a
ফাইল ছবি
গত বছর প্রেক্ষাগৃহে এসেছিল কাজী হায়াতের ৫০তম চলচ্চিত্র ‘বীর’। শাকিব খান ও শবনম বুবলী অভিনীত ছবিটি নিয়ে বেশ আলোড়ন হয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সিনেমাটি এবার দেখা যাবে বিনামূল্যে।
অর্থাৎ টেলিভিশনে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে এটির। যা করছে দীপ্ত টিভি। এসকে ফিল্মসের ব্যানারে যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন শাকিব খান ও মোহাম্মদ ইকবাল। ইকবাল বলেন, ‘‘বীর’ নানা কারণে আলোচিত চলচ্চিত্র। ছবিটি দর্শকের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে।’’
চলচ্চিত্রটি নিয়ে শাকিব খান জানিয়েছিলেন, ছবির গল্পটাই এমন যে তাকে নতুনভাবে প্রস্তুত হতে বাধ্য করেছে। কারণ, ‘বীর’ হলো দেশ ও প্রেমের ছবি।
সিনেমাটিতে আরও আছেন মিশা সওদাগর, নাদিম প্রমুখ।
এদিকে দীপ্ত টিভি জানায়, শাকিব ও বুবলী অভিনীত দর্শকপ্রিয় এই সিনেমা চলবে দীপ্ত টিভির ৭ দিনের ঈদ অনুষ্ঠানমালার প্রথমদিনে। এবারই প্রথম টেলিভিশনে প্রচার হতে যাচ্ছে ‘বীর’ ছবিটি।
সংগৃহীত ছবি
বুধবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সময়টা বন্ধ থাকবে ছোট-বড় সব সিনেমা হল। তবে ছয়টি বিশেষ শর্তে স্বল্প পরিসরে নাটক ও সিনেমার শুটিং চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনয় শিল্পীরা।
সিনেমার শুটিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে কেউ যদি শুটিং করতে চান তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এখন শুটিং না করাই ভালো বলে মনে করি।’
অন্যদিকে, নাটকের শুটিংয়ের বিষয়ে টিভি নাটকের পাঁচ সংগঠন এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, লকডাউনে সব ধরনের শুটিংয়ের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার ব্যাপারে আন্তঃসংগঠন একমত পোষণ করলেও জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প পরিসরে ৬টি শর্তে টিভি নাটকের শুটিং করতে পারবেন প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীরা।
ছয়টি শর্ত হলো-
১) আন্তঃসংগঠনের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে কাজ করতে হবে।
২) শুটিংয়ের আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান শিল্পী-কলাকুশলীদের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অবহিত থাকবেন।
৩) করোনাভাইরাসের তীব্রতার মধ্যে পরিস্থিতি বিচারে কোনো শিল্পী, কলাকুশলীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো শিল্পী সঙ্গত কারণ দেখিয়ে চুক্তিবদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারবেন।
৪) ঢাকা শহর অথবা ঢাকার বাইরে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিল্পী-কলাকুশলীদের আনা-নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা করবেন।
৫) সদস্যবৃন্দের যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে নিজ নিজ সংগঠনে পরিচয়পত্র সাথে রাখবেন।
৬) যেহেতু প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে, অতিব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। তাই জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হবেন।
এর আগে গত বছরের লকডাউনে প্রায় ছয় মাস সিনেমা হলের পাশাপাশি সব ধরনের শুটিং বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বিনোদন জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বল্প আয়ের মানুষরা, বিশেষ করে যারা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন। বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজকরাও। সেই দিক বিবেচনায় এবার শুটিংয়ের বিষয়ে কিছুটা নমনীয় পরিচালক ও শিল্পী নেতারা।
ফাইল ছবি
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আজ রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বিউগলে করুন সুর বেজে ওঠে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুল-উল আলম হানিফ প্রমুখ। এরপর পরই জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।