a ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়: বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়: বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২২, ০৫:৩৫
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়: বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার

ফাইল ছবি

উইল বা ইচ্ছাপত্র করার আগে যদি বাবার মৃত্যু হয়, তাহলেও তার সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাবেন তার মেয়েরা। এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, বাবার উপার্জিত সম্পত্তির উপর ভাইয়ের সন্তানদের থেকে মেয়ের অধিকার বেশি।

বিচারপতি এস আবদুল নাজির এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চ জানায়, উইল করার আগে মৃত্যু হলে বাবার সম্পত্তির উপর পরিবারের অন্য সদস্যদের তুলনায় বেশি অধিকার তার কন্যাদের।

শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ এই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে রায় প্রদানের সময় বলেছে, ‘উইল করার আগে কোনো হিন্দু পুরুষ যদি মারা যান, তা হলে তার সম্পত্তি সব সম্পত্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। তবে মৃত হিন্দু ব্যক্তির মেয়ে তার অন্যান্য আত্মীয়দের তুলনায় সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য পাবেন।’

পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট এদিন আরও জানায়, যৌথ পরিবারে বসবাস করলেও যদি কোনো হিন্দু ব্যক্তি কোনো উইল না করেই মারা গেলে তার অর্জিত এবং অন্যান্য (উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি) সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পাবেন তার মেয়েরাই।

শীর্ষ আদালত বলে, হিন্দু বিধবা এবং কন্যাদের উত্তরাধিকার পূরাতন হিন্দু রীতির পাশাপাশি বহু আইনেও সুরক্ষিত আছে। এর আগে মাদ্রাজ হাই কোর্ট এই সংক্রান্ত একটি মামলাতে অন্য রায় দিয়েছিল। মাদ্রাজ উচ্চ আদালতের সেই রায় খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা হলে তেল আবিব ও হাইফা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
রবিবার, ০৭ মার্চ, ২০২১, ১০:১৭
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা হলে তেল আবিব ও হাইফা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে

ফাইল ফটো:ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য সামরিক হামলার জন্য তেল আবিব তার পরিকল্পনা হালনাগাদ করছে বলে ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ যে মন্তব্য করেছেন তার কড়া হুঁশিয়ারী দিয়েছে তেহরান। 

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলের শাসক গোষ্ঠী ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো চিন্তা করলে তেল আবিব এবং হাইফা শহরকে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।

জেনারেল হাতামি আজ রবিবার ইসরায়েলকে উদ্দেশ্যে বলেন, মাঝেমাঝে তারা এমন কিছু বলে যা বাস্তবায়ন করা তাদের জন্য কঠিন এবং এসব হুমকি ধামকির মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে তারা চরম হতাশাগ্রস্ত। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি অনেক বছর আগে ইহুদিবাদীদের সমুচিত জবাব দিয়েছিলেন। 

তিনি বলেছিলেন ইসলায়েল আমাদের প্রধান শত্রু  নয় এমনকি ইরানের সঙ্গে শত্রুতা বজায় রাখার নূন্যতম যোগ্যতাও তাদের নেই। ইহুদিবাদী শাষক গোষ্ঠীর ভালো করেই জানা আছে এবং তারা যদি না জেনে থাকে তাহলে তাদের জেনে রাখা উচিত, যে তারা সামান্যতম ভুল করলে ইরান তেল আবিব এবং হাইফা শহর মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়ার সক্ষমতা রাখে। 

জেনারেল হাতামি আরও বলেন, ইরানের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়কের আদেশ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কার্যকর করা হয়েছে এবং এটি একটি নীলকশায় রূপান্তরিত হয়েছে। সর্বোচ্চ নেতার সামান্য ইঙ্গিতেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আমি তাদের উপদেশ দেবো, তারা যেনো কখনই এ ধরণের ভুল না করে।

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচী বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গেলে ইসরায়েল তাতে হামলা চালাবে বলে বেনি গান্তজ হুমকি দেয়ার পর জেনারেল হাতামি এসব মন্তব্য করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম কে আলম

সপ্তাহের ব্যবধানে মিলল না অংকনের রহস্যময় মৃত্যুর আসল রহস্য


মাহাদী সিয়াম, জবি প্রতিনিধি
শনিবার, ১৩ মে, ২০২২, ০৪:৩৬
সপ্তাহের ব্যবধানে মিলল না অংকনের রহস্যময় মৃত্যুর আসল রহস্য

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অংকন বিশ্বাসের রহস্যময় মৃত্যুর পিছনের রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও প্লাকার্ড হাতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। কর্মসূচি পালনের মূল উদ্দেশ্য ছিল  রহস্যজনক অকাল মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি। অংকনের মৃত্যুর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রহস্যময় মৃত্যুর কোন হদিস মিলল না। এতে ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
 
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের সহপাঠী অংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক এমন মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না। এই মৃত্যুর পেছনে কী আছে তা খুজে বের করার জোর দাবি জানাচ্ছি।  একমাত্র জবি প্রশাসনই আইনি ব্যবস্থা গ্ৰহন করে পলাতক শাকিলকে আটক করে মৃত্যুর পিছনের আসল রহস্য উন্মোচন করতে পারবে। অংকনের রহস্যজনক মৃত্যুর সাত দিন অতিবাহিত হাওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরব কেন? এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি তুলে ধরেছিলেন।

অংকন বিশ্বাস ছিল ১২তম ব্যাচের শ্রেষ্ঠতম শিক্ষার্থী। ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট! অসাধারণ বিতার্কিক!টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করেছে একাধিক বার৷ তার হাত ধরে ইংরেজি বিভাগে এসেছে বেশ কিছু ট্রফি৷ নাচেও চমৎকার। মানুষ হিসেবে অনন্য, অতুল্য! এমন একজন শিক্ষার্থী মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন করার কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

নাহিদ হাসান রবিন জানান, অংকনকে আমরা ফিরে পাবো না কখনোই। তবে  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট আবেদন শীঘ্রই রহস্যজনক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করবে। অংকনের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে এক বা একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকলে শীঘ্রই শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।  

১২ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, অংকনের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানাচ্ছি এমন মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মেনে নিতে পারছি না। তার মানসিক যন্ত্রণাই মৃত্যুর অন্যতম কারণ ছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে অংকনকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে পালিয়ে গিয়েছিল তার স্বামী শাকিল আহমেদ। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ মে রাত ১১ঃ৩০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক