a করোনার হালচাল: হঠাৎ উত্থানের পর বিশ্বে দ্রুত পতন ওমিক্রনের ঢেউ
ঢাকা বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

করোনার হালচাল: হঠাৎ উত্থানের পর বিশ্বে দ্রুত পতন ওমিক্রনের ঢেউ


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০১ ফেরুয়ারী, ২০২২, ১০:১১
করোনার হালচাল: হঠাৎ উত্থানের পর বিশ্বে দ্রুত পতন ওমিক্রনের ঢেউ

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রমণপ্রবণ ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল মাত্র তিন মাস পূর্বে। এরপর কয়েকটি দেশে অবিশ্বাস্যভাবে ছড়িয়ে পড়ে ধরনটি। তবে আশার কথা হচ্ছে, অকস্মাৎ উত্থানের পর এখন দ্রুতই ওমিক্রন ঢেউয়ের পতন ঘটছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ধরনটি শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ কয়েকটি দেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি দেশে নজিরবিহীন সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যায় উল্লম্ফন দেখা যায়।

ডেলটার কারণে বিশ্বে এক দিনে সর্বোচ্চ ৯ লাখের মতো কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তবে ওমিক্রনের তাণ্ডব তাকে বহুগুণে ছাড়িয়ে যায়। এ ধরনের প্রভাবে বিশ্বে এক দিনে (গত ২০ জানুয়ারি) ৩৭ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়।

অবশ্য এরপর থেকেই সংক্রমণের গতি কমতে শুরু করে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাবে, গত সোমবার বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ২২ লাখের মতো মানুষ। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৫ শতাংশ। এ সময় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ শতাংশ, ফ্রান্সে ৭ ও ভারতে ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্তের হার কমেছে ৮০ ভাগ। তবে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

ওমিক্রনের দাপটে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মৃত্যু তেমন বাড়েনি। বর্তমানে বিশ্বে দৈনিক মৃত্যু আট থেকে সাড়ে আট হাজারের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ডেলটায় মৃত্যু এক দিনে ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ওমিক্রনের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস মহামারির বিদায় ঘণ্টা বাজবে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি মনে করেন, ওমিক্রনের মধ্য দিয়েই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চলমান মহামারি পর্ব শেষ করে এনডেমিক বা সাধারণ রোগের স্তরে পৌঁছাতে পারে। এনডেমিক পর্যায়ে একটি ভাইরাসজনিত রোগ কোনো এলাকায় সাধারণ রোগে পরিণত হতে পারে। এর মানে হলো, ওই এলাকায় রোগটি থাকবে, মানুষ আক্রান্তও হবে। তবে এর প্রকোপ ও ভয়াবহতা হবে মহামারি পর্যায়ের চেয়ে অনেক কম; এ রোগের ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে। অবশ্য ফাউসি মনে করেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনও আসেনি।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিপ অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের এপিডেমিওলজিস্ট (মহামারি বিশেষজ্ঞ) আলী মোকদাদ ভক্স অনলাইনকে বলেন, ওমিক্রন যাকে পেয়েছে, তাকেই ধরেছে। কাজেই এটা যত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল, ততোধিক গতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কমে আসবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানলে ওমিক্রনের ঢেউ সামাল দেওয়া কঠিন হবে না। সূত্র: সমকাল

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

৪৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদেরকে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৪
৪৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদেরকে নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি   মো:

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

৪৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদেরকে নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি   মো: সাইফুল আলম সরকার, ঢাকা:  দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চলমান চিকিৎসক সংকট নিরসন এবং ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারের ওভারলিপিং নিরোসনে ৪৮ তম বিসিএস থেকে ৩১২০ জন এর অতিরিক্ত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অপেক্ষমান চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ৪৮তম বিসিএস নিয়োগপ্রত্যাশী সাধারণ চিকিৎসক ফোরাম। 

তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সরকারি  স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ ১৩/১০/২০২৫ইং দুপুরে রাজধানী ঢাকার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন হয়। ডা: গোলাম সামদানী, ডা: শরিফ, ডা: সাদমান সাকিব রাফি, ডা: আল মুনতাসির এবং ডা: সেজানা খানের নেতৃত্বে এই অবস্থান কর্মসূচিতে তারা বলেন, উপজেলায় পদ খালি স্বাস্থ্য সেবায় জোড়াতলী, ডাক্তার বঞ্চিত জাতি লজ্জিত, উপজেলা ডাক্তারদের সংকট নিরসন চাই, সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার শূন্য ৪৮ থেকে নিতে আপত্তি কেন, উপজেলায় রোগী মরে ইন্টারিম কি করে?, ইফতারি সহ আরো অনেক স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তারা।   

৪৮তম বিসিএস নিয়োগপ্রত্যাশী সাধারণ চিকিৎসকদেরকে শুন্য পদে নিয়োগ দেবার আহ্বান জানান বারবার। ডা: গোলাম সামদানী বলেন, ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে নিয়োগ প্রদান করুন। কারন ১২,৯৮০টি চিকিৎসক পদ ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত দুরূহ। তাই সরকারের নিকট আমাদের আহ্বান, তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শুন্য পদে আমাদের নিয়োগ দিন এবং জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন।   এর আগে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সমাবেশ এবং সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে সকল ডাক্তাররা বলেন, সমাজের বিত্তশীলেরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারেন। তবে তৃণমূলের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর একমাত্র অবলম্বন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ। প্রায় ১২,৯৮০টি চিকিৎসক পদ ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত দুরূহ।   

উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের সামনে ডা: সাদমান সাকিব রাফি বলেন, আমরা ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস –এ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে নিয়োগ প্রদান প্রসঙ্গে আমরা ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকবৃন্দ। বর্তমানে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২,৯৮০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। ফলশ্রুতিতে সাধারণ জনগণ পর্যাপ্ত সরকারি চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না।

বর্তমান সরকার প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ তার মধ্যে অন্যতম।  ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসক নিয়োগ চলমান রয়েছে, যা বর্তমান সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সফলতা। ইতোমধ্যে ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এর মাধ্যমে ৩১২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএস-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া অসমাপ্ত থাকায় ওই বিসিএসগুলোর নিয়োগের বিভিন্ন পর্যায়ে অপেক্ষমান চিকিৎসকরাও ৪৮তমতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ প্রায় ১৫০০ জন প্রার্থী ৪৪তম-৪৬তম বিসিএসের নিয়োগের বিভিন্ন পর্যায়ে অপেক্ষমান রয়েছেন। ৪৭তম বিসিএস-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

৪৪তম-৪৮তম বিসিএসে সর্বমোট ৭৩৪৬টি পদ থাকলেও পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোর নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে ৪৮তম থেকে নিয়োগ প্রদান করা হলে আনুমানিক ২২০০ রিপিট প্রার্থী থাকবে। রিপিট প্রার্থীরা সিনিয়রিটিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কারণে ৪৪তম, ৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএসে যোগদান করবে।   অর্থাৎ, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের সহকারী সার্জন পদগুলো পুনরায় ফাঁকা হয়ে যাবে এবং চিকিৎসক সংকট নিরসন হবে না; যা রাষ্ট্রের সময়, অর্থ ও শ্রমের অপূরণীয় ক্ষতি। একই সাথে বিশেষ বিসিএস নেওয়ার মাধ্যমে তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা জোরদারের উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হবে।

এছাড়াও, মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের দেওয়া তথ্যমতে, আরও ৩,০০০ শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বাক্ষরিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এর বিজ্ঞপ্তির বিশেষ নির্দেশনায় বলা আছে – নতুন পদ সৃষ্টি, পদ বিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসর গ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ অথবা অপসারণ ইত্যাদি কারণে বিজ্ঞাপিত শূন্যপদের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে।  যেহেতু ৪৮তম বিশেষ বিসিএস-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং চূড়ান্ত গেজেট হবার আগেই ৩,০০০ শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে, সেহেতু অবিলম্বে ৪৮তম বিশেষ বিসিএস-এর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাক্রমের ভিত্তিতে শূন্যপদে নিয়োগের সুপারিশ করার আবেদন জানানো যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এখনও ৪৪তম বিসিএস-এর নিয়োগের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ সম্ভব হয়নি।

তাই ৫০তম বিসিএস-এর চূড়ান্ত নিয়োগও নিকট ভবিষ্যতে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।  এমতাবস্থায়, সহকারী সার্জন পদে পর্যাপ্ত শূন্যপদ থাকায় রিপিট প্রার্থীর সংখ্যা ও সাধারণ বিসিএস-এর দীর্ঘ সূত্রিতার বিষয়গুলো আমলে নিয়ে, ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর আবেদন জানানো যাচ্ছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা মাদকে সয়লাভ


সাইফুল, বিশেষ প্রতিনিধি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ০৫:৪৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা মাদকে সয়লাভ

ছবি :মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো জেলা মাদকে সয়লাভ হয়ে উঠছে। দেশের মানুষ এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে চেনে মাদকের আখড়া হিসেবে। আর মাদকের মাতৃভূমি হিসেবে ইতিমধ্যে আখ্যা পেয়েছে এই জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন। 

গত ১২ই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে প্রায় ৫০৩ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ, ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং কুখ্যাত ও চিহ্নিত ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। জেলার বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ২৫ বিজিবি সিঙ্গারবিল বিওপি'র সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টীম বিজয়নগরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ১২ কুখ্যাত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। 

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে ও সন্ধ্যার সময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল যোগে অনেক যুবক শ্রেণীর মানুষ নলগড়িয়া গ্রামে আসে। তারা ফেন্সিডিল, নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ ও গাঁজা সেবন ও ক্রয় করতে আসে। এলাকার রাস্তার পাশের বাগান এবং পবিত্র কবরস্থানে খাবার পর খালি বোতল ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বহিরাগত মাদক সেবীদের কারনে। কিন্তু প্রশাসন একদম নিরব ভুমিকা পালন করছেন। অনেকেই মনে করছেন প্রশাসনের নাকের ডগায় চড়ে কিভাবে মাদকসেবীরা দিনের পর দিন এই কাজ করতে পারে? 

এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন পোস্টার বা ব্যানার লাগানো যায় না। রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিজয়নগর থানা এবং চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এলাকার জন্য পুলিশ বা প্রশাসনকেন্দ্র অনেক দূরে। তাই এলাকাবাসী মনে করছেন সিঙ্গারবিল, কাশিনগর, নোয়াবাদি বা মেরাসানির আশেপাশে পুলিশ ফাঁড়ি হওয়া প্রয়োজন। 

এর আগে বহুল প্রচারিত দৈনিক মানবজমিন এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর প্রতিনিধি আমিরজাদা চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানা যায় আরও ভয়ংকর চিত্র। মানবজমিনে প্রকাশিত হয় মাদক নিয়ে এই এলাকার ভয়ংকর তথ্য চিত্র। 

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে দিন দিন বাড়ছে মাদক চোরাচালান। এ অঞ্চলের ৩১ কিলোমিটার সীমান্তের ১৫টি স্পট দিয়ে নিয়মিত মাদক পাচার চলছে। অন্তত ৬ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছে। অথচ মাদক মামলায় আসামি হয় মাত্র ৩-৪ জন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের নামে মামলা দিয়েই দায়িত্ব খালাস করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরার মধুপুর পাহাড়ে উপজাতিরা গাঁজা চাষ করে। সেখান থেকে আগরতলার বামুটিয়া ও বিমানবন্দর থানার বগাদী নারায়ণপুরের ভাগলপুর নরসিংগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগুড়ীয়া, কাশিনগর, নোয়াবাদী, মেরাশানী, বিষনপুরের কালাছড়া, কাশীমপুর, পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া, চানপুর, ধোড়ানাল, শিয়ালউড়ী, ছড়ারপাড়, শানিপুর মকন্দপুর কামাল মুড়া, লেজামুড়া দিয়ে মাদক চালান আসে। প্রতি রাতে অন্তত ৫-৭ হাজার কেজি গাঁজা প্রতিকেজি কেনার পর বাংলাদেশি টাকায় ৫০০০ টাকা কেজি।

এসব কর্মকাণ্ড থেকে এলাকাবাসী কবে মুক্তি পাবে সেই প্রশ্নের উত্তরে নীরব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন। এলাকাবাসী এর আসু প্রতিকার চান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য