a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২২ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ১২৪ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ২৬১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৬ জন।
আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৯৬৪ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ২১ হাজার ৪৩৫ জন।
উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৫৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং ২৪ ঘণ্টার পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্ত ৬.৯৫ শতাংশ।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ হাজার ৮৮০ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১,৩২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪২ জন।
আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩,১৬৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৬৮৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৮৬৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম: বিরোধী দলীয় সাবেক চিফ হুইপ, মাননীয় চেয়ারপার্সন অন্যতম উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শহীদ জিয়া দেশের মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিয়েছেন। তাই ৭ নভেম্বর বিপ্লব সংহতি দিবস দেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দল আয়োজিত ২৪শে নভেম্বর ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় এক আলোচনা সভায় জয়নুল আবদিন ফারুক এসব কথা বললে দিক নির্দেশনা দেন।
৭ নভেম্বর বিপ্লব সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, বিরোধী দলীয় সাবেক চিফ হুইপ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম জামাল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি। জনাব কর্নেল এম এম ফয়সাল (অব.), সহ-সভাপতি, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল। হেলেন জেরিন খান, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব সেলিম রেজা বাবু, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দল। এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জনাব মোঃ শীপন বকাউল, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দল।
প্রধান অতিথি বক্তব্য জয়নুল আবদিন ফারুক আরো বলেন, আপনারা জানেন ’৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত কীভাবে ভারতের এজেন্টরা এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। অবশেষে ৭ নভেম্বর এ দেশের সিপাহি-জনতা সেই চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং তাদের চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেয়। এ কারণে দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।
কিন্তু স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পিতভাবে ঐতিহাসিক দিনগুলোকে জনগণের দৃষ্টির অন্তরালে নিয়ে যান। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, তারা ৭ নভেম্বরকে পূর্বের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এতে দেশের জনগণ যেমন আওয়ামী চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন হবে, তেমনি দেশের গণতন্ত্র ও তাদের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত থাকবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত ঐক্যের বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
সভাপতির বক্তব্যে সেলিম রেজা বাবু বলেন, আমরা চাই ভোটবঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের প্রিয় ব্যক্তিদের নির্বাচিত করুক এবং তাদের নির্বাচিত যোগ্য ব্যক্তিরা দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করুক। তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তিনি দ্রুত বাংলার মানুষকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দেন। শহীদ জিয়া দেশের মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেন। ৭ নভেম্বর পালনের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থেই জিয়াকে স্মরণ করা হবে।