a ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে!
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ, ২০২২, ১২:৪৪
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে!

ফাইল ছবি

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।

বুধবার দিল্লির রুশ দূতাবাস টুইটারে লিখেছে, ‘সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী এই ছাত্রছাত্রীদের পণবন্দি করেছে এবং তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যেকোনো উপায়ে তাদের রাশিয়া যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এর সম্পূর্ণ দায় কিয়েভের।’ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়রও দাবি, যে সব ভারতীয় শিক্ষার্থী ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ায় যেতে চাইছেন, তাদের খারকিভে আটকে রাখা হয়েছে। রাশিয়ায় পৌঁছতে পারলেই তাদের বাড়ি ফেরানো হবে।

বুধবার প্রথমে জানা যায়, দিল্লির চাপে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সেফ প্যাসেজ’-এর ব্যবস্থা করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের ঘড়িতে তখন বেলা দেড়টা। ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মোবাইলে দূতাবাস থেকে মেসেজ আসে, খারকিভ ছাড়তে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পৌঁছে যেতে হবে পিসোচিন, বাবায় বা বেজলিউডিভকা-য়। শিক্ষার্থীরা গুগল ম্যাপ ঘেঁটে দেখেন, পিসোচিন খারকিভ থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে। বাবায় প্রায় ১২ কিলোমিটার। আর বেজলিউডিভকার দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার।

এতখানি রাস্তা কিভাবে যাওয়া হবে? বাস, গাড়ি মিলছে না। স্টেশনে ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে উঠতে গেলে অনেককে মারধর করে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ভাবতে ভাবতেই এক ঘণ্টা পরে মোবাইলে ফের মেসেজ আসে, বাস, ট্রেন, গাড়ি না পেলে অন্তত পায়ে হেঁটে ওই তিনটি এলাকায় পৌঁছতেই হবে। যেকোনো উপায়ে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে খারকিভ থেকে বেরিয়ে ওই তিনটি জনপদের যে কোনও একটিতে পৌঁছে যেতে হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, খারকিভে চূড়ান্ত হামলা চালানোর আগে রাশিয়ার পুতিন প্রশাসনই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য এই ‘সেফ প্যাসেজ’-এর বন্দোবস্ত করে দিয়েছে। ওই কারণেই এত কম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের খারকিভ ছাড়তে বলা হয়। কোথায়, কত ক্ষণের মধ্যে যেতে হবে, তা-ও রাশিয়াই বলে দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'ওই সব জায়গা, সময় কোনোটাই আমরা ঠিক করিনি। রাশিয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।'

মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাশিয়ার বাহিনী খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বর্ষণ শুরু করেছিল। ওই সময়ই খারকিভে কর্নাটকের ছাত্র নবীন শেখরাপ্পার মৃত্যু হয়। বাঙ্কারে বহু ছাত্রছাত্রী আটকে থাকলেও তাদের পক্ষে বেরিয়ে অন্য কোথাও যাওয়া সম্ভব ছিল না। এর পরেই ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দিল্লিতে রাশিয়ার ভাবী রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভকে ডেকে পাঠিয়ে দাবি করেন, ভারতীয়দের জন্য ‘সেফ প্যাসেজ’-এর বন্দোবস্ত করা হোক। ইউক্রেনের একের পর এক এলাকা রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়ার পর সেখান থেকেই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বের করে আনা সম্ভব কি না, তা নিয়েও নয়াদিল্লি মস্কোর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। খারকিভে বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সেখানেই যে সব চেয়ে বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী রয়েছেন, মোদি সে কথা পুতিনকে জানান। এর পর দুই দেশ যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের ‘সেফ প্যাসেজ’টি চূড়ান্ত করে।

বুধবার সকালে রাশিয়ার প্যারাট্রুপাররা খারকিভ শহরে নেমে পড়লে নতুন করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। ভাবী রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, মস্কো ভারতীয়দের রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের মধ্যে দিয়ে ‘সেফ প্যাসেজ’ করে দিতে একটি ‘মানবিক করিডর’ তৈরির চেষ্টা করছে। খারকিভে অন্তত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রয়েছে। এখানেই ভারতীয়দের সংখ্যা সব থেকে বেশি ছিল। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও বুধবার সকালেও অনেকে ট্রেনে করে খারকিভ ছেড়েছেন। উল্টো দিকে ভারতীয় পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাজার খানেক ছাত্রছাত্রী রেল স্টেশনে পৌঁছে গেলেও শুধুমাত্র ইউক্রেনের নাগরিকদেরই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই পড়ুয়াদের কাছে বার্তা যায়, ট্রেন না পেলে তারা যেন ১১-১২ কিলোমিটার পায়ে হেঁটেই খারকিভ থেকে বেরিয়ে যান। অরিন্দম বলেন, 'আমরা জানি, সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ওখানে যুদ্ধ চলছে। সকলের নিরাপত্তার জন্যই তাদের যেকোনো উপায়ে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছতে বলা হয়েছে।'

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের ইঙ্গিত, খারকিভ থেকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে গেলে, সেখান থেকে রাশিয়ার সেনার সাহায্যেই তাদের ইউক্রেন সীমান্ত পার করিয়ে রাশিয়ায় নিয়ে আসা যেতে পারে। এর জন্য ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের একটি ছোট দল দেশের পূর্বে, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। উল্টো দিকে মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগর্ড ও কুর্স্ক শহরে পৌঁছে গেছে।

এরই মধ্যে আজ ইউক্রেনে ২২ বছরের ভারতীয় ছাত্র চন্দন জিন্দালের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। পাঞ্জাবের বার্নালার চন্দন ভিনিতসিয়ায় মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি হাসপাতালে আইসিইউ-তেএ ভর্তি ছিলেন। তার বাবা শিশন কুমারও ওখানেই রয়েছেন। তিনি রোমানিয়া হয়ে ছেলের লাশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকাবিহীন ন্যাটো গঠনের দাবি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০৪ মার্চ, ২০২৩, ১১:২০
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকাবিহীন ন্যাটো গঠনের দাবি

ফাইল ছবি:প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান

আমেরিকাবিহীন ন্যাটো গঠনের দাবি তুললেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোটের অন্যতম সদস্য হাঙ্গেরি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, ইউরোপের জন্য নতুন সামরিক জোটের প্রয়োজন রয়েছে যেখানে আমেরিকার অযাচিত কোনও প্রভাব থাকবে না।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেন, আমেরিকা ইউরোপকে একটি যুদ্ধের ভিতর ঠেলে দিচ্ছে যাতে জেতা সম্ভব হবে না এবং যেখানে বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে। এই অবস্থায় সমাধান হচ্ছে আমেরিকা মুক্ত ইউরোপীয় ন্যাটো জোট গঠন করা।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করার আকাঙ্ক্ষার কারণেই রাশিয়া এবং পশ্চিমাদের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা সৃষ্টি এবং তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাটো জোটকে পূর্ব ইউক্রেন এবং জর্জিয়ায় বিস্তৃত করার পরিকল্পনা থেকেই মস্কো উদ্বিগ্ন। রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে ভিক্টর অরবান রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনা করেন এবং সে আলোচনায় মস্কোর এমন উদ্বেগের কথা উঠে আসে।

ভিক্টর অরবান বলেন, পুতিন তাকে বলেছিলেন যে, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় আমেরিকা যে ন্যাটো ঘাঁটি গড়ে তুলেছে তাই পশ্চিমাদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে উঠেছে। সূত্র: আরটি, ফার্স্টপোস্ট

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বিএনপি নেতাদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে বললেন খালেদা জিয়া


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২, ০১:১২
বিএনপি নেতাদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে বললেন খালেদা জিয়া

ফাইল ছবি

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে বন্যার্তদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের তাদের পাশে থাকতে বলেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রবিবার (১০ জুলাই) রাতে গুলশানের বাসায় চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনায় যেখানে মানুষ বন্যা প্লাবিত হয়েছে, সেসব দুর্গত মানুষের খবর আমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন। তিনি আমাদের বলেছেন, তোমরা বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত। তিনি মনে করেন বন্যার্তদের সেবা করা মানে হচ্ছে মানুষের সেবা করা এবং এটাই রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি এখন যে অবস্থায় আছেন সেই অবস্থা তার ইমিডিয়েট কোনো বিপদ না থাকলেও তিনি কিন্তু এখনো অসুস্থ আছেন। আমরা বার বার বলে আসছি যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বাইরে চিকিৎসা প্রয়োজন। এখনকার ডাক্তাররা যারা তার চিকিৎসা করছেন তারা সবাই বার বার করে বলেছেন যে, উন্নত চিকিৎসা তার (খালেদা জিয়া) দরকার, সেই উন্নত চিকিৎসা ও কেন্দ্র এখানে নেই। যে কারণে তারা (চিকিৎসকরা) মনে করেন যে, ম্যাডামকে সত্যিকার অর্থে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করার জন্য চিকিৎসা করা দরকার সেটা অবশ্যই দেশের বাইরে। আমরা সেই কথা আবারো আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।

সাক্ষাতে দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি আমাদের দলের প্রধান, দলের চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি দেশের চলমান যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন তার খোঁজ-খবর রাখছেন। তিনি মনে করেন যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ নিশ্চয়ই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবে। খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও এসময় জানান বিএনপি মহাসচিব।

রাত ৮টায় মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান গুলশানের ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা সাক্ষাত শেষে রাত ১০টায় তারা সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক