাকায় মোস্তাফিজুর রহমান রাজুর মালিকানাধীন বসতঘর মেরামতের কাজ করছিলো। বসতঘরের চাল খুলে সরিয়ে নিতে রাজুকে সহযোগিতা করছিলো ওই ঘরের ভাড়াটিয়া মিন্টু, সাখাওয়াত ও প্রতিবেশী ইলিম উদ্দিন।
এ সময় বসতঘরের ওই চাল বিদ্যুতের খুঁটির সঞ্চালন লাইনে স্পর্শ হলে সাথে সাথেই চারজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এদের মধ্যে রাজু, মিন্টু ও ইলিম উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত সাখাওয়াতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল হুদা খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হবে।