a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৭৬৮ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১,৩১০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৮ জন।
আজ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫২৯ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৮৬২ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৩০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৯৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ফাইল ছবি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ইউরোপ-আমেরিকার পর এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মহাবিপর্যয়ে নামিয়ে এনেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে। দেশটিতে ইতোমধ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ গিয়ে পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬৩ হাজারে, যা বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে বেশি।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে ফিরে আসাদের প্রত্যেকেই সুস্থ হওয়ার নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে অ্যান্টিবডি। তবে ব্যতিক্রম ঘটছে, সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও অনেকের শরীরেই গড়ে ওঠেনি স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আর এ জন্যই রোগটি ফিরে আসছে বারবার। সমীক্ষা জানা গেছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হল কোভিড-১৯ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অনুপস্থিতি। খবর আনন্দবাজারের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর)-এর মার্চ মাসের ওই সমীক্ষা জানিয়েছে, মোট ১০,৪২৭ লোকের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে (সেরো পজিটিভিটি) মাত্র ১০.১৪ শতাংশের শরীরে। দেশের ১৭টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিএসআইআর-এর কর্মীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়।
খবরে আরও বলা হয়, ওই সমীক্ষার ফল দেখে উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও। কারণ, তাদের মতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে শুধুমাত্র টিকা আর ওষুধের সাহায্যে কোভিড-দমন করা খুবই কঠিন।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির ‘সক্রিয়তার মেয়াদ’ নিয়েও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবডিগুলো তৈরি হওয়ার ৫-৬ মাসের মধ্যেই সেগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবারও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। [সূত্র:বিডিপ্রতিদিন]
ছবি: শ্রাবণী, জগন্নাথ বিশবিবিদ্যালয়
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি : যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত 'স্টাডি অব দ্য ইউএস ইনস্টিটিউটস (এসইউএসআই) ফর গ্লোবাল স্টুডেন্ট লিডার্স ' প্রোগ্রামে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০ - ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী "নুরুন নাহার শ্রাবনী"।
বিশ্ববিদ্যালয়টির একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ আয়োজিত 'US Embassy: Exchange Opportunities' সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ সুযোগ লাভ করেন শ্রাবণী।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী এই প্রথম এধরনের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে।
আগামী ২৪শে জুন থেকে ২৬শে জুলাই পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নোভাডায় এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন শ্রাবণী ।
এই উপলক্ষে আজ ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার শ্রাবনী এবং ইউএস এক্সচেঞ্জ অ্যালামনাই এর সদস্য এবং জবির একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম -এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় উপাচার্য শ্রাবণীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের শিক্ষার্থীদের সফল অংশগ্রহণ আমাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতার প্রমাণ বহন করে।”
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শ্রাবণী বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত বিশ্ব দরবারে প্রথমবারের মতো আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে। এ অর্জন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। আমি মহান আল্লাহ তায়ালা, আমার মা-বাবা বিশেষ করে আমার মা কে অনেক ধন্যবাদ দিতে চাই সেই সাথে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক যারা আমার সাথে ছিলেন এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শামসুন নাহার ম্যামের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ মুলত ম্যামের সূত্র ধরেই আমার এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানা ও অংশ নেয়া।”