a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ৬১৯ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৭১০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৪০ জন।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫৬৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪০ হাজার ৩৭২ জন।
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর শ্যামলী থেকে প্রতিদিন সাভারে অফিস করেন সোহানা। প্রতিদিন সকাল ৭টায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে পৌঁছান ৯টায়। আবার অফিস থেকে বিকাল ৫টায় বের হয়ে বাসায় পৌঁছান সন্ধ্যা ৭টায়। বাসায় ফেরার পর তার আর কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। বাসায় কেউ কোনো কথা বললেই চেঁচামেচি করেন। সোহানা বলেন, তার দিন দিন মেজাজ খিটখিটে হচ্ছিল। অফিসের কাজে মনোযোগ দিতে পারছিলেন না। বুঝতে পারছিলেন এই যাতায়াতটা তার জন্য ভীষণ চাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু চাকরিটা তার প্রয়োজন বলেই কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে যান। আর এখন তো বাইরে বের হতেই পারেন না বলে জানান সোহানা। একই ধরনের কথা শোনা যায় বিষণ্ণতায় আক্রান্ত রাফিয়া ও ফাহমিদার কণ্ঠে। রাফিয়া দেশের বাইরে থাকেন। তিনি তিন মাস বা ছয় মাস পরপরই দেশে আসেন। কিন্তু দেশের মাটিতে পা রেখেই হাঁচি, কাশি শুরু হয় তার। চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হলে তিনি সুস্থ হন না। তিনি বলেন, তিনি বুঝতে পারেন, প্রচণ্ড ধুলাবালির কারণে তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অস্থির লাগে, বিষণ্ণ লাগে। দেশে এসে কোনো আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে বা অন্য কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। কেমন যেন অস্থির লাগে।
বায়ুদূষণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায়। সায়েন্টিফিক জার্নালের ‘জেএএমএ’ নেটওয়ার্কে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বায়ুদূষণের উচ্চমাত্রার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে প্রবীণদের মধ্যে বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায়। ‘জেএএমএ’ সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত অন্য গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিম্নস্তরের বায়ুদূষণকারীর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবও বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ বাড়ানোর জন্য দায়ী। মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, বায়ুদূষণে কারণে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মানুষ যে প্রকৃতি ও পরিবেশে বসবাস করছে তার ভারসাম্য না থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়, যা মানুষের ভালো থাকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বায়ুদূষণের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। যার শিরোনাম—‘ব্রেদিং হেভি: নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’। এতে ঢাকা ও সিলেটের চার অঞ্চল থেকে ১২ হাজার ২৫০ জনের তথ্য ব্যবহার করে বায়ুদূষণের কারণে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর স্বল্পমেয়াদি প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকায় সারা দিনে এক জন যে পরিমাণে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, তা প্রায় দুটি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হচ্ছে ঢাকায়। ঢাকায় যানজট ও নির্মাণাধীন প্রকল্পের কারণে যে পরিমাণ বায়ুদূষণ হয়, তা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুমানের চেয়ে ১৫০ শতাংশ বেশি এবং ইটভাটার কারণে যে দূষণ হয় তা ১৩৬ শতাংশ বেশি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রা থেকে ১ শতাংশ দূষণ বাড়লে বিষণ্নতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ২০ গুণ বেড়ে যেতে পারে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেঘলা সরকার বলেন, শুধু বায়ুদূষণই যে বড় ধরনের মানসিক রোগ তৈরি করছে, বিষয়টা এমন নয়। তিনি বলেন, যারা অল্পতে উদ্বিগ্ন হন তাদের মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা বায়ুদূষণের ফলে তীব্র হয়ে ওঠে। যার কারণে মনোযোগে সমস্যা হতে পারে, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে বলে তিনি জানান।
বায়ুদূষণের মূল কারণ:গবেষণায় বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি উৎসের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো যানবাহনের ধোঁয়া, বিশেষ করে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের ধোঁয়া, যা বেশ মারাত্মক। এরপরই রয়েছে শুষ্ক মৌসুমে নির্মাণকাজের কারণে সৃষ্ট ধুলা। তৃতীয় স্থানে আছে ইটভাটার ধোঁয়া। গত তিন বছর ধরে বায়ুর মান সূচকে ঢাকা সবচেয়ে দূষিত না হলেও দ্বিতীয় দুষিত শহর হিসেবে স্থান পাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৬৫ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সীরা। বায়ুদূষণের কারণে প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের দূষণপ্রবণ এলাকাগুলোর প্রায় ১৪ শতাংশ বাসিন্দা বিষণ্ণতায় ভুগছেন, বলে যা কম দূষণ আক্রান্ত এলাকার চাইতে বেশি। গবেষণায় বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পরিমাপ করা হয়। সূত্র: ইত্তেফাক
কলাম লেখক: মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ
ফাইল ছবি । শফিকুর রেজা বিশ্বাস
প্রশাসন ক্যাডারের সুদক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বন্দর) মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহ বিভাগের পঞ্চম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি পেশাগত জীবনে সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। বর্তমান বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান এনডিসিকে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে বদলী করায় তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। গত বছরের ২ জুন তিনি ময়মনসিংহে যোগদান করেছিলেন মোঃ কামরুল হাসান।
মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস ইতিপূর্বে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম-সচিব, বগুড়া জেলার জেলা প্রশাসক, ফরিদপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, বাজিতপুর ও সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নেত্রকোণা ও হবিগঞ্জ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাঁর উপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপ-সচিব শাহীন আরা বেগম স্বাক্ষরিত ৩০ মে’২০২১ এক প্রজ্ঞাপণে এই নিয়োগ দেয়া হয়।
মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ হারিছ উদ্দিন বিশ্বাস তার পিতা। তার সহধর্মিনী আরিফা আক্তার ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। তারা ২ পূত্র ও ১ কন্যা সন্তানের পিতা-মাতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে কৃতিত্বের সাথে অনার্স এবং মাস্টার্স পাস করেন মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস। পরে ১৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৪ সালে প্রশাসন ক্যাডারে বরিশাল জেলায় তিনি চাকরি জীবন শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন।
প্রশাসন ক্যাডারের সুদক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহ বিভাগের পঞ্চম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেইসাথে নয়া কমিশনারকে আন্তরিকভাবে সহযোগীতারও আশ্বাস দিয়েছেন বিবৃতিদাতাগণ।
অভিনন্দন বিবৃতিতাদাগণ হলেন- ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল হক শামীম সিআইপি, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন কালাম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক অনার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ হরিশংকর দাশ, জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এইচ. এ গোলান্দাজ তারা, গণকণল্যাণ পরিষদ (জিকেপি) নির্বাহী পরিচালক, শম্ভুগঞ্জ জিকেপি অনার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লায়ন ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ.এম. এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।