a
সংগৃহীত ছবি
চীনের সিনোফার্মের টিকার ২০ লাখ ডোজের প্রথম চালানটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এ চালান পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান শুক্রবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেইজিং এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিমান টিকা নিয়ে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বিমানটি রাত ১টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এর আগে, দুই ধাপে চীন থেকে উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। ইতিমধ্যে দেশে চীনা টিকার প্রয়োগও শুরু করেছে।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১০১ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৫৩ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ২৯২২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জন।
আজ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৩০১ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সংগৃহীত ছবি
১৯৫৯ সালে অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মহাদেশটি হুমকির মুখে পড়েছে। চুক্তিতে ঐ মহাদেশকে যুদ্ধ, অস্ত্র ও পরমাণু বর্জ্য থেকে মুক্ত রাখতে একমত হয়েছিলেন বিশ্বের নেতৃবৃন্দ।
এই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ঐ অঞ্চলে কোনো একক দেশের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সব দেশের বিজ্ঞানীরা মিলেমিশে সেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করবেন। ঐ অঞ্চলকে ‘শান্তি ও বিজ্ঞানের জন্য নিয়োজিত একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে ধরে রাখতে একমত হয়েছিলেন নেতারা।
পরে ১৯৭৬ সালে ঐ চুক্তির মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ চালানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ওই কারণে অনেক দিন পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পেরেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলা শুরু করেছে।
এই শতাব্দীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার অঙ্গীকার করেছেন বিশ্বনেতারা। যে নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাতে তাপমাত্রা প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে জার্মানির গবেষণা সংস্থা ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার।
গত মাসে ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন জানা গেছে, বিশ্বের তাপমাত্রা যদি তিন ডিগ্রি বাড়ে তাহলে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার হার অনেক বেড়ে যাবে এবং সে হারে সমুদ্রের পানির উচ্চতাও বাড়বে।
অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ আলেসান্দ্রো আন্তোনেল্লা অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশগত রাজনীতি নিয়ে বই লিখেছেন। তিনি বলছেন, অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি সই করা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশ রয়েছে।
নতুন করে দূষণকারী দেশের তালিকায় যুক্ত হওয়া চীন, ভারত এবং ব্রাজিলও ঐ চুক্তির সঙ্গে আছে। এটা এক ধরনের ভণ্ডামি বলে মন্তব্য করেন তিনি।