a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান। শায়রুল বলেন, 'গত দুইদিন ধরে উনার ডিসেন্ট্রি (আমাশয়) হচ্ছিল। গত বুধবার রাতে উনার শরীর বেশি দুর্বল হয়ে যায়। এরপর দ্রুত উনাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ভর্তির পরামর্শ দিলে তাকে ভর্তি করানো হয়।
বর্তমানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।' শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা তার সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। উনি (নজরুল ইসলাম) এবং উনার পরিবার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ফাইল ছবি: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ
নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
গতকাল বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
বিবৃতিতে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।'
তিনি আরো বলেন, 'বৃহস্পতিবার শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, কর্মসূচি সফল করুন।'
অভিভাবকদের উদ্দেশে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'আমাদের অভিভাবকদের বলছি, আমরা আপনাদেরই সন্তান। আমাদের পাশে দাঁড়ান, রক্ষা করুন। এই লড়াইটা শুধু ছাত্রদের না, দলমত নির্বিশেষে এদেশের আপামর জনসাধারণের।' ছাত্রদের ডাকে অনেকে সাড়া দিয়ে রাস্তা গাড়ি বের করছেননা। অনেকে পায়ে হেঁটেই অফিসে যাচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ছাত্রদের প্রোগ্রামের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে হাসিমুখে তারা পথ হাটছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সরকারি ভবনে আলমারির দরজা খুলতেই চোখে পড়ল সিঁড়ি। ধাপে ধাপে সেই সিঁড়ি নেমে গেছে অনেক নিচে। সিঁড়ি ধরে নামলে থেমে যেতে হবে এক লোহার দরজার সামনে। সম্ভবত ওই দরজার ওপারে রয়েছে সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই কি তবে পালিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে?
শনিবার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। দাবি, পদত্যাগ করতে হবে গোতাবায়াকে। তার পর থেকেই প্রেসিডেন্টের বাসভবন তছনছ করছেন বিক্ষোভকারীরা। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, কখনো সুইমিং পুলে স্নান করছেন তারা। কখনো সরকারি ভবনের রান্নাঘরে খাওয়া-দাওয়া করছেন। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেল, প্রেসিডেন্টের পালঙ্কে শুয়ে রয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তুলছেন ছবিও।
সরকারি বাসভবন খানাতল্লাশির সময়ই বিক্ষোভকারীরা খুলে ফেলেন নকল ওই আলমারির দরজা। তার পরেই তাদের চোখে পড়ে সেই সিঁড়ি। শনিবার দুপুরে প্রেসিডেন্টের বাড়িতে বিক্ষোভকারীদের জোর করে ঢুকে পড়ার কিছুক্ষণ আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যান গোতাবায়া। মনে করা হচ্ছে, ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই পালিয়ে গিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাড়িতেও আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা