a
সংগৃহীত ছবি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী নিজ দেশে তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে তিনি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন।
'কোভ-ইরান বারাকাত' নামে ওই ভ্যাকসিন ইরানের তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল। সকল প্রকার ট্রায়াল শেষে অতি সম্প্রতি এই ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি মিলেছে।
ভ্যাকসিন গ্রহণের পর সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'প্রথমত আমি বিদেশি কোনো ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক ছিলাম না'। এ কারণেই টিকা নিতে অনেক পীড়াপীড়ির পরও তিনি ইরানি ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করেছেন। তিনি নিজ দেশে ভ্যাকসিন তৈরি ইরানের জাতীয় গর্ব বলে উল্লেখ করেন। ইরানের এই গর্বকে যথাযোগ্য সম্মান জানানো সকল ইরানির উচিত বলে তিনি মনে করেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, দেশের ভেতরেই যখন রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে তখন আমরা কেন সেই সুযোগকে কাজে লাগাবো না? তবে প্রয়োজনে বিদেশি ভ্যাকসিন নেওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা।
ইরানি ভ্যাকসিন কোভ-ইরান বারাকাত তৈরির ক্ষেত্রে যেসব তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষক নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে জাতিকে সম্মানিত করেছেন এবং যারা এই ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কোভ-ইরান বারাকাত ভ্যাকসিন ব্যবহারের লাইসেন্স পাবার মধ্য দিয়ে ইরান করোনার টিকা প্রস্তুতকারী বিশ্বের ছয়টি দেশের মধ্যে নিজেদের স্থান সংযুক্ত করেছে। সূত্র: পার্সটুডে
সংগৃহীত ছবি
সময়টা ২০১৯ এর শেষ। সবার মনে অজানা এক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বেশীরভাগ মানুষের মনোযোগের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে চীনের উহান। সেই আতঙ্ক শুধু আতঙ্কের পর্যায়ে না থেকে কিছু দিনের মধ্যেই ইউরোপ, আমেরিকাসহ সারা পৃথিবীতে বাস্তব হয়ে দেখা দিল। অপ্রস্তুত পৃথিবীবাসী যেন হাঁটু গেড়ে আত্মসমর্পণ করল সেই অদেখা, অদ্ভুত শত্রুর কাছে। আর সাথে সাথে আমাদের জীবনে নেমে আসল ভয়ানক পরিবর্তন। লকডাউনের মত সিদ্ধান্ত নিতে হল সরকারগুলোকে। আমরা ঘরে আটকা পড়ে গেলাম। পরিশেষে আমরা কিছুটা পরিত্রান পেয়েছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দয়ায় এবং কিছু মানুষের অক্লান্ত চেষ্টায়।
কিন্তু পরিবর্তন আসল আমাদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যের। অনেকে মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য কে একি সাথে আলোচনা করলেও আমরা এটাকে পৃথকভাবে আলোচনা করছি। করোনা পরবর্তী মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আসুন দেখি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কর্তৃক ১৯৪৮ ঘোষিত সংজ্ঞা হল,
“স্বাস্থ্য বলতে সম্পূর্ণ শারীরিক মানসিক এবং সামাজিক মঙ্গল বা কল্যাণবোধকে বোঝায়। শুধু রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতিকেই স্বাস্থ্য বলেনা। “বৃহত্তর সমাজে ব্যাক্তির অবস্থান অনেকটাই তার স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে।
তাই এখানে সামাজিক স্বাস্থ্যকে মানসিক স্বাস্থ্যের চেয়ে কম গুরুত্ব দেয়ার সুযোগ নেই। ব্যক্তি যেহেতু সমাজের সাথে যুক্ত তাই সামাজিক স্বাস্থ্য আলোচনার দাবি রাখে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মতই।
করোনার সময় আমরা দেখেছি কিভাবে আত্মহত্যা, মাদকসহ নানারকম মানসিক সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল। লম্বা সময় ঘরে বন্দী থাকলেও এখন স্কুল, কলেজ যাওয়াসহ নানা কাজে আমাদের বাইরের জগতে মিশতে হচ্ছে। আর এই জায়গাটাতেই হতে পারে সমস্যা। চলুন দেখি কোন জায়গা গুলোতে সমস্যা হতে পারে!!
১.সামাজিক অভিযোজনঃ করোনার পরবর্তী সময়ে সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের সমস্যা হতে পারে। কেননা, দীর্ঘদিন ঘরে আটকা থেকে একা থাকার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
২.অল্পতেই রেগে যাওয়াঃ সিগমুন্ড ফ্রয়েডের তত্ত্বানুসারে কোন জিনিস অনবদমিত থাকলে সেটা অন্যভাবে প্রকাশ পায়। আমরা করোনার সময় ঘরে বন্দী থেকে যে বিষয়গুলো অবদমন করেছি আমাদের সচেতন মন থেকে অচেতন মনে, সেই জিনিস গুলো রাগ হিসেবে বেরিয়ে আসতে পারে।
৩.সম্পর্কের সমস্যাঃ করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের সম্পর্কগুলো করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মত কাজ নাও করতে পারে। এটা হতে পারে সময় এবং ব্যক্তির নিজের মধ্যে পরিবর্তনের ফলে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় --
১.নেচার থেরাপিঃ এখন যেহেতু আমাদের বাইরে যাওয়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে, তাই নেচারকে উপভোগ করা এবং এর সান্নিধ্যে গেলে আমরা আমাদেরকে নতুনভাবে খুঁজে পাব।
২.কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ সবসময় হা-হুতাশ না করে যা হয়েছে তাকে গ্রহণ করে নিতে হবে। যা আছে সেটার উপর সন্তুষ্ট এবং কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।
৩.অন্যকে বোঝাঃ করোনার মধ্যে সবকিছুই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবকিছু। সেই আমাদের ব্যক্তি মনন ও মানসিকতারও ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। এই ক্ষেত্রে আমরা আগের মত করে আমার চারপাশের মানুষগুলোকে না বুঝে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে বুঝতে হবে।
৪.সামাজিক কাজে সক্রিয় থাকাঃ অনেক বেশি মানুষ এখন সামাজিক সমস্যার মধ্যে পতিত হয়েছে। তাদের সাহায্য সহযোগীতায় এগিয়ে আসলে তাদের যেমন উপকার হবে ঠিক তেমনি আমাদের অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাই নিজেকে উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত করতে হবে।
৫.ক্ষমা করাঃ ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। বুঝতে হবে যে আমার যে সমস্যা গুলো হচ্ছে নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে, ঠিক তেমনি অন্য একজনেরও আমার সাথে একি রকম সমস্যা হতে পারে। তাই ওই ব্যক্তিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা।
উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করলে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনে সুন্দর একটি মানসিক অবস্থা নিয়ে জীবন যাপন করতে পারব।
সর্বোপরি আমরা যদি সমাজের জন্য এবং সমাজের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার মানসিকতা রাখি তাহলে আমাদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সকল স্বাস্থ্যই ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এইচ.এম তৌফিকুর রহমান
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট, সেন্টার ফর এডভান্স সোশ্যাল রিসার্চ।
ফাইল ছবি । ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা আশা করছি সময় মতো হবে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে আমরা তারিখ ঠিক করছি। মধ্য নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের শেষের দিকে এইচএসসি পরীক্ষা হবে।
শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিবিউশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'করোনা সংক্রমণ নিয়ে এমন কোন পরিস্থিতি তৈরী হয়নি, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে; সংক্রমণের ঘটনাগুলোতে স্কুলের সবার পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি মনিটরিং করছে।'
করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও এসময় জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম শুরু নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।